apj abdul kalam essay in bengali

এ পি জে আবদুল কালাম | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রবন্ধ রচনা

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, এখানে আমরা এ পি জে আবদুল কালাম | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রবন্ধ রচনা নিয়ে আলোচনা করলাম। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে এই প্রবন্ধ রচনাটি লেখা হয়েছে। আশা করি তোমাদের সবারই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ

এ পি জে আবদুল কালাম

“যদি তুমি সূর্যের মতো উজ্জ্বল হতে চাও, তাহলে নিজেকে আগে সূর্যের মতো দগ্ধ করো।” —আবদুল কালাম

ভূমিকা: গত শতকের প্রথমার্ধে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের এক প্রত্যন্ত গ্রামে এক মা তাঁর সাত ছেলেমেয়ের জন্য শুধু ভাত রাঁধতেন। কিন্তু ছোটো ছেলেটির জন্য তৈরি করতেন কয়েকটা রুটি, যাতে পড়ার সময় তার খিদে না পায়। নামমাত্র পুঁজি থেকে কিনতেন কেরোসিন তেল, যাতে ছেলেটির রাতের পড়ায় ব্যাঘাত না ঘটে। আর স্বপ্ন দেখতেন যে, তাঁদের বাড়ির কাছে আছে যে বঙ্গোপসাগর, সেই বিশাল সমুদ্রকেও ছাপিয়ে যাবে তাঁর ছেলেটির নামডাক। সমুদ্রের কোল ঘেঁষে ছোটো একটি গ্রামে লালিত সেই স্বপ্নেরই নাম আবুল পাকির জয়নুল আবদিন আবদুল কালাম ।

ছেলেবেলা: কালামের জন্ম হয়েছিল রামেশ্বরমের এক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে। তাঁর বাবা জয়নুল আবদিন ছিলেন একজন সাধারণ মৎস্যজীবী। হিন্দু তীর্থযাত্রীদের নিয়ে রামেশ্বরম এবং ধনুষকোডির মধ্যে নৌকা পারাপার করেও তিনি অর্থ উপার্জন করতেন। এই অভাবের সংসারে কালামকে স্কুলে পড়ার সময়ে কিছু অর্থ রোজগারের জন্য বাড়ি বাড়ি কাগজ বিক্রি করতে হত।

উচ্চশিক্ষা: রমানাথপুরম ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে বিদ্যালয়শিক্ষা শেষ করে কালাম ভরতি হন তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ কলেজে। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে সেখান থেকে স্নাতক হয়ে তিনি যান চেন্নাইয়ে। সেখানে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।

কর্মজীবন: ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে আবদুল কালাম ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের অধীনস্থ অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্টে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন। এই সময়ে তিনি ভারতের প্রবাদপ্রতিম মহাকাশবিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাই, অধ্যাপক সতীশ ধাওয়ান প্রমুখের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৬৩-৬৪ খ্রিস্টাব্দে মাত্র একবারই কালাম গিয়েছিলেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসায়। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে আবদুল কালাম যোগ দেন ইসরোতে। প্রথম ভারতীয় মহাকাশ উৎক্ষেপণযান এসএলভি-র প্রকল্প আধিকারিক ছিলেন স্বয়ং কালাম। কৈশোরে বিমানচালক হওয়ার স্বপ্ন দেখা আবদুল কালাম হয়ে উঠেছিলেন ভারতের ‘মিসাইল ম্যান’। ভারত সরকার তাঁর নেতৃত্বেই আশির দশকে সংহত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে। অগ্নি, পৃথ্বী ইত্যাদি তাঁরই সফল সৃষ্টি। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বিজ্ঞান বিষয়ক পরামর্শদাতা এবং প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)-র সচিব। ভারতকে পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত করেছিল যে পোখরান বিস্ফোরণ, তারও মূল কারিগর ছিলেন তিনিই। তাঁর আত্মজীবনী উইংস অফ ফায়ার প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর অন্যান্য রচনাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইন্ডিয়া টু থাউজেন্ড টুয়েন্টি (১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ), ইগনাইটেড মাইন্ডস (২০০২ খ্রিস্টাব্দ), মিশন ইন্ডিয়া (২০০৫ খ্রিস্টাব্দ), ইনসপায়ারিং থট্স (২০০৭ খ্রিস্টাব্দ) প্রভৃতি।

রাষ্ট্রপতি কালাম: ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুলাই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য আবদুল কালাম ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজা খুলে দিয়েছিলেন সকলের জন্য, বিশেষত বাচ্চাদের জন্য।

শিক্ষক কালাম: শুধু বিজ্ঞানী নন, কালাম ছিলেন আদর্শ শিক্ষকও। তাই রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ করে কালাম ফিরে যান অধ্যাপনায়। শিলং, ইন্দোর এবং আমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে তিনি নিয়মিত পড়াতেন। ২০১৫-এর ২৭ জুলাই শিলংয়ের এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতাকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন আবদুল কালাম ।

পুরস্কার ও সম্মান: ভারত এবং ভারতের বাইরে চল্লিশটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি পান। তিনি তাঁর কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ‘পদ্মভূষণ’ (১৯৮১), পদ্মবিভূষণ’ (১৯৯০), ‘ভারতরত্ন’ (১৯৯৭) পান ।

উপসংহার: ‘ভারতরত্ন’ কালাম তাঁর বিজ্ঞানসাধনার দ্বারা দেশকে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন আত্মবিশ্বাস ও শক্তির শিখরে। তাঁর জীবন দেশবাসীর কাছে হতে পারে চিরন্তন প্রেরণা। “ঘুমের মধ্যে যা আমরা দেখি সেটা স্বপ্ন নয়, স্বপ্ন সেটাই যা আমাদের জাগিয়ে রাখে।”—জাতিকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়ে গিয়েছেন আবদুল কালাম ।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

2 thoughts on “এ পি জে আবদুল কালাম | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রবন্ধ রচনা”

It is like a good time for students

Yes absolutely

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

এপিজে আব্দুল কালামের উক্তি ও বাণী APJ Abdul Kalam Bani in Bengali

APJ Abdul Kalam bani in Bengali এ পি জে আব্দুল কালামের উক্তি

জীবনে চলার পথে অনেক সময় আমরা আমাদের অনুপ্রেরণা হারিয়ে ফেলি। তখন আমরা বুজতে পারিনা এই কঠিন সময়ে আমাদের ঠিক কি করা উচিত।

এই রকম কঠিন সময়ে মহাত্মা গান্ধী , স্বামী বিবেকানন্দ , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর , এ পি জে আব্দুল কালাম, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন , নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মতো মহান মানুষের বলে যাওয়া অনুপ্রেরণামূলক কথাগুলো পুনরায় আমাদের হারিয়ে যাওয়া Motivation ফিরে পেতে সাহায্য করে।

তাই আজ আমরা ডঃ আব্দুল কালাম ও তাঁর ৫১ টি বাছাই করা অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কে জানব।

Click Here To Download Image

আব্দুল কালামের ছিলেন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি একজন বিজ্ঞানীও ছিলেন। তিনি স্বাধীন ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি যিনি ধর্মনিপেক্ষভাবে নির্বাচিত হন।

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন।

ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা ইসরো তে তিনি একজন বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করেন। মহাকাশযানবাহী রকেট এবং বালিস্টিক মিসাইলের উপর অবদানের জন্য তাঁকে ভারতের Missile Man বলা হয়।

51+ Motivational APJ Abdul Kalam Bani in Bengali

1. “সফলতার শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়, তা হতে পারে Mount Evarest এর শীর্ষ বা Career.”

2. “জীবন একটি কঠিন খেলা। মানুষ হিসাবে আপনার জন্ম অধিকার বজায় রেখে আপনিএই খেলা জিততেপারবেন।”

3. “কৃত্তিম সুখের পরিবর্তে নিরেট উপলব্ধির উপর সমর্পিত হন।”

4.” আমি এই কথাটা স্বীকার করতে রাজি যে আমি কিছু বিষয় পরিবর্তন করতে পারব না।”

5. “যারা মহান স্বপ্ন দেখে তাদের মহান স্বপ্ন অবশ্যই পূরণ হয়।”

• মহাত্মা গান্ধীর ১০১টি অনুপ্রেরণামূলক বাণী
• সম্পূর্ণ মহাভারতের কাহিনী
• কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী

6. “আমরা কি এটা জানিনা যে আত্মসম্মান আত্মনির্ভরতার সাথে আসে?”

7. “যদি আমরা স্বাধীন না হয়, তবে কেউ আমাদের সম্মান করবেনা।”

8. “ভারতে আমরা কেবল মাত্র মৃত্যু, রোগ ও সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কেপড়ি।”

9. “আসুন আজ আমরা বলিদান দিই যাতে কাল আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ভালো হয়।”

এ পি জে আব্দুল কালামের উক্তি

10. “আকাশের দিকেতাকান। আমরা একলানয়। সমস্ত ব্রহ্মান্ড আমাদের জন্য অনুকূল এবং যে স্বপ্ন দেখে এবং পরিশ্রম করে তাকে তার প্রতিদান দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রকরে।”

11. “মানুষের কখনও কখনও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া উচিত কারণ তা সফলতার আনন্দ নেবার জন্যজরুরি।”

12. “কোনো ধর্মেই তার অস্তিত্ব বজায় রাখা ও বৃদ্ধি করার জন্য অন্যদের হত্যা অনিবার্যতা বলা হয়নি।”

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১২০ টি বিখ্যাত উক্তি

13. “আমাকে বলুন, এখানকার মিডিয়া এত নেতিবাচক কেন? ভারতে আমরা কেন আমাদের সাফল্য এবং কৃতিত্ব প্রদর্শন করতে লজ্জাপায়। আমরা একটি মহানরাষ্ট্র। আমাদের কাছে অনেক সফলতার কাহিনী আছে, কিন্তু আমরা স্বীকার করিনা।কেন?”

14. “নিজের লক্ষ্যে সফল হওয়ার জন্য, আপনাকে আপনার লক্ষের প্রতি নিষ্ঠাবানহতেহবে।”

15. “আপনার স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগে আপনাকে স্বপ্ন দেখতে হব।” – APJ Abdul Kalam

16. “লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই থামিও না – এটাই অদ্বিতীয় তুমি। জীবনে একটা লক্ষ্য তৈরী করো, নিয়মিত জ্ঞান অর্জন করো, কঠিন পরিশ্রম করো এবং মহান লক্ষ্য প্রাপ্ত করার জন্য তৈরী থেকো।”

17. “ঈশ্বর, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের মস্তিস্ক এবং ব্যাক্তিত্যে অপরিসীম ক্ষমতা এবং শক্তি দিয়েছেন। ঈশ্বরের প্রার্থনা আমাদের সেই শক্তি বিকশিত করতে সাহায্য করবে।”

• সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জীবনী ও বাণী
• শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা বাণী, ছবি, স্ট্যাটাস

18. “যদি কোনো দেশ কে দুর্নীতি মুক্ত এবং মানুষের মনকে সুন্দর করতে হয়, তবে তা কেবলমাত্র তিন জন করতে পারে – পিতা, মাতা, এবং গুরু।”

19. “শ্রেষ্ঠত্ব একটি চলমানপ্রক্রিয়া, কোনো দুর্ঘটনা নয়।” – APJ Abdul Kalam

20. “সূর্যের মতো উজ্জ্বল হতে হলে প্রথমে তোমাকে সূর্যের মতো পুড়তে হবে।”

21. “শিক্ষন একটি মহান পেশা, যা কোনো ব্যক্তির চরিত্র, ক্ষমতা এবং ভবিষৎ কে আকার দেয়। যদি মানুষ আমাকে একজন ভালো শিক্ষক রূপে মনে রাখে তবে তা আমার জন্যসব থেকে সম্মানজনকহবে।”

22. আমাদের কখনই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় আর সমস্যাকে কখনই আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া উচিৎ নয়।

We should not give up and we should not allow the problem to defeat us. – APJ Abdul Kalam

• শুভ অক্ষয় তৃতীয়া ছবি ও শুভেচ্ছা বার্তা
• গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী

23. “প্রকৃত শিক্ষা একজন মানুষের গৌরব বৃদ্ধি করে এবং আত্মসম্মান বাড়ায়। যদি প্রতিটি মানুষ শিক্ষার বাস্তবিক অর্থ বুঝে নেয় এবং তা মানব উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করে, তবে এই দুনিয়া বসবাসের জন্য আরও ভালো স্থানে পরিণত হবে।”

24. “যখন একটি শিশুর বয়স 15, 16 বা 17 হয় তখন সে ঠিক করে, বড় হয়ে একজন ডাক্তার, একজনইঞ্জিনিয়ার, একজন রাজনীতিবিদ হবে অথবা চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে যাবে। এই সময়সে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে এবং এই সময়টায় তাদের কে গঠন করার প্রকৃত সময়। আপনি তাদেরকে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করতেপারেন।”

25. “যখন আমরা কোনো সমস্যার মোকাবিলা , তখন আমরা আমাদের সাহস এবং আমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অফুরন্ত শক্তিকে খুঁজে পাই। অসফল হলে আমরা ভাবি সমস্ত সুযোগ সুবিধা আমাদের কাছে ছিল, আমাদেরকে কেবল তা খুঁজে বার করার প্রয়োজন ছিল।”

Related post:

• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী
• ২৭০ টি মোটিভেশনাল উক্তি

26. “রাষ্ট্রপতি পদের রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়। একবার রাষ্ট্রপতি রূপে নির্বাচিত হয়ে গেলে তিনি রাজনীতির উপরে”

27. “আমারমতে, আপনি অল্প বয়সে অধিক আশাবাদী হন এবং এই সময় আপনার কল্পনা শক্তি অধিক হয়। আপনার মধ্যে ভেদাভেদও কম হয়।”

28. “যতক্ষণ না ভারত দুনিয়ার সামনে নিজেকে মেলে ধরবে ততক্ষন কেউআমাদের সম্মান করবে না। এই দুনিয়াতে ভয়ের কোনো স্থান নেই। কেবল মাত্র শক্তিই শক্তিকে সম্মান করে।”

29. “ভারত এক বিকশিত রাষ্ট্রে বদলাতে হবে, নৈতিক মূল্যের সাথে এক সমৃদ্ধ দেশে।”

30. “ভারতবর্ষ পরমাণু অস্ত্র ছাড়া থাকতে পারবে। এটা আমাদের স্বপ্ন, এটা আমেরিকারও স্বপ্ন হওয়া উচিত।”

31. “আমার কাছে নেতিবাচক অনুভূতি বলে কিছুনেই।”

32. “বর্তমান সময়ে ইংরেজি শেখা খুবইআবশ্যক, কারণ বিজ্ঞান এর সমস্ত কাজ ইংরেজিতে হয়। আমি বিশ্বাস করি যে আগামী দুই দশক এ বিজ্ঞান এর কাজ আমাদের ভাষায় হওয়া শুরুহবে। তখন আমরা জাপানিদের মতো সমানে এগিয়ে যেতেপারব।”

33. “বিজ্ঞান প্রমান করেছে যে মানুষের শরীর লাখ লাখ পরমাণু দিয়া তৈরী। উদাহরণ হিসাবে, আমার শরীরে 5.8×10^27 গুলো পরমাণু আছে।”

34. “আমার চুল ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি তা থামাতে পারবেন না। এটা বাড়তেই থাকবে – বেহিসাব বাড়বে।”

35. “ভগবান কেবল তাদেরকেই সাহায্য করে যারা পরিশ্রম করে। এটা খুবই স্পষ্ট।”

• স্বামী বিবেকানন্দের সম্পূর্ণ জীবন পরিচয়
• একাকিত্ব নিয়ে ১৪০ টি উক্তি

36. “একজন শিক্ষার্থীর সবথেকে বড় গুণ হল সে প্রশ্ন করে। তাকে প্রশ্ন করতে দিন।”

37. “বিজ্ঞান মানবতার জন্য একটি সুন্দর উপহার। আমাদের তাকে বিকৃত করা উচিত নয়।”

38. “এখন আঙ্গুলের একটি ক্লিকে পাওয়া তথ্য আমাকে আশ্চর্য করে।”

39. “রাজনীতি কি? রাজনৈতিক প্রণালী বিকাশের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক রাজনীতির সমান।”

40. “অনেক বছর ধরে আমি আমার আকাশে ওড়ার স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখেছি , কোনো মেশিনকে Stratosphere এর উপরে আরও উপরে নিয়ে যাওয়া আমার স্বপ্ন।”

41. “রাষ্ট্র জনগণ নিয়ে তৈরী হয়। আর তাদের সম্মলিত প্রয়াসে তারা সবকিছু করতে পারে।”

42. “যেখানে হৃদয় সৎ সেই ঘরে সবকিছু সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে ; যখন ঘরে সবকিছু সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে তখন দেশে নিয়ম থাকে ; আর যখন দেশে নিয়ম থাকে তখন দুনিয়াতে সবাই শান্তিতে থাকে।”

43. “শিক্ষার উদ্দেশ্য হল কৌশল এবং বিশেষজ্ঞতার সাথে ভালো মানুষ তৈরী করা; এক মাত্র শিক্ষকরাই পারে এই রকম মানুষ তৈরী করতে।”

44. “আমি হাতিয়ারের প্রতিযোগিতার বিশেষজ্ঞ নয়।”

45. “আমার কাছে দুই ধরণের মানুষ আছে : যুবক এবং অনুভবী।”

• ১০১ টি প্রেমের উক্তি পড়ুন
• ১৫ টি অনুপ্রেরণামূলক গল্প

46. “যখন বাচ্চারা সবার থেকে নিজেকে আলাদা ভাবে প্রকাশ করার জন্য সংঘর্ষ করছে, তখন কিন্তু দুনিয়ার সবাই চেষ্টা করছে তারা যেন আর সবার মতো হয়।”

47. “ভারতকে নিজের ছত্র ছায়ায় চলা উচিৎ – আমাদের নিজস্ব ডেভেলপমেন্ট মডেল হওয়া উচিৎ।”

48. “বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিস্কর সামনে কোনো প্রতিবন্ধকতায় দাঁড়াতে পারে না।”

49. “যুদ্ধ কোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়।”

50. “এমন অনেক নারী আছে যারা সমাজে বিরাট পরিবর্তন এনেছে।”

51. “ক্ষমতার নির্মাণ সমাজের অসাম্যকে কে ভঙ্গ করে। এর ফলে বিভেদ দূর হয়।”

1 Bonus APJ Abdul Kalam Bani in Bengali

52. “মহান শিক্ষক জ্ঞান, আবেগ ও সমবেদনা নির্মিত হয়।” – APJ Abdul Kalam

আশা করি এ পি জে আব্দুল কালামের উক্তি (APJ Abdul Kalam Bani in Bengali) গুলো পড়ে আপনি একটু হলেও অণুপ্রাণিত হয়েছেন।

আপনি এই লেখাগুলো পড়তে পারেন:

• নেতাজী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যু রহস্য
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১২০ টি বিখ্যাত উক্তি
• ডঃ বি আর আম্বেদকরের জীবনী
• সম্পূর্ণ কৃত্তিবাসী রামায়ণের কাহিনী

APJ Abdul Kalam bani in Bengali এর মত আমাদের অন্যান্য অনুপ্রাণিত লেখা ও বিখ্যাত মানুষের জীবনী ও উক্তি সম্পর্কিত লেখার নিয়মিত notification পাওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন ।

আর আপনার আশে পাশের মানুষদের অনুপ্রাণিত করতে তাদের সাথে এই লেখাটি Share করুন।

সবার সাথে শেয়ার করুন (Share) :

• Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
• Click to share on Facebook (Opens in new window)
• Click to share on Twitter (Opens in new window)
• Click to share on Telegram (Opens in new window)
• Click to share on Pinterest (Opens in new window)
• Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
• Click to share on Reddit (Opens in new window)
• Click to share on Tumblr (Opens in new window)
• Click to email a link to a friend (Opens in new window)
• Click to print (Opens in new window)

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Notify me of follow-up comments by email.

Notify me of new posts by email.

এ.পি.জে আব্দুল কালামের ৭৫ টি অনুপ্রেরণাদায়ক বাণী, Best motivational quotes by A.P.J. Abdul Kalam

এ.পি.জে. আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর,  ভারতের তামিলনাড়ু   রাজ্যের  রামেশ্বরমের  এক তামিল মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

পেশাগত  দিক থেকে বিজ্ঞানী ছিলেন তিনি এবং দেশ গড়ার কাজে ব্রতী হয়েছিলেন। তিনি ‘ইসরো’, ‘ডিআরডিও’-তে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। পরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হন।

ভারতের ‘মিসাইল ম্যান’ নামে খ্যাত এ.পি.জে. আব্দুল কালামের ব্যক্তিগত জীবন খুবই সহজ এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন।তিনি মারা যান ২৭ জুলাই ২০১৫ সালে।

জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তার লেখা বাণী মানুষকে অনুপ্রাণিত করে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে। তার মূল্যবান ৭৫ টা বাণী হল –  

এ পি জে আবদুল কালামের বাণী, Famous sayings of A.P.J. Abdul Kalam

• যদি তুমি ব্যর্থ হও অর্থাৎ FAIL করো, তাহলে কখনো হাল ছেড়ে দিওনা | কারণ FAIL শব্দটার একটা অন্য মানে আছে First Attempt in Learning অর্থ্যাৎ শিক্ষার প্রথম ধাপ।
• উদার ব্যক্তিরা ধর্মকে ব্যবহার করে বন্ধুত্বের হাত বাড়ান, কিন্তু সংকীর্ণ মনের মানুষরা ধর্মকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেন
• সফলতার গল্পে কেবল একটা বার্তা থাকে কিন্তু ব্যর্থতার গল্পে সফল হওয়ার উপায় থাকে।
• আপনাকে স্বপ্ন দেখে যেতে হবে, স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগে পর্যন্ত
• মানুষের জীবনে প্রতিবন্ধকতা থাকা দরকার, বাঁধা না থাকলে সফলতা উপভোগ করা যায়না
• আমাদের কখনই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় এবং সর্বদা প্রস্তুত থাকা উচিত যাতে কোনো বাঁধা আমাদের হারিয়ে দিতে না পারে
• ব্যর্থতা নামক রোগের সবথেকে ভালো ওষুধ হলো আত্মবিশ্বাস আর কঠোর পরিশ্রম, এটা আপনাকে একজন সফল মানুষ গড়ে তুলবে
• আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যতক্ষণ না একজন ব্যর্থতার স্বাদ অনুভব করছেন, ততক্ষন তার মধ্যে সফল হওয়ার যথেষ্ট ইচ্ছা থাকবেনা
• ছাত্রদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে বৈশিষ্ট্যটা থাকা দরকার তা হলো প্রশ্ন করার ক্ষমতা, তাদের প্রশ্ন করতে দিন

এ পি জে আবদুল কালাম এর অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কিত  আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি ফিদেল কাস্ত্রোর উক্তি ও বাণী সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।

আব্দুল কালামের অনুপ্রেরণাদায়ী উক্তি , A.P.J. Abdul Kalam’s motivational speech

• নির্দিষ্ট লক্ষ্য, ক্রমাগত জ্ঞান সঞ্চয় করা, কঠোর পরিশ্রম ও হার না মানা মনোভাব – এই চারটি জিনিস মেনে চললে যেকোনো কিছুকেই লাভ করা যেতে পারে
• স্বপ্ন দেখতে হবে, স্বপ্ন থেকেই চিন্তার জন্ম হয় আর চিন্তা জন্ম দেয় কাজের
• যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত, কিন্তু জ্ঞানী হলো সেই ব্যক্তি যে নিজেকে জানে | জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কোনো কাজেই আসেনা
• আমরা শুধু সাফল্যের উপরই গড়ি না, আমরা অসফলতার উপরেও গড়ি
• প্রশংসা করতে হবে প্রকাশ্যে কিন্তু সমালোচনা করতে হবে ব্যক্তিগত ভাবে
• বিজয়ী হওয়ার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে, বিজয়ী হওয়ার দরকার নেই এটা মনে করা | যখন তুমি স্বাভাবিক আর সন্দেহ মুক্ত থাকবে তখনই তুমি ভালো ফলাফল করতে পারবে
• একজন খারাপ ছাত্র একজন দক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে যা শিখতে পারে, তার চেয়ে একজন ভালো ছাত্র একজন খারাপ শিক্ষকের কাছ থেকে অনেক বেশি শিখতে পারে
• জটিল কাজে বেশি আনন্দ পাওয়া যায়, তাই সফলতার আনন্দ পাওয়ার জন্য মানুষের কাজ জটিল হওয়া উচিত
• সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে, তারপর সফল হতে হবে
• আমি এই কথাটা স্বীকার করতে প্রস্তুত ছিলাম যে, আমি কিছু জিনিসকে কখনই বদলাতে পারবোনা
• যে নিজের মন থেকে কাজ করতে পারেনা সেও অর্জন করে কিন্তু শুধুই ফাঁপা জিনিস
• একজন মহান শিক্ষক জ্ঞান,অদম্য ইচ্ছা আর করুনার দ্বারা নির্মিত হন
• ছোট লক্ষ্য রাখা একটি অপরাধ
• ওপরে আকাশের দিকে তাকান, আমরা একা নই
• স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে স্বপ্ন দেখে যেতে হবে
• স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখো | স্বপ্ন হলো সেটাই যা পূরণের অদম্য ইচ্ছা তোমায় ঘুমাতে দেবে না
• তুমি যদি তোমার কাজকে স্যালুট করো, তাহলে তোমার আর কাউকে স্যালুট করতে হবেনা | কিন্তু যদি তুমি তোমার কাজকে অসম্মান করো,ফাঁকি দাও কিংবা অমর্যাদা করো, তাহলে তোমার সবাইকে স্যালুট করে যেতে হবে
• যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারেনা, তাদের সাফল্য অর্জন আনন্দহীন ও আকর্ষণহীন, এমন সাফল্যের থেকেই সৃষ্টি হয় তিক্ততা

এ পি জে আবদুল কালাম এর অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কিত  আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি ভীষ্মের উপদেশমূলক বাণী সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।

এ পি জে আবদুল কালামের জীবন নিয়ে বাণী , Best life quotes by A.P.J. Abdul Kalam

• জীবন আর সময় হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক | জীবন শেখায় সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে আর সময় শেখায় জীবনের মূল্য দিতে
• তুমি তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করতে পারবেনা কিন্তু অভ্যাস পরিবর্তন করতে নিশ্চই পারবে, এবং অভ্যাসই তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করে দেবে
• ইশ্বর তাদেরই সহায় থাকেন, যারা কঠোর পরিশ্রম করেন, এই নীতিটি খুবই স্পষ্ট।
• নানারকমের চিন্তা ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে | আবিষ্কারের নেশা থাকতে হবে | যেই পথে কেউ যায়নি, সেই পথেই এগোতে হবে | অসম্ভবকে সম্ভব করার সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করেই সফল হতে হবে
• জীবনে কঠিন সব বাঁধা আসে, তোমায় ধ্বংস করতে নয় বরং তোমার ভীতরের লুকোনো অদম্য শক্তিকে অনুধাবন করাতে | বাঁধাসমূহকে দেখাও যে তুমিও কম কঠিন নও
• যদি সূর্যের মতো উজ্জ্বল হতে চাও, তাহলে তোমাকে প্রথমে সূর্যের মত পুড়তে হবে
• জীবন একটা কঠিন খেলা, ব্যক্তি হিসাবে মৌলিক অধিকার ধরে রাখার মাধ্যমেই একমাত্র তুমি জয়ী হতে পারবে
• গোটা মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুসুলভ, যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে তাদেরই শ্রেষ্ঠতা দেওয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত এই বিশ্ব
• যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতিতে রুপান্তরিত করতে হয়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি এতে তিনজন মানুষের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থাকে – বাবা,মা আর শিক্ষক
• আমি সুদর্শন নই, কিন্তু আমি আমার হাত তার জন্য বাড়িয়ে দিতে পারি, যার সত্যি সাহায্যের প্রয়োজন | সৌন্দর্য থাকে মানুষের মনে, মুখে নয়
• যুব সমাজকে চাকরিপ্রার্থী হওয়ার বদলে, চাকরিদাতা হওয়া প্রয়োজন
• গভীর দুঃখ ও অত্যাধিক আনন্দ থেকে কবিতার জন্ম হয়

এ পি জে আবদুল কালাম এর অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কিত  আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি জীবনানন্দ দাশের উক্তি সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।

এ.পি.জে আব্দুল কালামের শিক্ষণীয় কিছু পংক্তি, Educational quotes by A.P.J. Abdul Kalam

• প্রথম জয়ের পর কখনই বিশ্রাম নেওয়া উচিত নয়, তাহলে দ্বিতীয়বার যদি আমরা ব্যর্থ হই, তখন সবাই বলবে প্রথমটা তুমি ভাগ্যের জোরে পেয়েছিলে
• ভিন্নভাবে চিন্তা করা এবং উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে । অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস দেখাতে হবে । সমস্ত সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে । মহান গুণাবলী দ্বারা নিজেদের পরিচালিত করতে হবে । তরুণদের প্রতি এই হল আমার বার্তা।
• উৎকর্ষ একটি চলমান প্রক্রিয়া । এটি কোন আবশ্যিক ঘটনা নয় ।
• আমাদের সবার সমান মেধা নেই। তবে আমাদের সকলেরই সুযোগ রয়েছে প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর
• সমস্যা এলে কখনো এড়িয়ে যাবে না । মুখোমুখি রুখে দাঁড়াবে । মনে রাখবে, সমস্যাহীন জয়ে কোন আনন্দ নেই । আর সব সমস্যার সমাধান আছে ।
• সারা জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করি । এক) জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা, দুই) জ্ঞান অর্জন করা, তিন) কঠিন সমস্যায় পিছু না হটা চার) কোন কাজে সফলতা ও ব্যর্থতা দুটোতেই নেতৃত্ব দেওয়া ।
• সমস্যাকে কখনো তোমার উপর চেপে বসতে দেবে না । হতাশ না হয়ে, তুমি দেখো স্বপ্ন পূরণের কতটা কাছে তুমি এলে ।
• সাহস হারাবে না । আর লক্ষ্য রাখবে জীবনের একটি দিনও যাতে ব্যর্থ না যায় ।
• স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত করার পূর্বে, স্বপ্ন দেখা প্রয়োজন ।
• ঘোড়া ও পাখি কোনদিন অসুখী নয় । কারণ তারা অপর ঘোড়া বা অপর পাখিকে সুখী করার চেষ্টা করে না ।
• মহৎ মানুষেরা ধর্মকে মিত্রতা স্থাপনের কাজে ব্যবহার করে । আর সংকীর্ণ মানুষেরা ধর্মকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগায়
• সেই ভালো শিক্ষার্থী হয়, যে প্রশ্ন করতে পারে । তাই ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে হবে ।

কিনে নিন আব্দুল কালামের লেখা দারুন একটি বই, Ignited Minds: Unleashing the power within India

মানবিকতা ও সাফল্য নিয়ে কালামের বিখ্যাত উক্তি, Best humanity and success quotes by A.P.J. Abdul Kalam

• আমার কাছে নেগেটিভ এক্সপেরিয়েন্স বলে কিছুই নেই । যদি আমি কাজকে ভালবাসি, তাহলে শত ব্যস্ততার মধ্যেও কাজটি করার জন্য সময় বের করে নিতে পারব ।
• ঈশ্বর তাদেরকেই সাহায্য করে যারা কঠোর পরিশ্রমী হয় ।
• একটি ভালো বই হাজার বন্ধুর সমান, আর একটি ভালো বন্ধু একটি লাইব্রেরির সমান ।
• দেশের সবথেকে বুদ্ধিমান মানুষেরা লাস্ট বেঞ্চ থেকে উঠে আসে
• সফলতার কাহিনী অপেক্ষা ব্যর্থতার কাহিনী পড় । সেখান থেকে সফলতার দিশা খুঁজে পাবে।
• যদি তোমার সবকিছু শেষ হয়ে যায়, ভেঙে পড়ো না । মনে রাখবে এন্ড শব্দের আরেকটি অর্থ রয়েছে। এণ্ড ফর নেভার ডাই । অর্থাৎ প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই।
• আমরা তখনই স্মরণীয় হয়ে থাকব, শুধুমাত্র যখন আমরা আমাদের উত্তর প্রজন্মকে উন্নত ও নিরাপদ ভারত উপহার দিতে পারব।
• তোমার কাজকে ভালোবাসো কিন্তু তোমার কোম্পানিকে ভালোবেসো না। কারণ তুমি হয়তো জানো না কখন কোম্পানিটি তোমায় ভালোবাসবে না।
• আমি এই কথাটা স্বীকার করতে প্রস্তুত ছিলাম যে আমি কিছু জিনিস কে কখনোই বদলাতে পারবো না।
• কাউকে ঠকিয়ে যারা নিজেকে বড় ভাবে, তারাও একদিন ঠকবে। অপেক্ষা শুধু সময়ের।
• শিক্ষাবিদদের উচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুসন্ধানী, সৃষ্টিশীল ও উদ্যোগী ও নৈতিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া যাতে তারা আদর্শ মডেল হতে পারে।
• আপনার চিন্তাভাবনাটি আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠবে, আপনার জীবনে যা কিছু উত্থান-পতন ঘটুক না কেন
• কাউকে পরাজিত করা খুব সহজ, তবে কাউকে জেতা খুব কঠিন

এ পি জে আবদুল কালাম এর অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কিত  আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি শেখ হাসিনার বিখ্যাত উক্তি সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।

পরিশেষে, Conclusion

এ পি জে আবদুল কালাম এর অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কিত আজকের এই পোষ্টটি আপনাদের পছন্দ হলে আশা করব আপনারা আপনাদের বন্ধু মহলে, পরিজনকেও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্টটি শেয়ার করে নেবেন ।

Go to Generate Picture Page by Entering Your Email Address

If you provide your email then we will not ask you for email again.

• Create Photo 🤩

Editorial Desk

Recent Posts

শ্রী শ্রী পরমহংস যোগানন্দ এবং তার অনুপ্রেরণামূলক উক্তি, Sri Sri Paramahamsa Yogananda and his inspirational quotes in Bangla

একজন ভারতীয় আমেরিকান হিন্দু সন্ন্যাসী, বিশিষ্ট...

শ্রী শ্রী রবি শংকরের অনুপ্রেরণামূলক বাণী এবং উক্তি, Shri Shri Ravishankar motivational quotes and teachings in Bangla

শ্রী শ্রী রবি শঙ্কর একজন বিশিষ্ট ভারতীয় আধ্যাত্মিক নেতা এবং মানবতাবাদী।...

Apj Abdul Kalam Biography in Bengali | আব্দুল কালামের জীবনী

• Post author: abhi chavan
• Post category: Bengali Biography
• Post last modified: July 10, 2024

Apj Abdul Kalam Biography in Bengali – এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, যিনি পরবর্তীকালে ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মিসাইল টেকনোলজি বিশেষ অবদানের কারনে তালে মিসাইল ম্যান এর উপাধি দেওয়া হয়। কিভাবে তিনি দারিদ্রতার মধ্যে থেকে প্রথমে বিজ্ঞানী ও তার পর রাষ্ট্রপতি হয় তা সমস্ত যুব সমাজকে এক অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে। আজ আমরা সেই মহান ব্যক্তি ও বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী (biography of abdul kalam bangla) সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে পড়বো।

Brief Biography Dr APJ Abdul Kalam in Bengali

এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী কাহিনী

[এপিজে আব্দুল সম্পর্কে এই লেখাটি আপনার এই সমস্ত প্রশ্নের জন্য ব্যবহার করতে পারেন – আব্দুল কালামের জীবনী , Essay on Apj Abdul Kalam in Bengali language, এপিজে আব্দুল কালামের প্রবন্ধ রচনা, Biography of Apj Abdul Kalam in Bengali, এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী, Apj Abdul Kalam Paragraph in Bengali, এপিজে আব্দুল কালামের সংক্ষিপ্ত জীবনী]

জন্ম ও পরিবার

এপিজে আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত যা বর্তমানে তামিলনাড়ু রাজ্যের অন্তর্গত রামেশ্বরমমে মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করে।

কালামের পিতার নাম ছিল জৈনুলাবুদ্দিন এবং মাতা হলেন অশিয়াম্মা। তার পিতা মাছ চাষের নৌকা ভাড়া দেওয়া কাজ করতো। তার মাতা ছিলেন একজন গৃহবধূ। এছাড়া আব্দুল কালামের দুটি ভাই ও একটি বোন ছিল তাদের মধ্যে আব্দুল কালাম ছিল সবথেকে ছোট।

এপিজে আব্দুল কালামের ছেলেবেলা – Childhood of Apj Abdul Kalam in Bengali

এপিজে আব্দুল কালামের প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম থেকে আরম্ভ হয়। আব্দুল কালামের পরিবার খুব একটা ধনীনা হওয়ার কারনে তার ছেলে বেলা দারিদ্রের মধ্যে যাই। এপিজে আব্দুল কালামের পিতে ছিলেন একজন নাবিক, তার পিতাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে ছোটবেলা থকেই আব্দুল কালাম স্কুল শেষে হাউয়ার পর খাবারের কাগজ বিতরণের কাজ করতো,এবং তার থকে যা আয় হতো ত দিয়ে সে তার স্কুল এর ফিস দিত।

এপিজে আব্দুল কালাম অনুশাসন, শিষ্টাচার ও উদারতা শিক্ষাটি ছোটবেলায় তার পিতার কাছ থেকে পাই। তার পিতা তাকে বলতো যে যদি কখনো জিবনে কঠিন সমায় আসে তখন আমরা যাতে নিরাশ হয়ে বসে না থাকি কারণ কঠিন সময় আমাদেরকে আমাদের আসল শক্তির সাথে পরিচয় করাতে সাহায্য করে। এপিজে আব্দুল কালাম তার পিতার সমস্ত উপদেশ গুলি খুব মন দিয়ে শুনতো।

এপিজে আব্দুল কালামের শিক্ষাজীবন

এপিজে আব্দুল কালাম ছেলেবেলায় থেকেই একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছোটবেলা থেকে তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ খুব গভীর ছিল সেই কারণে তিনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে ভালোবাসতেন।

আব্দুল কালামের তার প্রাথমিক শিক্ষা ও স্কুল জীবন তিনি রমনাথপুরম শোয়ার্জ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে সম্পন্ন করেন ও পরে তিনি ১৯৫৪ সালে তিরুচিরাপল্লী সেন্ট জোসেফ কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয় ও সেখান থেকে তিনি পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতক পাশ করে বেরিয়ে আসেন।

তারপর তিনি তার উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজ এ চলে আসেন, এবং সেখানকার মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি তে এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা শুরু করেন। সেইখানে তার তৃতীয় বছর চলাকালীন তাকে কয়েকজন আরও শিক্ষার্থীর সাথে একটি নিম্ন স্তরের আক্রমণ বিমানের নকশা করার একটি প্রজেক্ট দেওয়া হয় যা তারা খুব ভালোভাবে সেটিকে তৈরি করে। পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালে আব্দুল কালাম মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ভালো নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।

এপিজে আব্দুল কালামের কর্মজীবন ও তার অবদান

মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে তিনি তার পড়াশোনা সম্পন্ন করার পরে এপিজে আব্দুল কালাম ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম তিনি তিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) তে টেকনিক্যাল সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন।

সেই সংস্থায় কর্মরত থাকা কালীন তিনি তার কর্মজীবনের শুরুতে ভারতীয় সেনার জন্য হোভার এয়ারকারফ একটি নকশা তৈরি করেন। DRDO তে কর্মরত থাকা কালীন Prototype Hovercraft এর জন্য তৈরি একদল ইঞ্জিনিয়ার এর নেতৃত্ব করেন।

১৯৬২ সালে আব্দুল কালাম ভারতীয় রক্ষা সংস্থায়টি (DRDO) থেকে বদলি হয়ে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) যোগদান করেন। সেখানে তিনি প্রথমে মহান মহাকাশ বিজ্ঞানী ডক্টর বিক্রম সরভাইয়ের নেতৃত্বে কাজ করেন এবং পরবর্তীকালে বড়ো পদে উন্নতি লাভ করেন।

১৯৬৯ সালে এপিজে আব্দুল কালাম ISRO দ্বারা নির্মিত ভারতের প্রথম SLV -৩ (রোহিণী) এর জন্য তাকে প্রজেক্ট হেড করা হয়।

তার নেতৃত্বে ১৯৮০ সালে ভারত প্রথম তার SLV (রোহিণী) কে পৃথিবীর নিকটতম কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়।

ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) যোগ দেওয়ার পর থেকে এপিজে আব্দুল কালামের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল, তখন তিনি অনুভব করেছিলেন যেন তিনি যেমন ভেবেছিলেন ঠিক তেমন কাজ করার সৌভাগ্য পেয়েছেন ।

১৯৮২ সালে, তিনি আবার প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থায় (DRDO) পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এপিজে আব্দুল কালামের নেতৃত্বে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম সফলভাবে চালু হয়েছিল, তিনি এই প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। সেই প্রজেক্ট এর জন্য ভারত অগ্নি ও পৃথিবী মিসাইল পাই।

১৯৯২ সালে, এপিজে আব্দুল কালাম তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) সেক্রেটারি বিভাগের সচিব হন। তিনি ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই পদে কাজ চালিয়ে যান।

মহাকাশ বিজ্ঞানে ও ভারতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাই এই অবদানের জন্য তাকে ভারতের সবথেকে সন্মানীয় পুরস্কার “ভারতরত্ন” দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে এপিজে আব্দুল কালাম

এপিজে আব্দুল কালাম বৈজ্ঞানিক হিসেবে অধিক নাম ও খ্যাতির কারণে, তাকে ২০০২ সালে তৎকালীন ভারতের কেন্দ্রের (NDA) সরকারের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতি জন্য তার নাম মনোনীত করা হয়। এবং তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লক্ষ্মী শেগলকে কে বিপুল ভোটে পরাজিত করে।

২৫ জুলাই ২০০২ সালে তিনি ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ভারতের এমন তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে ভারতের সম্মানিত পুরষ্কার “ভারতরত্ন” দ্বারা ভূষিত হন। এর আগে ডাঃ রাধাকৃষ্ণান ও জাকির হুসেন রাষ্টপাতি হওয়ার পূর্বেই “ভারতরত্ন” পুরস্কারটি পেয়েছিলন।

তিনি বৈজ্ঞানিক হিসেবে তো জনপ্রিয় ছিলেন কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হলে ওঠে, তাকে “জনতার রাষ্ট্রপতি” হিসেবে অভিহিত করা হত।

কিভাবে তিনি একটি ছোট শহরে জন্মগ্রহন করে, প্রথমে বৈজ্ঞানিক ও পরে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে তিনি রাষ্ট্রপতি পদ পর্যন্ত তার যাত্রা করেন, তা প্রতিটি যুবককে অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে।

দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটেলের মেয়াদ শেষে পরবর্তী সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার নাম আবারও আলোচনায় ছিল, তবে অনেক কম সমর্থনের অভাবের কারণে তিনি তার প্রার্থিতার ধারণা ত্যাগ করেছিলেন।

রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের পরে ডাঃ এপিজে আব্দুল কালাম শিক্ষকতা, লেখালেখি, বিজ্ঞান এবং গবেষণার মতো কাজে নিযুক্ত ছিলেন।

এ ছাড়া তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স ব্যাঙ্গালোরের ফেলো, ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের চ্যান্সেলর, চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয় তিরুবনন্তপুরম, এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক হন এপিজে আব্দুল কালাম।

এপিজে আব্দুল কালাম সর্বদা দেশের যুবকদের উন্নতির জন্য বিভিন্ন মঞ্চে মোটিভেশন বক্তব্য রাখেন। দেশের যুব সমাজের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে তিনি 2 বার এবং ‘এম.টি.ভি. ‘যুব আইকন অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য মনোনীত হয়েছিল। এছাড়া তাকে দেশের অনেক কলেজে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে ডাকা হয়েছিল।

এপিজে আব্দুল কালাম সম্পর্কে কিছু আকর্ষনীয় তথ্য

এতক্ষন এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী পরে আপনি নিশ্চই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তবে আসুন এইবার আব্দুল কালাম সম্পর্কে কিছু আকর্ষনীয় তথ্যের ব্যাপারে জানি –

• এ.পি.জে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী “উইংস অফ ফায়ার” প্রথম দিকে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে পরে তা ফরাসি ও চিনা ভাষা সহ আরো মোট তেরোটি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
• এপিজে আব্দুল কালাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হওয়ার কারণে, ২০১০ সালে জাতিসংঘ তরফ থেকে এপিজে আব্দুল কালামের জন্মদিন ১৫ অক্টোবর এ ” বিশ্ব ছাত্র দিবস” ঘোষণা করেন।
• এপিজে আব্দুল কালাম বই ছাড়া তিনি কারও কাছ থেকে কোনও উপহার কখন গ্রহণ করেননি।
• ২০১১ সালে, নীলা মাধব পান্ডা কালামের জীবন ভিত্তিক একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন, যার শিরোনাম ” I Am Kalam “
• এপিজে আব্দুল কালামের গণিত এবং পদার্থ বিজ্ঞান ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়।
• তিনি দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে প্রদত্ত বক্তৃতা গুলির জন্য কোন ফি নেননি।
• এ. পি. জে আব্দুল কালাম একজন নিরামিষভোজী ছিলেন।
• তিনি বিজ্ঞানের সাথে সাথে সাহিত্যের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। যার ফলস্বরূপ তিনি তার মাতৃভাষা তামিলে অনেকগুলি কবিতার রচনা করেন।

এপিজে আব্দুল কালামের লেখা কিছু বিখ্যাত পুস্তক

এপিজে আব্দুল কালাম তার জীবনকালে একাধিক পুস্তক রচনা করেন। একটি জীবনী সহ একাধিক নির্দেশমূলক ও অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের লেখক তিনি। ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের লেখা শীর্ষস্থানীয় পুস্তক গুলি হল –

• উইংস অফ ফায়ার ( এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী )
• টার্নিং পয়েন্টস: চ্যালেঞ্জগুলো সাথে যাত্রা,”
• পরিবর্তনের জন্য চিন্তা ভাবনা: আমরা এটা করতে পারি

আলবার্ট আইনস্টাইনের বাণী ও উক্তি

• “সফলতার জন্য লড়াই না করে নিজেকে মূল্যবান মানুষ হিসাবে তৈরি করেন।”
• “ সমগ্র বিজ্ঞান দৈনন্দিনের একটি পরিশোধন চিন্তা ছাড়া আর কিছুই না।”
• অভিজ্ঞতাই হল জ্ঞাণের একমাত্র উৎস
• “সবকিছু যতটা সম্ভব সরল করা উচিত, তবে একদম সরল নয়।”
• ” যে কখনাে ভুল করেনি, সে কখনাে নতুন কিছু করার চেষ্টাই করেনি।”

[ আরো পড়ুন – এপিজে আব্দুল কালামের উক্তি ও বাণী ]

এপিজে আব্দুল কালাম এর উপাধি ও সম্মান

মহাকাশ বিজ্ঞান ও ভারতীয় সুরক্ষা বেবস্থায় তার অতুলনীয় কাজকর্মের জন্য তাকে ভারতে ও দেশ-বিদেশ থেকে একধিক পুরুস্কার ও উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা হয়। তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য সম্মান গুলি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল –

• ভারত সরকারের তরফ থেকে সম্মানজনক ‘ভারতরত্ন,’ এবং ‘পদ্মভূষণ’ দিয়ে ভূষিত করা হয়েছিল।
• ১৯৯৭ সালে ভারত সরকার তাকে জাতীয় সংহতকরণের জন্য ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার প্রদান করে।
• আব্দুল কালামকে বীর সাভারকার পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
• ২০০০ সালে, এপিজে আব্দুল কালাম আলভার্স গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক ‘রামানুজন পুরস্কার’ লাভ করে।
• ২০০৩ ও ২০০৪ সালে পরপর দুই বছর তিনি MTV ‘যুব আইকন অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ দ্বারা সন্মানিত হন।
• ২০০৭ সালে, তিনি রয়েল সোসাইটি থেকে ‘কিং চার্লস দ্বিতীয় পদক’ পেয়েছিলেন।
• ২০০৯ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে আন্তর্জাতিক কার্মান অফ্ উইংস অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সন্মানিত করা হয়।
• এছাড়া এ.পি.জে আব্দুল কালাম ৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি পেয়েছেন।

You Might Also Like

আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর জীবনী | Jagadish Chandra Bose Essay in Bengali

স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী | Biography of Swami Vivekananda in Bengali

সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এর জীবনী | Sarvepalli Radhakrishnan Biography in Bengali

• Love Shayari
• Hindi Quotes
• Bengali Caption
• Privacy Policy

• Class 6 Bengali
• Class 6 English
• Class 6 Geography
• Class 6 History
• Class 6 Science
• Class 6 Mathematics
• Class 7 Bengali
• Class 7 English
• Class 7 Geography
• Class 7 History
• Class 7 Science
• Class 7 Mathematics
• Class 7 Health and Physical Education
• Class 8 Bengali
• Class 8 English
• Class 8 Geography
• Class 8 History
• Class 8 Science
• Class 8 Mathematics
• Class 9 Bengali
• Class 9 English
• Class 9 Geography
• Class 9 History
• Class 9 Life Science
• Class 9 Physical Science
• Class 9 Mathematics
• Madhyamik Bengali
• Madhyamik English
• Madhyamik Geography
• Madhyamik History
• Madhyamik Life Science
• Madhyamik Mathematics
• Madhyamik Physical Science
• Class 11 Bengali
• Class 11 English
• Class 11 Geography
• Class 11 History
• Class 11 Political Science
• Class 11 Education
• HS Chemistry
• HS Computer Science
• HS Education
• HS Geography
• HS Mathematics
• HS Philosophy
• HS Political Science
• HS Sanskrit
• Geotectonics
• Geomorphology
• Biogeography
• Climatology
• Geographical Thought
• Geography of West Bengal
• Geography of India
• Animal Facts
• Company Facts
• World Facts
• Govt Schemes
• Current Affairs
• Copyright Policy
• Privacy Policy
• Terms and Conditions
• Android App Download

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী

A.p.j. abdul kalam biography in bengali.

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali : মিশাইল ম্যান অগ্নিপুরুষ এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ.পি.জে. আবদুল কালামকে মিশাইলম্যান বলা হয়ে থাকে । ২০০২ সালে কালাম তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ।

  মিশাইল ম্যান এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali বা এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী বা (A.P.J. Abdul Kalam Jivani Bangla. A short biography of A.P.J. Abdul Kalam. A.P.J. Abdul Kalam Birth, Place, Life Story, Life History, Biography in Bengali) এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

এ.পি.জে. আবদুল কালাম কে ছিলেন ? Who is A.P.J. Abdul Kalam ?

  এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ – ২০০৭)। কালাম তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে। পরে এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ঘটনাচক্রে গণপ্রজাতন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কালামের জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফ’স কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা (এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এম আই টি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর চল্লিশ বছর এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। 

মিশাইল ম্যান এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali :

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জন্ম – A.P.J. Abdul Kalam Birthday :

 ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর রামানাথপুরম জেলায় রামেশ্বরম দ্বীপসাগরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । 

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর পিতা – A.P.J. Abdul Kalam Father :

 পিতা জয়নুল আবেদিন ছিলেন পেশায় মৎসজীবি । খুব বেশী শিক্ষিত মানুষ ছিলেন না তিনি । তবে মনের দিক থেকে তিনি ছিলেন খুবই বড়োমাপের । ছোটবেলা থেকে পুত্র আবদুলের মনে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন । বারবার তিনি গল্পছলে আবদুলকে বলতেন পরবর্তী কালে তুমি যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠতে পারে ।

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর পরিবার – A.P.J. Abdul Kalam Family :

এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছিলেন তিন ভাই আর একবোনের সংসার । জালালউদ্দিন আর সামসুদ্দিনের সঙ্গে আবদুলের ছোটোবেলার দিনগুলি কেটে গিয়েছিল । পরবর্তীকালে আবদুল স্বীকার করেছেন , বেড়ে ওঠার এই ব্যস্ত প্রহরে দু – ভাইয়ের সান্নিধ্য এ.পি.জে. আবদুল কালামকে (A.P.J. Abdul Kalam) নানাভাবে উপকৃত করেছিল । তিন ভাই ছিলেন পিতার আদর্শে গড়া সততার প্রতিমূর্তি। 

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর মাতা – A.P.J. Abdul Kalam Mother :

 মা আসিয়ানা সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকতেন । শত দুঃখকষ্ট জ্বালা যন্ত্রনাকে সহ্য করার মতো সহিষ্ণুতা লুকিয়ে ছিল তার অন্তরে ।

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর শৈশবকাল – A.P.J. Abdul Kalam Childhood :

 মায়ের পরিবারের পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশ প্রদত্ত বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন । মা কিন্তু তার এই ভাগ্য বিপর্যয়কে হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন । তিনটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তানকে কীভাবে মানুষের মত মানুষ করে বড়ো করা যেতে পারে , তাই ছিল তাঁর ইহজীবনের স্বপ্ন । ছোটবেলার খেলার সাথীদের কথাও মনে পড়ে যায় আবদুলের । মেলামেশা করতেন রামনাথ শাস্ত্রী , অরবিন্দন আর শিব প্রকাশনের সঙ্গে , তাঁরা সকলেই ছিলেন সনাতনপন্থী হিন্দু পরিবারের সন্তান । আর আবদুল গোড়া মুসলমান । কিন্তু শৈশবে তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার ভেদ রেখা ছিল না । তখন তাঁরা সকলেই একসঙ্গে মেলামেশা করতেন ।

 ভারী সুন্দর ছিল শৈশবের এই অকলঙ্ক দিনগুলি । পৃথিবীর কোনো সমস্যার বোঝা তখন আমাদের মাথার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি । স্মৃতিচারণের মাধ্যমে বারবার এই হারিয়ে যাওয়া রঙিন দিনগুলির কথা শুনিয়েছেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম । তখন সারা বছরের সবচেয়ে বড়ো উৎসব ছিল শ্রী সীতারাম কল্যানম্ উৎসব । গোটা পরিবার এই উৎসবে অংশ নিত । রাম সীতার মূর্তি মন্দির থেকে নৌকায় করে তুলে বিবাহমন্ডপে নিয়ে যাওয়া হত । আবার উৎসব শেষ হলে দুটি মূর্তিকে ফেরত নিয়ে যাওয়া হত মন্দিরে ।

 কাছেই একটি পুকুর ছিল রামতীর্থ । সেখানে এই দুটি মূর্তিকে শ্রদ্ধাসহকারে অবগাহন করানো হত । ভাবতে অবাক লাগে , আজ থেকে কত বছর আগে গোড়া মুসলমান পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও আবদুল পরম আগ্রহে ওই বাৎসরিক উৎসবে যোগ দিতেন । 

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর শিক্ষাজীবন – A.P.J. Abdul Kalam Education Life :

 দিন কাটতে থাকে এবার কালামকে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে হবে । পিতা ছিলেন বিদ্যানুরাগী , সংস্কৃত সাহিত্যের গল্পকথা আবদুলকে শোনাতেন । মা ঠাকুরমার মুখ থেকে আবদুল রামায়ণ এবং মহাভারতের অনেক কাহিনীও শুনেছিলেন । এই ভাবে তাঁর হৃদয়ে সংস্কৃতির পরম্পরা প্রবাহিত হয়েছিল । তিনি ভর্তি হলেন রামেশ্বরম এলিমেন্টরি স্কুলে । পাশাপাশি বেঞ্চে বসে ক্লাস করেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পুত্রের সঙ্গে । টিফিনে একই খাবার ভাগ করে খান । এখানে কোথায় যেন একটা অঘটন ঘটে গেল । কালাম তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র । মাথায় টুপি পরতেন । এই টুপি দেখে বোঝা যেত এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) মুসলমান পরিবারের সন্তান । ক্লাসে সবসময় প্রথম বেঞ্চে বসতেন । একদিন কঠিন কঠোর নীতিবাগীশ শিক্ষকমশাই আবদুলকে প্রথম বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দিলেন । আবদুল এই অপমান অনেক দিন মেনে নিতে পারেননি । অবশ্য পরবর্তীকালে ওই মাস্টারমশাই তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন । তিনি আবদুলকে আবার প্রথম বেঞ্চে ডেকে নেন ।

 রামেশ্বরমে তখন ছোটো ছোটো সামাজিক গোষ্ঠীর অস্তিত্ব ছিল । এক গোষ্ঠীর সদস্যের সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর সদস্যের ক্ষমতার লড়াই চলত । এই ভেদনীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ধ্বজা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক শিব সুব্রহ্মনিয়াম আয়ার । আয়ার ছিলেন আবদুলের অত্যন্ত প্রিয় শিক্ষক ।

 কালাম বড়ো হলেন । গ্রামের সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে উঠলেন । খেতে ভালোবাসতেন মাদ্রাজি খাবার , কলা , ভাত আর সম্বর । লঙ্কার সঙ্গে চাটনি । আবদুলের বাড়ি থেকে রামেশ্বরমের বিখ্যাত শিবমন্দিরটির দূরত্ব খুবই কম । সেই মন্দিরে মাঝে মাঝে যেতেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ।

 চোখ বন্ধ করলে ছোটোবেলার খন্ড খন্ড ছবি ভেসে ওঠে । রামেশ্বরম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পক্ষিলছমন শাস্ত্রীর সঙ্গে পিতার আধ্যাত্মিক আলোচনা বুঝি এখনো শুনতে পান এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । মুসলমান পিতা এবং হিন্দু পুরোহিত দুধরনের পোশাক পরে একই বিষয় নিয়ে ভাববিনিময় করছেন । 

 একটু বড়ো হয়ে আবদুল বাবার কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাবা , প্রার্থনার কি কোনো আলাদা অর্থ আছে ?

 বাবা বলেছিলেন শোনো আবদুল , প্রার্থনার একটা আলাদা মূল্য আছে । প্রত্যেক মানুষের মধ্যে আত্মা আছে । প্রার্থনার দ্বারা আত্মার সাথে দেহের যোগসূত্র স্থাপিত হয় ।

 পরবর্তীকালে কালাম জানিয়েছেন আমার বাবার আধ্যাত্মিক চিন্তা ছিল সহজ সরল গ্রাম্য প্রকৃতির । তিনি বলতেন , এ পৃথিবীর সকলেই ঐশ্বরিক অস্তিত্বের অঙ্গ । সকলের মধ্যে স্বয়ং আল্লাহ বসবাস করছেন । 

 এবার কালাম এলেন বৃহত্তর শিক্ষাঅঙ্গনে । ভর্তি হলেন স্টুওয়াজ হাইস্কুলে । ছোটোবেলার সঙ্গী সাথীদের সাথে আর তার দেখা হতো না । কিশোর কালাম উপলব্ধি করলেন সেই শাশ্বত সত্য জীবনে চলার পথে এভাবেই আমরা একলা পথিক হয়ে যাই । এই হাইস্কুলের অনেকের কথাই মনে পড়ে । ওখানকার শিক্ষক ইয়াদুরাই সলোমনকে তিনি কখনো ভুলতে পারবেন না । তাকে দেখে কিশোর কালামের মনে হত , তিনি বোধহয় বৈদিক যুগের এক ব্রহ্মচারী । ছাত্রের জীবন অন্বেষণার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন ।

 সলোমন কালামকে কর্মযোগী পুরুষে পরিণত করেছিলেন । এই শিক্ষক কালামকে তিনটি মূল মন্ত্র শিখিয়েছিলেন । জীবনে সফল হতে গেলে তিনটি গুণের অধিকারী হতে হবে ইচ্ছা , বিশ্বাস এবং আশাবাদ । ইচ্ছা হল স্বপ্নের প্রথম প্রহর । যদি মনের মধ্যে ইচ্ছার বীজ তপ্ত না হয় তাহলে আমরা সফলতার গাছ কখনো দেখতে পাব না । দ্বিতীয় প্রহর হল বিশ্বাস । নিজের কর্তব্যবোধের ওপর অবিচল আস্থা থাকতে হবে । ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস এবং নির্ভরতা রাখতে হবে।

 সর্বশেষ প্রহরে আশাবাদ জেগে ওঠে । আশাবাদ না থাকলে অরণ্যচারী মানুষ আজ মহাকাশ বিজয়ী হতে পারতনা ।

 পরবর্তীকালে সলোমন রেভারেন্ড হয়েছিলেন । তিনি কালামকে বলেছিলেন , কোনো কাজ সার্থকভাবে পূর্ণ করার আগে তোমাকে সেই কাজটির জন্য বাসনা তৈরী করতে হবে । মনে মনে বারবার বলতে হবে , এই কাজটি আমার দ্বারাই হবে । এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আমি এই পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করেছি ।

 শিক্ষকের আর একটি কথা কালামকে উদ্দীপ্ত করত । পড়াতে পড়াতে তিনি প্রায়শই বলতেন , বিশ্বাসের জোরে তুমি ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে । 

পরবর্তীকালে কালাম এই ব্যাপারটি নিজের জীবনে সত্যি বলে প্রমাণ করেছিলেন । সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি জগৎ সভায় ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন ।

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর কলেজ জীবন – A.P.J. Abdul Kalam College Life :

এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছোটোবেলা থেকেই ছিলেন বিজ্ঞানের এক অসাধারণ প্রভাবশালী ছাত্র । স্কুলের পরীক্ষাতে বরাবর কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছেন । তার কর্মজীবনটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ১৯৫০ সালে সেন্ট জোসেফ কলেজে ভর্তি হলেন কালাম , ইন্টারমিডিয়েট কোর্সে । সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর ম্যাড্রাস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভর্তি হন এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ।

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর কর্মজীবন – A.P.J. Abdul Kalam Work Life :

 ১৯৬০ – এ বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে ( ডি আর ডি ও ) । কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছোট মাপের একটি হেলিকপ্টারের নকশা করার মধ্য দিয়ে । কিন্তু দ্রুতই উত্থান ঘটে তার । ভারতের মহাকাশ গবেষণার সংস্থা ইসরো – র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি । দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নত সামরিক মিসাইল তৈরির প্রকল্পে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন । মহাকাশযান ও স্যাটেলাইট বহনকারী পি এস এল ভি এবং এস এল ভি থ্রি রকেট তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারতের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ বলা হয় তাঁকে । পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য । ১৯৯৮ সালে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত ‘ পোখরান – টু ’ প্রকল্পের চিফ প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর ছিলেন তিনি ।

 দেশের প্রথম সারির বিজ্ঞানী হিসাবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন । রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করা । রাষ্ট্রপতির পদে দাঁড়ানো এবং সেই পদে নির্বাচিত হওয়া । রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিভিন্ন বিতর্কমূলক কাজে জড়িয়ে পড়া । নিজেকে রাজনৈতিক দলাদলির উর্দ্ধে রাখা , এমন অনেক আদর্শ স্থানীয় কাজ করে আজ কালাম আমাদের কাছে এক মহান মানুষে পরিণত হয়েছেন । আজও মাঝে মাঝে তিনি বিভিন্ন জায়গাতে ভাষণ দিতে যান । যেখানেই যান , সেখানেই তাঁর শিক্ষকসুলভ দার্শনিকতা প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে ।

 সব অর্থে কালামকে আমরা এক ভারতীয় ঋষির সঙ্গে তুলনা করতে পারি । জীবনে তিনি দ্বার পরিগ্রহ করেননি । আজীবন ব্রহ্মচারী তাপসের মতো জীবন কাটিয়েছেন । তাই তাঁর প্রতি আমরা আমাদের অস্তরের সশ্রদ্ধ প্রণিপাত নিবেদন করি । ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে এ.পি.জে. আবদুল কালামকে এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হিসাবে আমরা অবশ্যই চিহ্নিত করব । 

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Autobiography :  

 ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর আত্মজীবনী— “ উইঙ্গস অফ ফায়ার ” । এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় বিধৃত আছে মানব কল্যাণে উৎসর্গীকৃত প্রাণ এই মহান বিজ্ঞানীর অন্তরের ইচ্ছা ।

[ আরও দেখুন , জগদীশ চন্দ্র বসুর জীবনী – Jagdish Chandra Bose Biography in Bengali ]

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর উল্লেখযোগ্য অবদান :

 উড়ান ও স্যাটেলাইট বহনকারী পি এস ভি এবং এস এল ভি থ্রি রকেট তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারতের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ বলা হয় । পরমানু শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) এর অবদান অনস্বীকার্য । ১৯৯৮ সালে পরমানু অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত ‘ পোখরান – টু ’ প্রকল্পের চিফ প্রজেক্ট কো – অর্ডিনেটর ছিলেন তিনি । 

এ.পি.জে. আবদুল কালাম ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি – A.P.J. Abdul Kalam India’s 11th President :

 ২০০২ সালে ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । পরে এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) শিলং আই আই এম – এ ভিজিটিং প্রফেসর হন । 

[ আরও দেখুন , প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জীবনী – Prafulla Chandra Ray Biography in Bengali ]

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর সন্মান গুলি – A.P.J. Abdul Kalam Prizes :

এক নজরে সম্মান : পদ্মভূষণ ( ১৯৮১ ) পদ্মবিভূষণ ( ১৯৯০ ) ইনস্টিটিউট অব ডিরেক্টর্স ( ইন্ডিয়া ) -র ডিশটিংগুইশড ফেলো ( ১৯৯৪ ) ভারতরত্ন ( ১৯৯৭ ) ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার ( ১৯৯৭ ) বীর সাভারকর পুরস্কার ( ১৯৯৮ ) রামানুজন পুরস্কার ( ২০০০ ) ইংল্যান্ডের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৭ ) কিং চার্লস টু মেডেল ( ২০০৭ ) আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৮ ) সিঙ্গাপুরের নান্যাঙ্গ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৮ ) ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ইন্টারন্যাশনাল ভোন কর্মণ উইংস অ্যাওয়ার্ড ( ২০০৯ ) হুভার মেডেল ( ২০০৯ ) আমেরিকার ওকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৯ ) কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০১০ ) ইনস্টিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্সের সাম্মানিক সদস্যপদ ( ২০১১ ) কানাডার সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০১২ ) ইংল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০১৪ ) । 

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর মৃত্যু – A.P.J. Abdul Kalam Death :

 ২৭ শে জুলাই ২০১৫ ভারতের পরমানু গবেষনার পথিকৃৎ তথা দেশের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ , ভারতের একাদশতম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে ( আবুল পকির জয়েনুল আবদিন ) এ.পি.জে. আবদুল কালামের ( ৮৪ ) জীবনাবসান হয় ।

 ২৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধে সাড়ে ছটায় শিলংয়ের আই আইএমের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের ওপরেই পড়ে যান । এ.পি.জে. আবদুল কালামকে (A.P.J. Abdul Kalam) স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছিল । 

এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali FAQ :

• এ.পি.জে. আবদুল কালাম কে ছিলেন ?

Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি ।

• এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জন্ম কবে হয় ?

Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জন্ম হয় ১৫ অক্টোবর ১৯৩১ সালে ।

• এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর পিতার নাম কী?

Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর পিতার নাম জয়নুল আবেদিন ।

• এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর মাতার নাম কী ?

Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর মাতার নাম অশিয়াম্মা ।

• এ.পি.জে. আবদুল কালাম কবে ভারতের রাষ্ট্রপতি হোন ?

Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ২০০২ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি হোন ।

• এ.পি.জে. আবদুল কালাম কবে পদ্মভূষণ পান ?

Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ১৯৮১ সালে পদ্মভূষণ পান ।

• এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী কবে প্রকাশিত হয় ?

Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় ।

• এ.পি.জে. আবদুল কালাম কবে ভারতরত্ন পান ?

Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ১৯৯৭ সালে ভারতরত্ন পান ।

• এ.পি.জে. আবদুল কালাম কত সালে সেন্ট জসেফ কলেজে ভর্তি হন ?

Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ১৯৫০ সালে সেন্ট জসেফ কলেজে ভর্তি হন ।

• এ.পি.জে. আবদুল কালাম কবে মারা যান ?

Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ২৭ জুলাই ২০১৫ সালে মারা যান ।

[ আরও দেখুন , সত্যেন্দ্রনাথ বসুর জীবনী – Satyendra nath Bose Biography in Bengali

আরও দেখুন , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Rabindranath Tagore Biography in Bengali

আরও দেখুন , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali

আরও দেখুন , সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী – Sourav Ganguly Biography in Bengali

আরও দেখুন , মেরি কম এর জীবনী – Mary Kom Biography in Bengali ]

   অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। আশা করি এই এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali পোস্টটি থেকে উপকৃত হবে। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।

RELATED ARTICLES MORE FROM AUTHOR

ধ্যান চাঁদ এর জীবনী – dhyan chand biography in bengali, মাদার তেরেসার জীবনী – mother teresa biography in bengali, বিভূতভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনী – bibhutibhushan bandyopadhyay biography in bengali, বিধানচন্দ্র রায়ের জীবনী – bidhan chandra roy biography in bengali, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – rabindranath tagore biography in bengali, নরেন্দ্র মোদীর জীবনী – narendra modi biography in bengali, current affairs in bengali 14 september 2021 | কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ১৪..., উচ্চমাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান – সরকারের বিভিন্ন বিভাগ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর..., hs sociology syllabus 2025 | উচ্চমাধ্যমিক সমাজবিজ্ঞান সিলেবাস ২০২৫, নদী – ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন (madhyamik geography..., অরণ্য সংরক্ষণ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | forest..., wb madhyamik bengali suggestion 2023 pdf free download (100% sure) last..., madhyamik physical science syllabus 2022 | মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সিলেবাস ২০২২, অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – অস্থিত পৃথিবী (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর....

EDITOR PICKS

চারণ কবি (ভারতীয় কবিতা) একাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর |..., বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো (আন্তর্জাতিক গল্প) একাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন..., সাম্যবাদী (কবিতা) একাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | class 11..., popular posts, hs bengali suggestion 2023 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩, hs bengali suggestion 2024 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৪, hs bengali suggestion 2022 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২, popular category.

• Biography 683
• Madhyamik 624
• Higher Secondary 402
• Current Affairs 388
• General Knowledge 368
• Graduation Geography 205
• Madhyamik Geography 172
• Class 9 154
• Madhyamik Bengali 148

Soul Regaltos এর জীবনী – Soul Regaltos Biography in Bengali

• মাধ্যমিক
• উচ্চমাধ্যমিক
• নবম শ্রেণি
• চাকরির প্রস্তুতি
• চাকরির খবর
• অনলাইন মকটেস্টে
• প্রবন্ধ-রচনা
• বাংলা

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম প্রবন্ধ রচনা|এপিজে আবদুল কালাম প্রবন্ধ রচনা|APJ Abdul Kalam Essay Writing in bengali

এপিজে আবদুল কালাম প্রবন্ধ রচনা|এপিজে আবদুল কালাম প্রবন্ধ রচনা|APJ Abdul Kalam Essay in bengali

“ যারা স্বপ্ন দেখে ও সেই মতো কাজ করে, তাদের কাছেই সেরাটা ধরা দেয়।” —এপিজে আবদুল কালাম

ভূমিকা: আবদুল কালামের উপর্যুক্ত উক্তির মধ্যেই তাঁর চিন্তাভাবনা ও আদর্শ স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। তিনি নিজের জীবনটাকে গড়ে তুলেছিলেন যুবসমাজের আদর্শ হিসেবে। মানুষের যে কাজ ও ভাবনা তাঁকে অমরতা দান করে, সেই কাজে নিষ্ঠাবান হয়েই তিনি আজ বিশ্ববরেণ্য জ্ঞানী ব্যক্তির শিরোপা অর্জন করেছেন। তাই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম সমগ্র ভারতবর্ষের গর্ব।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন: ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে এক অতি সাধারণ নিম্নবিত্ত মৎস্যজীবী পরিবারে জন্ম নেন কালাম। তাঁর সম্পূর্ণ নাম আবুল পাকির জইনুল আবেদিন আবদুল কালাম। তাঁর পিতা জইনুল আবেদিন ও মাতা আসিয়াম্মা। দারিদ্র্য সত্ত্বেও ছেলেকে নিয়ে উভয়ই অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেন। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী কালাম কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হয়ে ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি চেন্নাইতে যান। ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানচালক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েচেন্নাইতে এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভরতি হন। কিন্তু ভাগ্য তাকে নিয়ে আসে বিশ্বসেরা পরমাণু বিজ্ঞানীর ভূমিকায়।

কর্মজীবন: জীবনের শুরুর দিকে কালাম ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ বিভাগে বৈজ্ঞানিক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনে যোগ দেওয়ার আগে কিছুদিন প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি কাজ করেন। অগ্নি ও পৃথ্বী মিসাইল প্রকল্পে অংশগ্রহণ তাঁকে বিজ্ঞানী হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়। মহাকাশযান ও স্যাটেলাইট বহনকারী PSLV এবং SLV-III রকেট তৈরিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের পরমাণু অস্ত্রপরীক্ষার জন্য ‘পোখরান ২’ প্রকল্পের কর্ণধার নিযুক্ত হন কালাম। ২০০২ থেকে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই কাজপাগল মানুষটি ভারতবর্ষের একাদশতম রাষ্ট্রপতিরদায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেন।

প্রাপ্তি ও অবদান: দেশ-বিদেশের নানাবিধ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন অসাধারণ মেধাবী এই মানুষটি। ভারতবর্ষ ও বিদেশের প্রায় চল্লিশটি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি প্রদান করেছে। এ ছাড়াও ‘পদ্মভূষণ’, ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘ভারতরত্ন’ ইত্যাদি সম্মান শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা হিসেবে তাঁর মাথায় উঠেছে। এ ছাড়াওআজীবন বহু মূল্যবান গ্রন্থও রচনা করেছেন আবদুল কালাম। তাঁর আত্মজীবনী ‘উইংস অফ ফায়ার’ ছাড়াও ‘ইন্ডিয়া টু থাউজেন্ড টুয়েন্টি’, ‘ইগনাইটেট মাইন্ডস’, ‘মিশন ইন্ডিয়া’, ‘ইন্‌সপায়ারিংথটস্' ইত্যাদি তাঁর বহু সমাদৃত বইগুলির মধ্যে অন্যতম।

উপসংহার : ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জুলাই শিলং-এ বক্তৃতা দিতে দিতেই জ্ঞান হারিয়ে এই বিখ্যাত মানুষটি চিরনিদ্রার দেশে চলে যান। ভারতবর্ষ তাঁর এই জ্ঞানী সন্তানের অভাব কখনোই পূরণ করতে পারবে না।

এ.পি.জে আবদুল কালাম – Biography APJ Abdul kalam Biography in bengali

আপনি যদি APJ Abdul Kalam Biography in Bengali তে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন|APJ Abdul Kalam যার পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আব্দুল কালাম (Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam) আজ আমরা আপনার জন্য ইন্টারনেটে উপলব্ধ সর্বসেরা এপিজে আব্দুল কালাম এর জীবনী সম্পর্কে জানতে চলেছি| APJ Abdul Kalam Biography in bengali | তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আপনি এপিজে আবদুল কালামের জীবনী সম্পর্কে কি কি জানতে পারবেন|

APJ Abdul kalam Biography in bengali

এপিজে আবদুল কালামের পরিচয় – AP.J Abdul Kalam identity

APJ Abdul Kalam যার পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং রাষ্ট্রপতি যিনি ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল কালাম এর পুরো পরিচয় নিচে দেওয়া হয়েছে

আরো পড়ুন – এ.পি.জে আব্দুল কালাম বাণী

আরো পড়ুন – স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী 

এ.পি.জে. আবদুল কালামের পরিবার – A.P.J. Abdul Kalam Family

ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম তামিলনাড়ুর এক মুসলিম গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পরিবারের সাথে তামিলনাড়ুর মন্দির শহর রামেশ্বরমে থাকতেন, যেখানে তার বাবা জয়নুলাবদিনের একটি নৌকা ছিল এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন।

একই সময়ে, তার মা, আশিয়াম্মা, একজন গৃহিণী ছিলেন। কালামের পরিবারে চার ভাই ও এক বোন ছিল, যার মধ্যে আব্দুল কালাম ছিলেন সবার ছোট। আব্দুল কালাম পূর্বপুরুষরা ছিলেন ধনী ব্যবসায়ী এবং জমির মালিক এবং তাদের বিশাল জমি ও সম্পত্তি ছিল।

আবদুল কালামের পরিবার খুবই গরীব থাকার কারণে আবদুল কালামকে ছোটবেলা থেকেই কাজে লেগে যেতে হয়েছিল| তিনি ছোটবেলা থেকে নিউজ পেপার বিক্রি করতে তার পরিবারের সংসার চালানোর জন্য|

এপিজে আবদুল কালামের ছোটবেলা AP.J Abdul Kalam Childhood

এপিজে আবদুল কালাম খুবই শান্ত প্রকৃতির ব্যক্তি ছিলেন|এপিজে আবদুল কালাম তার বাবা-মায়ের কাছে থাকতেন ছোটবেলা থেকে এবং তার পরিবার খুবই গরীব ছিল তাই পরিবারের আয় বাড়ানোর জন্য স্কুলে থাকাকালীন তাকে একটি চাকরি নিতে হয়েছিল তার পরিবারের সাহায্য করার জন্য সংবাদপত্র বিতরণ করেছিলেন।

তিনি একজন বি আব্দুল কালাম খুবই বুদ্ধিমান যুবক ছিলেন,আব্দুল ছোটবেলা থেকেই অনেক নানান নানান বই পড়তেন এবং সর্বদা নতুন জিনিস শিখতে আগ্রহী থাকতেন। তিনি রামানাথপুরম শোয়ার্টজ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে তার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ কলেজে পদার্থবিদ্যা অধ্যয়ন করতে যান, যেখান থেকে তিনি 1954 সালে স্নাতক হন।

তারপর তিনি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়ন করেন, 1960 সালে স্নাতক হন। তার শৈশব ছিল একটি অধ্যয়ন। একজন ফাইটার পাইলট কিন্তু সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি।

এপিজে আবদুল কালামের শিক্ষাজীবন AP.J Abdul Kalam Education Life

শোয়ার্টজ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রামানাথপুরম-এ শিক্ষা শেষ করার পর, কালাম সেন্ট জোসেফ কলেজ, তিরুচিরাপল্লীতে ভর্তি হন, যা তখন মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত ছিল, যেখান থেকে তিনি 1954 সালে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন।

এ.পি.জে. আব্দুল কালাম মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে যোগদান করেন, যেখানে তিনি 1960 সালে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতক শেষ করার পর তিনি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-এ ভারতীয় সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন এবং পরে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন শীর্ষ বিজ্ঞানী হওয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে তাঁর প্রত্যক্ষ অবদান অনন্য ও প্রশংসনীয়। তার পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণা প্রকাশনা, নিবন্ধ, বই ইত্যাদি বৈমানিক, ব্যালিস্টিকস এবং ধাতুবিদ্যার ক্ষেত্রে গবেষণা এবং অধ্যয়নের জন্য নতুন পথ খুলে দিয়েছে।

এপিজে আবদুল কালামের কর্মজীবন AP.J Abdul Kalam Working Life

তিনি INCOSPAR (ভারতের জাতীয় কমিটি) কমিটির অংশ হিসেবে বিখ্যাত বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের সাথে কাজ করেছেন। তিনি ডিআরডিওতে একটি ছোট হোভারক্রাফ্ট ডিজাইন করে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।

তার কর্মজীবনের প্রথম দিকে, তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য একটি ছোট হেলিকপ্টার ডিজাইন করেছিলেন।

1963 থেকে 1964 সাল পর্যন্ত ড. এ.পি.জে. আবদুল কালাম মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে ডিফেন্স গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার, ভার্জিনিয়ার পূর্ব উপকূলে ওয়ালপস ফ্লাইট এফিসিয়েন্সি এবং ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটনে নাসার ল্যাংলি রিসার্চ সেন্টার পরিদর্শন করেন।

তিনি 1965 সালে DRDO-তে একটি সম্প্রসারণযোগ্য রকেট প্রকল্পে স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করেন। তিনি DRDO-তে তার কাজ নিয়ে খুব বেশি সন্তুষ্ট ছিলেন না এবং 1969 সালে ISRO-তে স্থানান্তরের আদেশ পেলে খুশি হন। সেখানে তিনি SLV-III-এর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

1980 সালের জুলাই মাসে, তার দল পৃথিবীর কক্ষপথের কাছে রোহিণী উপগ্রহ স্থাপনে সফল হয়েছিল। এটি ভারতের প্রথম দেশীয় নকশাকৃত এবং নির্মিত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যান।

আবদুল কালাম 1969 সালে সরকারের অনুমোদন লাভ করেন এবং আরও প্রকৌশলীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রোগ্রামটি প্রসারিত করেন।

1970-এর দশকে, তিনি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV) তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে ভারত তার ইন্ডিয়ান রিমোট সেন্সিং (IRS) উপগ্রহ সূর্য-সিঙ্ক্রোনাস কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করতে পারে, PSLV প্রকল্পটি সফল হয়েছিল এবং 20 সেপ্টেম্বর 1993 তারিখে, এটি প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছিল

1970 থেকে 1990 সাল পর্যন্ত SLV-3 এবং পোলার SLV-এর প্রকল্পগুলির উন্নয়নে ডক্টর কালামের প্রচেষ্টা বেশ সফল বলে প্রমাণিত হয়েছিল।

ডাঃ কালাম প্রজেক্ট ভ্যালিয়েন্ট এবং প্রজেক্ট ডেভিল পরিচালনা করেছিলেন যার লক্ষ্য ছিল এসএলভি প্রোগ্রামের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা, যা সফলও হয়েছিল

DRDO দ্বারা পরিচালিত একটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় 1980 এর দশকের গোড়ার দিকে অন্যান্য সরকারী সংস্থার সাথে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (IGMDP) চালু করেছিল।

আবদুল কালামকে এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিতে বলা হয়েছিল এবং তাই তিনি IGMDP-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে DRDO-তে ফিরে আসেন। তার নির্দেশের কারণে অগ্নি মিসাইল, পৃথ্বীর মতো অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সফল হয়েছিল।

এপিজে আবদুল কালামের অবদান AP.J Abdul Kalam Contribution

এপিজে আবদুল কালাম শুধু ভারতবর্ষের এই নয় গোটা বিশ্বে তার নাম সবাই পছন্দ করে এবং তাঁর অবদান কেউ হয়তো আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না তিনি পুরো মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে| তার দেওয়া বাণী ও তার কর্ম দ্বারা সবাইকে জীবনে বাঁচার পথ দেখিয়েছে|ও সমস্ত যুবকদের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছে|এছাড়া তিনি

তিনি ভারতের প্রথম দেশীয় স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SLV-3) বিকাশে প্রকল্প পরিচালক হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন যা জুলাই 1980 সালে রোহিণী উপগ্রহটিকে কাছাকাছি-আর্থ কক্ষপথে ইনজেকশন করেছিল এবং ভারতকে স্পেস ক্লাবের একচেটিয়া সদস্য করে তোলে।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে এপিজে আব্দুল কালাম অবদান Contribution of APJ Abdul Kalam as President

স্যার কালাম ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি হওয়ার অধিকারী ছিলেন। 25শে জুলাই 2002 থেকে 25শে জুলাই 2007 পর্যন্ত তার মেয়াদকাল 2002 সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে অর্জিত হয়েছিল। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তাকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত করেছিল এবং এটি সমাজবাদী পার্টি এবং জাতীয় কংগ্রেস পার্টি দ্বারা সমর্থিত হয়েছিল।

তিনি জনগণের কল্যাণে এবং সারাদেশে অগণিত কাজ করেছেন বলে তাকে ভালবাসার সাথে জনগণের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ডাকা হয়। কঠিন বা সংবেদনশীল বা অত্যন্ত বিতর্কিত যাই হোক না কেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি যথেষ্ট সাহসী এবং সাহসী ছিলেন।

“লাভের অফিস” সম্ভবত একটি কঠিন আইন যা তাকে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল। 1701 সালে ইংলিশ অ্যাক্ট অফ সেটেলমেন্ট অনুসারে “লাভের কার্যালয়” ব্যাখ্যা করে যে রাজপরিবারের অধীনে একজন পেশাদার সেট আপ করা কোনো একক ব্যক্তি নয়,

2005 সালে বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য তিনি সবচেয়ে আলোচিত রাষ্ট্রপতি শাসনে পরিণত হয়েছিলেন। কালাম আরও একবার পদ গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু পরে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।

অফিস থেকে বিদায় নেওয়ার পর, তিনি শিলং-এর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি তামিলনাড়ুর আন্না ইউনিভার্সিটিতে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন।

তিনি তার উপস্থিতি এবং জ্ঞান দিয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্দোর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ব্যাঙ্গালোরের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আলোকিত করেছিলেন। স্যার কালাম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, তিরুবনন্তপুরমের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

2012 সালে, তিনি “আমি কী দিতে পারি?” নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছিলেন? দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূলের প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে।

এপিজে আব্দুল কালামের উপাধি ও সম্মান APJ Kalam titles and honours

এপিজে আবদুল কালাম তার জীবনে প্রচুর উপাধি অর্জন করেছে তার মধ্যে আমরা কিছু উপাধি তুলে ধরে ধরলাম

এপিজে আবদুল কালামের লেখা বই

• Wings of Fire: An Autobiography
• Developments in Fluid Mechanics and Space Technology
• India 2020: A Vision for the New Millennium
• Ignited Minds: Unleashing the Power Within India
• The Luminous Sparks  
• Mission India
• Inspiring Thoughts
• Indomitable Spirit  
• Envisioning an Empowered Nation  
• You Are Born To Blossom: Take My Journey Beyond  
• Turning Points: A journey through challenges  
• Target 3 Billion
• My Journey: Transforming Dreams into Actions
• A Manifesto for Change: A Sequel to India 2020
• Forge your Future: Candid, Forthright, Inspiring
• Reignited: Scientific Pathways to a Brighter Future  
• Transcendence: My Spiritual Experiences with Pramukh Swamiji  
• Advantage India: From Challenge to Opportunity  

এপিজে আবদুল কালামের সেরা কিছু বাণী

“ স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখাে। স্বপ্ন হলাে সেটাই যা পূরণের অদম্য ইচ্ছা তােমায় ঘুমাতে দেবে না।” A. P. J. Abdul Kalam

“যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানী হলাে সেই ব্যক্তি যে নিজেকে জানে। জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কোনাে কাজেই আসেনা।” A. P. J. Abdul Kalam

“জীবনে কঠিন সব বাঁধা আসে, তোমায় ধ্বংস করতে নয় বরং তোমার ভীতরের লুকোনো শক্তিকে অনুধাবন করাতে। বাঁধাসমূহকে দেখাও যে তুমিও কম কঠিন নও।“ এ.পি.জে. আবদুল কালাম

“যে মানুষগুলো তােমাকে বলে, তুমি পারাে না বা তুমি পারবেই না, তারাই সম্ভবত সেই লােক যারা ভয় পায় এটা ভেবে যে তুমি সেটা পারবে।” A. P. J. Abdul Kalam

“অসাধারণ হওয়ার জন্য কঠিন যুদ্ধে নামার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, যতক্ষণ না আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌছাচ্ছেন।” A. P. J. Abdul Kalam

“তুমি যদি এখন থেকেই তােমার স্বপ্নগুলাে সত্যি করার পেছনে ছুটে না চলাে, একদিন তােমাকে কাজ করতে হবে অন্যদের অধীনে তাদের স্বপ্নগুলাে সত্যি করার জন্য।” A. P. J. Abdul Kalam

এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু Death of APJ Abdul Kalam

২৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধে সাড়ে ছটায় শিলংয়ের আই আইএমের এক অনুষ্ঠানে ডেকেছিল এপিজে আবদুল কালাম কে সেখানে কিছু বক্তব্য রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের ওপরেই পড়ে যান এবং   এ.পি.জে. আবদুল কালামকে (A.P.J. Abdul Kalam)  স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । সেখানেই A.P.J. Abdul Kalam আমাদের ও পুরো বিশ্বকে ছেড়ে চলে যায়

এপিজে আবদুল কালাম আমাদের সবার মনে প্রাণে জড়িয়ে রয়েছে এপিজে আবদুল কালামের কখনো মৃত্যু হতে পারে না |এপিজে আবদুল কালাম আমাদের পুরো ভারতবর্ষের নয় পুরো বিশ্বে তার এই অবদান সবাই মনে রাখবে|

আশা করি আপনি এই এপিজে আব্দুল কালাম এর বায়োগ্রাফি থেকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন এবং তাঁর বাণী গুলি কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার জীবনে অনেক সফলতা অর্জন করতে পারবেন |আপনারা ভালো থাকুন সুখে থাকুন

এপিজে আব্দুল কালাম এর বায়োগ্রাফি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না|

APJ Abdul Kalam FAQ

এপিজে আব্দুল কালাম কি বিয়ে করেছিলেন.

না, এক ইন্টারভিউতে তিনি বলেছিলেন যে আমি বিয়ের কথা ভুলে গিয়েছি

এপিজে আবদুল কালামকে কেন মিসাইল ম্যান বলা হয়?

ভারতের missile projects, Prithvi and Agni missiles উন্নয়নে অবদানের জন্য ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আব্দুল কালামকে ‘ভারতের মিসাইল ম্যান’ বলা হয়। তিনি প্রথম দেশীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যান তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এপিজে আব্দুল কালাম এর বাবার নাম কি

জেনুলাবিদ্দীন মারাকায়ার

এপিজে আব্দুল কালাম এর মায়ের নাম কি?

আছিয়াম্মা জয়নুলাবিদ্দীন

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

স্বপ্নদ্রষ্টা এ পি জে আবদুল কালামের জীবন বদলানো অমিয় বাণী ও উক্তি | 100+ Dr. APJ Abdul Kalam Quotes in Bengali

স্বপ্নদর্শী এপিজে আব্দুল কালামের উক্তিগুলি (APJ Abdul Kalam Quotes) সবদিক থেকে হেরে যাওয়া একজন মানুষের হৃদয়েও অনুপ্রেরণার স্ফুলিঙ্গ জ্বালাতে পারে। তখন সেই মানুষটি এমন একটি বিশ্বের কল্পনা করবে যেখানে স্বপ্নগুলি কেবল স্বপ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বাস্তবায়িত হবে, পৌঁছবে সফলতার উচ্চ শিখরে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কখনো না কখনো ব্যর্থতা আসে, সেই ব্যর্থতাকে অতিক্রম করে নতুন করে স্বপ্ন দেখার জন্য শুধু প্রয়োজন অনুপ্রেরণার।

ভারতের মিসাইল ম্যান, জনগণের স্নেহের রাষ্ট্রপতি কালাম কেবল একজন বিজ্ঞানী এবং রাষ্ট্রনায়ক নন; তিনি ছিলেন আশা, প্রজ্ঞা এবং অটল সংকল্পের পথপ্রদর্শক। তাঁর প্রতিটি বাণীতে জ্ঞান এবং অনুপ্রেরণার মন্ত্রে সিক্ত, তাঁর প্রতিটি শব্দে আশার আলো, আমাদের অন্ধকারতম সময়েও উত্তরণের পথ দেখায়। তার সাহসী চিন্তা এবং প্রেরণাদায়ক বাণীগুলো আজও হাজার হাজার মানুষকে আশান্বিত করে।

এই অসাধারণ ব্যক্তির জীবন, তাঁর চয়ন করা শব্দ এবং উক্তিগুলি (APJ Abdul Kalam Ukti) নিয়ে আজকের আমাদের এই ব্লগ পোস্ট। এখানে আমরা এ পি জে আবদুল কালামের জীবন এবং বাণী থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারবো এবং বাস্তবিক জীবনে সফল হতে পারব। কারণ, তিনি বিশ্বাস করতেন স্বপ্ন দেখা এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার ক্ষমতা সকলের মধ্যে রয়েছে, শুধু প্রয়োজন সঠিক পদক্ষেপের। “স্বপ্ন দেখতে হয়, কারণ স্বপ্নই জীবনের লক্ষ্যের প্রথম পদক্ষেপ”।

এপিজে আব্দুল কালাম সম্পর্কে কিছু তথ্য | Information About Dr. APJ Abdul Kalam

এপিজে আবদুল কালাম তাঁর গভীর চিন্তা এবং রূপান্তরমূলক ধারণা গুলি কাজে এবং উক্তির মধ্য দিয়ে সকল প্রজন্মের মানুষকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করে চলেছে। এ পি জে আবদুল কালামের উক্তিগুলো শুধু সাফল্যের পথ দেখায় না, এগুলি আমাদের শিক্ষিত করে, বন্ধুত্ব, সৌহার্দ্য এবং মানবিকতার মহান মূল্যবোধের জন্ম দেয়। তিনি বলেছেন, ” একাকিত্বের পথ জীবনে সাফল্য আনতে পারে না, বন্ধুরা সাফল্যের অনিবার্য অংশীদার।” এছাড়াও শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বলেছেন, “মানুষের মনকে নয়, মানুষের হৃদয়কে শিক্ষিত করা প্রয়োজন।”

এ পি জে আবদুল কালামের জীবন ও বাণীগুলি আমাদের হৃদয়ের আলোকে মানবিকতার পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে, মানুষকে নতুন পথের দিকনির্দেশ করে। তাঁর সম্পর্কে আমাদের সবার আগ্রহ অসীম, সেই উদ্দেশ্যে আমরাও অনুপ্রাণিত।

এ পি জে আবদুল কালাম একজন অসাধারণ বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনা করেন। পড়াশোনা শেষে ১৯৫৮ সালে তিনি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)-তে যোগদান করেন।

১৯৬৯ সালে তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাথে যুক্ত হন এবং ভারতের প্রথম স্বদেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যান এসএলভি-III প্রকল্পের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালে তিনি পুনরায় ডিআরডিও-তে যোগ দেন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের একটি প্রকল্পের পরিকল্পনা করেন। এর ফলে বেশ কয়েকটি সফল ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয় যার মধ্যে রয়েছে ‘অগ্নি,’ এটি ভারতের প্রথম মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই সাফল্যের জন্য তাকে “মিসাইল ম্যান” উপাধি দেওয়া হয়।

এসএলভি-III-এর প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা ‘অগ্নি’ ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৯৮৯ সালে চালু করা হয়। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত তিনি সফল ভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনি সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসাবে মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীর পদে রয়েছেন।

১৯৯৮ সালে ভারতের পারমাণবিক শক্তির অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন আব্দুল কালাম। পরীক্ষায় সফলতা পাওয়ার ফলে ভারত একটি পারমাণবিক শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়। যা আন্তর্জাতিক মহলকে সাময়িকউদ্বিগ্ন করলেও এটি আব্দুল কালামকে জাতীয় নায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল।

১৯৯৮ সালে দেশকে কুড়ি বছরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত সমাজে রূপান্তর করার সংকল্প নিয়েছিলেন। তারই উদ্দেশ্যে তিনি “টেকনোলজি ভিশন ২০২০” নামে একটি জাতীয় পরিকল্পনার শুরুর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি-নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার প্রসার।

২০০২ সালের জুলাই মাসে ভারতের ১১তম রাষ্টপতি হিসেবে শপথ নেন এবং পাঁচ বছরের মেয়াদে ভারতকে আরও উন্নত দেশে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবলম্বন করেন। ষ্ট্রপতি হিসাবে, তিনি ‘ইগনাইট মাইন্ডস’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে ছাত্র এবং যুবকদের সাথে সংযোগ গড়ে তোলেন, যা ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাধনা করতে অনুপ্রাণিত করে।

২০০৭ সালে রাষ্ট্রপতির পর থেকে অবসর নেওয়ার পরে আবারো দেশ উন্নয়নের কাজে নিজেকে অভিষিক্ত করেন। কিন্তু সবাইকে গভীর মর্ম বেদনায় ফেলে ২০১৫ সালে ২৭শে জুলাই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট শিলং-এ বক্তৃতা দেওয়ার সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে কাউকে কিছু করার সুযোগ না দিয়ে অকালেই পরলোক গমন করেন।

কালাম তার জীবদ্দশাতে অসংখ্য বই এবং উক্তি আমাদেরকে দিয়ে গেছেন যেমন:

• Wings of Fire
• Ignited Minds

উইংস অফ ফায়ার (1999) তার আত্মজীবনী।

আব্দুল কালাম তাঁর কর্মজীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে মূল্যবান অবদানের জন্য মানুষের অসংখ্য ভালবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য পুরস্কারের পুরস্কৃত হয়েছিলেন। এরমধ্যে ছিল দেশের সর্বোচ্চ সম্মান দুটি, পদ্মবিভূষণ (1990) এবং ভারতরত্ন (1997)এছাড়াও তিনি পদ্ম ভূষণ (১৯৮১) লাভ করেছিলেন।

কালামের ব্যক্তিগত দর্শন | Kalam’s Personal Philosophy

এপিজে আবদুল কালাম বিশ্বাস করতেন কর্মকে। কঠোর পরিশ্রম, স্বপ্নকে সফল করার উন্মাদনা এবং রূপান্তরমূলক সম্ভাবনার প্রতি তার অটুট বিশ্বাস সকল মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। তার কথার মাধ্যমে, তিনি আগত সমস্ত বাঁধাকে অতিক্রম করতে অধ্যাবসায়ের উপর জোর দিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত বাধাকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে লক্ষ্য অর্জনের প্রতি মননিবেশ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।

কালাম দর্শন আত্মবিশ্বাস এবং স্থিতিস্থাপকতাকে প্রাধান্য দেয়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে কারুর মধ্যে যদি তার ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস থাকে তবে সে পাহাড়কেও নাড়াতে পারে এবং এমনকি সবচেয়ে কঠিন কাজগুলিও অতি সহজে অতিক্রম করতে পারে। তার উক্তিগুলি অনুপ্রেরণা এবং আশাবাদের গভীর অনুভূতির প্রতিধ্বনি। তার উপদেশ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সত্যিকারের সাফল্য কেবল লক্ষ্য অর্জনের জন্য নয় বরং আমাদের মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসের প্রতি স্থির থাকার শিক্ষা দেয়।

এপিজে আব্দুল কালাম তার জীবন ও বাণী কি শিক্ষা দেয়? | What Does APJ Abdul Kalam’s Life and QuotesTeach?

এপিজে আবদুল কালামের জীবন ও বাণী আমাদের স্বপ্নদর্শী, অধ্যবসায়ী, জ্ঞানপিপাসু, মানবিক ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার শিক্ষা দেয়। আমরা আরোও যে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি তা হল:

লক্ষ্য নির্ধারণের গুরুত্ব: তিনি বলেছেন, “স্বপ্ন দেখা বন্ধ করো না, স্বপ্ন দেখাই হচ্ছে জীবন।” বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা: দারিদ্রতা কারোর অগ্রগতিকে আটকাতে পারে না। তিনিও দরিদ্র পরিবার থেকে এসে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী হয়েছিলেন। এটা প্রমাণ করে লক্ষ্যপূরণে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব।

জ্ঞানপিপাসু থাকার শিক্ষা: সঠিক জ্ঞানই কোন মানুষকে তার শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে পারে। তিনি জীবনব্যাপী শিক্ষার্থী ছিলেন এবং প্রতিনিয়ত নতুন জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী ছিলেন। তার এই বৈশিষ্ট্য দেখে এটা বোঝা যায় শেখার কোন শেষ নেই।

সহমর্মিতার গুরুত্ব: একক অগ্রগতি কোন জাতিকে শ্রেষ্ঠ করতে পারে না। সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন মানবিকতা, একে অপরকে সাহায্য করা। তিনি বলেছেন, “মূল বিষয় হল মানুষকে ভালবাসা ও সম্মান করা।” মানবিক মূল্যবোধের উপর তিনি জোর দিয়েছেন।

আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরশীলতা: আত্মবিশ্বাসী মানুষ অনেক অসাধ্য জিনিসকেও সাধন করতে পারে। সফল হতে গেলে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। “জীবনে সফল হতে হলে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে আপনি উপযুক্ত।” – এই বাণী তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরশীলতার প্রতিফলন।

স্বপ্ন দেখার সাহস: কালাম সবসময় স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করতেন। স্বপ্নই আগামী দিনে কি হবে তা প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।

দেশপ্রেম ও কর্তব্যবোধ: দেশকে ভালোবাসার এবং তার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা সবাই দেশের কাছে ঋণী, দেশ সবার আগে।

মানবতা ও নীতিবোধ: সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল ও নীতিবোধের সাথে জীবনযাপন করার শিক্ষা দিয়েছেন।

এপিজে আবদুল কালামের বাণী | APJ Abdul Kalam Bain in Bengali

• শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।
• নীতিবোধের সাথে জীবনযাপন করুন।
• সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন।
• কঠোর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
• নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর করুন।
• স্বপ্নবাজরাই সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারেন।
• শিশুদের শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিন।
• আমার মতে খারাপ অভিজ্ঞতা বলে কিছুই হয়না।
• জ্ঞান অর্জনের জন্য কখনো থেমে থাকবেন না।
• আপনার দেশের উন্নয়নে আপনার ভূমিকা রাখুন।
• ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষের সাহায্য করুন।
• বিফলতাই তোমাকে সফল হবার রাস্তা দেখিয়ে দেবে।
• আপনার দেশকে ভালোবাসুন এবং তার জন্য কাজ করুন।
• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিন।
• গভীর দুঃখে বা প্রচণ্ড আনন্দে মানুষ কবিতা লেখে।

স্বপ্ন নিয়ে এ পি জে আব্দুল কালামের উক্তি | APJ Abdul Kalam Bengali Quote About Dreams

• নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য তরুণদের উৎসাহিত করুন।
• একজন ভালো নাগরিক হিসেবে আপনার কর্তব্য পালন করুন।
• সফলতার জন্য 1% প্রতিভা এবং 99% পরিশ্রম প্রয়োজন।
• যারা পরিশ্রম করেন সৃষ্টিকর্তা তাঁদের সাহায্য করেন।
• যদি আপনি ব্যর্থ হন, হতাশ হবেন না। আবার চেষ্টা করুন।
• আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনাকে অধ্যবসায়ী হতে হবে।
• কাউকে হারিয়ে দেওয়া তো খুব সহজ, শক্ত হল কাউকে জয় করা।
• বিজ্ঞান মানুষের জন্য উপহার। ধ্বংসের জন্য বিজ্ঞান নয়।
• আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন।
• মানুষের পীঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখন তার বিস্ফোরন ঘটে।
• যা আমি বদলাতে পারব না, তা মেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
• স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে প্রথমে তোমাকে স্বপ্ন দেখতে হবে।
• যদি আমরা স্বাধীন হতে না পারি কেউ আমাদের শ্রদ্ধা করবে না।
• আমরা শুধু সাফল্যের উপরেই গড়ি না, আমরা ব্যর্থতার উপরেও গড়ি।
• কাউকে হারিয়ে দেয়াটা খুব সহজ, কিন্তু কঠিন হলো কারো মন জয় করা।

আদর্শ নিয়ে এ পি জে আব্দুল কালাম উক্তি | APJ Abdul Kalam Quotes on Ideals

• যুব সমাজকে চাকরিপ্রার্থী হওয়ার বদলে, চাকরিদাতা হওয়া প্রয়োজন।
• আপনাকে স্বপ্ন দেখে যেতে হবে, স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগে পর্যন্ত।
• উৎকর্ষতা একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।
• জীবনে সমস্যার প্রয়োজন আছে। সমস্যা আছে বলেই সাফল্যে এতো আনন্দ।
• আপনার নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। আপনি যা করতে চান তা করতে পারেন।
• কাউকে হারিয়ে দেয়াটা খুব সহজ,কিন্তু কঠিন হলো কারো মন জয় করা।
• শ্রেষ্ঠত্ব একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।
• জীবনে সমস্যার প্রয়োজন আছে। সমস্যা আছে বলেই সাফল্যের এতো স্বাদ।
• কেবল বিশেষ সময়ে নয় সবসময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যেতে হবে।
• জাতির সবচেয়ে ভালো মেধা ক্লাসরুমের শেষ বেঞ্চ থেকে পাওয়া যেতে পারে।

চরিত্র গঠনে এপিজি আবদুল কালামের উপদেশ | APG Abdul Kalam’s Advice on Character Building

• তুমি যদি সূর্যের মতো আলো ছড়াতে চাও, তাহলে আগে সূর্যের মতো জ্বলো।
• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে পারি।
• যে হৃদয় দিয়ে কাজ করে না, শূন্যতা ছাড়া সে কিছুই অর্জন করতে পারে না।
• সহজ ও দ্রুত সুখের জন্য না ছুটে প্রকৃত সফলতার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও।
• উন্নত ও নিরাপদ ভারত রেখে যেতে পারলেই পরের প্রজন্ম আমাদের মনে রাখবে।
• সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে প্রথমে তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।
• ওপরে ওঠার জন্য শক্তি দরকার, সেটা মাউন্ট এভারেস্টই হোক বা আপনার পেশায়।
• তুমি যদি সূর্যের মতো আলো ছড়াতে চাও, তাহলে আগে সূর্যের মতো পুড়তে শেখো।
• উপরে তাকিয়ে আকাশটাকে দেখো। তুমি একা নও, এই মহাবিশ্ব তোমার বন্ধুর মতোই।
• তিনজনই পারেন একটি দেশ বা জাতিকে বদলাতে। তাঁরা হলেন, বাবা, মা ও শিক্ষক।
• বিজ্ঞান মানবতার জন্য একটি সুন্দর উপহার। আমাদের তাকে বিকৃত করা উচিত নয়।
• ভারত এক বিকশিত রাষ্ট্রে বদলাতে হবে, নৈতিক মূল্যের সাথে এক সমৃদ্ধ দেশে।
• মন থেকে যারা কাজ করে না তাঁদের জীবন ফাঁপা। সাফল্যের স্বাদ তাঁরা পায় না।
• যদি তুমি সূর্যের মতো উজ্জ্বল হতে চাও, তাহলে আগে সূর্যের মতো পুড়তে শেখো।
• রাজনীতি কি? রাজনৈতিক প্রণালী বিকাশের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক রাজনীতির সমান।

এ পি জে আব্দুল কালামের জীবন নিয়ে উক্তি | APG Abdul Kalam Quotes About Life

• একটা কথা পরিষ্কার, সৃষ্টিকর্তা তাদেরই সহায় থাকেন, যারা কঠোর পরিশ্রম করেন।
• নিজের লক্ষ্যে সফল হওয়ার জন্য,তোমাকে তোমার লক্ষ্যের প্রতি নিষ্ঠাবান হতে হবে।
• জীবন হলো এক জটিল খেলা। ব্যক্তিত্ব অর্জনের মধ্য দিয়ে তুমি তাকে জয় করতে পার।
• ভারতকে নিজের ছত্র ছায়ায় চলা উচিৎ – আমাদের নিজস্ব ডেভেলপমেন্ট মডেল হওয়া উচিৎ।
• মানুষের জীবনে প্রতিবন্ধকতা থাকা দরকার। বাধা না থাকলে সফলতা উপভোগ করা যায় না।
• যদি তুমি পরাজিত হও, তাহলে হাল ছেড়ো না, কারণ সেটাই তোমার শেখার প্রথম পদক্ষপ।
• স্বপ্ন, স্বপ্ন, স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখে যেতে হবে। স্বপ্ন না দেখলে কাজ করা যায় না।
• একটি ভালো বই একশ ভালো বন্ধুর সমান, কিন্তু একজন ভালো বন্ধু একটি লাইব্রেরির সমান।
• কেউ যখন অসাধারণ হওয়ার জন্য জ্ঞান অর্জন করে তখন সে আসলে আর সবার মতোই সাধারণ হয়ে যায়।
• যেকোনো ধর্মকে; সেটাকে বানানোর জন্য আর প্রসার করার জন্য, অন্যের হত্যা করা অনিবার্য নয়।

এ পি জে আব্দুল কালামের প্রেরণামূলক উক্তি | Motivational Quotes by APJ Abdul Kalam

• ব্যর্থতা কখনো আমায় টপকে যেতে পারবেনা, যদি আমার মধ্যে সফল হওয়ার যথেষ্ট মনের জোর না থাকে।
• কঠিন কাজে আনন্দ বেশি পাওয়া যায়। তাই সফলতার আনন্দ পাওয়ার জন্য মানুষের কাজ কঠিন হওয়া উচিত।
• নেতা সমস্যায় ভয় পান না। বরং সমস্যার মোকাবিলা করতে জানবেন। তাকে কাজ করতে হবে সততার সঙ্গে।
• স্বপ্ন সেটা নয় যা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখো, স্বপ্ন হলো সেটাই যা তোমাকে ঘুমোতে দেয় না।
• জটিল কাজেই বেশি আনন্দ পাওয়া যায়। তাই সফলতার আনন্দ পাওয়ার জন্য মানুষের কাজ জটিল হওয়া উচিত।
• আপনার লক্ষ্য স্থির করুন, আপনার পরিকল্পনা তৈরি করুন এবং তারপর আপনার পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করুন।
• জীবন একটা কঠিন খেলা, ব্যক্তি হিসাবে মৌলিক অধিকার ধরে রাখার মাধ্যমে একমাত্র তুমি জয়ী হতে পারবে।
• যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে শুধুমাত্র তাদেরকেই শ্রেষ্ঠটা দেয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত এই বিশ্ব।
• তরুণদের নতুন চিন্তা করতে হবে,নতুন কিছু ভাবতে হবে,অসম্ভবকে সম্ভব করতে হবে। তবেই তারুণ্যের জয় হবে।
• আমাদের সবার দক্ষতা সমান নয় ঠিকই, তবে আমাদের সবার কাছেই সেই দক্ষতাকে আরও বাড়ানোর সমান সুযোগ রয়েছে।
• সমাপ্তি মানেই শেষ নয়। ‘END’ শব্দটির মানে হচ্ছে ‘Effort Never Dies’ অর্থাৎ ‘প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই’।
• দ্রুত কিন্তু কৃত্রিম আনন্দের পেছনে না ছুটে বরং নিখাদ সাফল্য অর্জনের জন্য আরও বেশি নিবেদিত প্রাণ হও।
• রাষ্ট্রপতি পদের রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়। একবার রাষ্ট্রপতি রূপে নির্বাচিত হয়ে গেলে তিনি রাজনীতির উপরে।
• একজন মহান ও আদর্শ শিক্ষকের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ গুণ অবশ্যই থাকা উচিত – করুণা, জ্ঞান এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি।
• ছাত্রজীবনে আমি বিমানের পাইলট হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, হয়ে গেছি রকেট বিজ্ঞানী।

বন্ধু নিয়ে এ.পি.জে. আব্দুল কালামের উক্তি | APG Abdul Kalam Quotes About Friends

• স্বপ্ন সেটা নয়, যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে, সপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।
• আমাকে দেখতে সুন্দর নয়, কিন্তু আমি আমার অন্তরের সৌন্দর্য দিয়ে কারও জীবনে আনন্দ এনে দিতে পারি যার তা প্রয়োজন।
• আমার মতে, আপনি অল্প বয়সে অধিক আশাবাদী হন এবং এই সময় আপনার কল্পনা শক্তি অধিক হয়। আপনার মধ্যে ভেদাভেদও কম হয়।
• যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না; তাদের অর্জন অন্তঃসারশূন্য, উৎসাহহীন সাফল্য চারদিকে তিক্ততার উদ্ভব ঘটায়।
• জীবন এবং সময় পৃথিবীর শ্রেষ্ট শিক্ষক, জীবন শিখায় সময়কে ভালভাবে ব্যবহার করতে সময় শিখায় জীবনের মূল্য দিতে।
• আত্মবিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রম ব্যথতা নামক রোগকে মারার সবচেয়ে বড় ওষুধ। এটাই আপনাকে একজন সফলকাম মানুষে পরিণত করবে।
• সফলতার গল্প পড়ো না কারন তা থেকে তুমি শুধু বার্তা পাবে। ব্যার্থতার গল্প পড় তাহলে সফল হওয়ার কিছু ধারনা পাবে।
• আমরা তখনই স্মরণীয় হয়ে থাকবো, শুধুমাত্র যখন আমরা আমাদের উত্তর প্রজন্মকে উন্নত ও নিরাপদ ভারত উপহার দিতে পারবো।
• আমি সুপুরুষ নই। কিন্তু যখন কেউ বিপদে পড়েন আমি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। সৌন্দর্য থাকে মানুষের মনে, চেহারায় নয়।
• যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারেনা, তাদের সাফল্য অর্জন আনন্দহীন ও আকর্ষণহীন, এমন সাফল্যের থেকেই সৃষ্টি হয় তিক্ততা।

এপিজে আবদুল কালামের শিক্ষামূলক বাণী | Educational Ukti of APJ Abdul Kalam

• সেই ভালো শিক্ষার্থী যে প্রশ্ন করে। প্রশ্ন না করলে কেউ শিখতে পারে না। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে হবে।
• আমি সুদর্শন নই। কিন্তু আমি আমার হাত তার জন্য বাড়িয়ে দিতে পারি যার সাহায্য প্রয়োজন। সৌন্দর্য হৃদয়ে,মুখে নয়।
• তোমার কাজকে ভালবাস কিন্তু তোমার কোম্পানিকে ভালবাসো না। কারন তুমি হয়ত জান না কখন কোম্পানিটি তোমাকে ভালবাসবে না।
• যারা তাদের হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না তারা ফাঁপা, অর্ধহৃদয় সাফল্য অর্জন করে, যা চারিদিকে তিক্ততার জন্ম দেয়।
• যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত, কিন্তু জ্ঞানী হলো সেই ব্যক্তি যে নিজেকে জানে। জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কোনো কাজেই আসেনা।
• আমাদের কখনই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় এবং সর্বদা প্রস্তুত থাকা উচিত যাতে কোনো বাঁধা যেন আমাদের হারিয়ে দিতে না পারে।
• বৃষ্টির সময় প্রত্যেকটি পাখিই কোথাও না কোথাও আশ্রয় পায়। কিন্তু ঈগল মেঘের উপর দিয়ে উড়ে বৃষ্টিকে এড়িয়ে যায়।
• ব্যর্থতা নামক রোগটির সবচাইতে ভালো ঔষুধ হলো আত্মবিশ্বাস আর কঠোর পরিশ্রম, এটা আপনাকে একজন সফল মানুষ করে গড়ে তুলবে।
• মানুষ তার ভবিষ্যত পরিবর্তন করতে পারে না, কিন্তু অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারে। অভ্যাসই মানুষের ভবিষ্যত পরিবর্তন করে দেয়।
• যে মানুষগুলো তোমাকে বলে, “তুমি পারো না” বা “তুমি পারবেই না”, তারাই সম্ভবত সেই লোক যারা ভয় পায় এটা ভেবে যে; তুমি পারবে।

দর্শন নিয়ে এ পি জে আব্দুল কালামের বাণী | APJ Abdul Kalam’s Bani on Philosophy

• উদার ব্যক্তিরা ধর্মকে ব্যবহার করে বন্ধুত্বের হাত বাড়ান, কিন্তু সংকীর্ণ মনের মানুষরা ধর্মকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার।
• আপনাকে দেখতে কেমন তার উপরে আপনার সৌন্দর্য নির্ভর করে না , আপনি অন্তর থেকে কতটা সুন্দর তার উপরেই আপনার সৌন্দর্য নির্ভর করে।
• কোনো একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছো না! চিন্তিত করো না- ‘NO’ শব্দের মানে হচ্ছে ‘Next Opportunity’ অর্থাৎ ‘পরবর্তী সুযোগ’।
• প্রথম সাফল্যের পর বসে থেকো না। কারণ দ্বিতীয়বার যখন তুমি ব্যর্থ হবে তখন অনেকেই বলবে প্রথমটিতে শুধু ভাগ্যের জোরে সফল হয়েছিলে।
• নিজেকে একা মনে হলে আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পৃথিবীটা আমাদের বন্ধু। যারা কাজ করে ও স্বপ্ন দেখে প্রকৃতি তাঁদের সাহায্য করে।
• শিক্ষাবিদদের উচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুসন্ধানী, সৃষ্টিশীল, উদ্যোগী ও নৈতিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়া, যাতে তারা আদর্শ মডেল হতে পারে।
• জীবনে কঠিন সব বাঁধা আসে, তোমায় ধ্বংস করতে নয় বরং তোমার ভীতরের লুকোনো শক্তিকে অনুধাবন করাতে। বাঁধাসমূহকে দেখাও যে তুমিও কম কঠিন নও।
• শুধুমাত্র সাফল্যর গল্প পড়বেন না,এখানে শুধু একটা বার্তাই পাবেন। ব্যথতার গল্প গুলো পড়েন তাহলে সফল হওয়ার অনেকগুলো আইডিয়াও পেয়ে জাবেন।
• প্রতিদিন সকালবেলা এই ৫টি কথা নিজেকে বলবে: আমি সেরা, আমি নিশ্চই পারবো, সৃষ্টিকর্তা সর্বদা আমার সঙ্গে আছেন, আজকের এই দিনটা শুধু আমার।
• আমরা প্রত্যেকেই ভেতরে ঐশ্বরিক আগুন নিয়ে জন্মায়। আমাদের চেষ্টা করা উচিত এই আগুনে ডানা যুক্ত করার এবং এর মঙ্গলময়তার আলোয় জগত পূর্ণ করা।
• একজন খারাপ ছাত্র একজন দক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে যা শিখতে পারে তার চেয়ে একজন ভালো ছাত্র একজন খারাপ শিক্ষকের কাছ থেকে অনেক বেশী শিখতে পারে।
• যারা মন থেকে কাজ করে না, তাঁরা আসলে কিছুই অর্জন করতে পারে না। আর করলেও সেটা হয় অর্ধেক হৃদয়ের সফলতা। তাতে সব সময়ই একরকম তিক্ততা থেকে যায়।
• আপনি আপনার ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করে দিতে পারবেন না,কিন্তু আপনি আপনার অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে পারবেন। আর এটাই আপনার ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করে দিবে।
• তুমি তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করতে পারবে না কিন্তু তোমার অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবে এবং তোমার অভ্যাসই নিশ্চিত ভাবে তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করবে।
• বিজয়ী হওয়ার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে, বিজয়ী হওয়ার দরকার নেই এটা মনে করা। যখন তুমি স্বাভাবিক আর সন্দেহ মুক্ত থাকবে তখনই তুমি ভালো ফলাফল করতে পারবে।

ছাত্র সমাজের জন্য এপিজে আবদুল কালামের উক্তি | APJ Abdul Kalam Quotes for Student Society

• ক. নির্দিষ্ট লক্ষ্য, খ. ক্রমাগত জ্ঞান সঞ্চয় করা, গ. কঠোর পরিশ্রম ও ঘ. হার না মানা মনোভাব – এই চারটি জিনিস মেনে চললে যেকোনো কিছুকেই লাভ করা যেতে পারে।
• আমি এ কথা বলব না যে আমার জীবন অন্য কারো জন্য রোল মডেল হতে পারে। কিন্তু আমার নিয়তি যেভাবে গড়ে উঠেছে তাতে গরিব শিশুরা হয়তো বা একটু সান্ত্বনা পেতে পারে।
• আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ দেশ প্রদান করতে পারলেই তারা আমাদের মনে রাখবে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সভ্যতার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার মাধ্যমে তা সম্ভব।
• যদি তুমি ব্যর্থ হও অর্থাৎ FAIL করো, তাহলে কখনো হাল ছেড়ে দিওনা | কারণ FAIL শব্দটার একটা অন্য মানে আছে First Attempt in Learning অর্থ্যাৎ শিক্ষার প্রথম ধাপ।
• এখন বিজ্ঞান জানতে ইংরেজি জানা দরকার। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি দুই দশকের মধ্যে আমাদের ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা শুরু হবে। আর তখন আমরা জ্ঞানবিজ্ঞানে জাপানিদের মতো এগিয়ে যাব।
• যেখানে হৃদয় সৎ সেই ঘরে সবকিছু সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে ; যখন ঘরে সবকিছু সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে তখন দেশে নিয়ম থাকে ; আর যখন দেশে নিয়ম থাকে তখন দুনিয়াতে সবাই শান্তিতে থাকে।
• স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে স্বপ্ন দেখতে হবে। আর স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখ, স্বপ্ন হল সেটাই যেটা পুরণের প্রত্যাশা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।
• যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতিতে রুপান্তরিত করতে হয়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি এতে তিনজন মানুষের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থাকে – বাবা,মা আর শিক্ষক।
• আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ। যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে শুধুমাত্র তাদেরকেই শ্রেষ্ঠটা দেওয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত এই বিশ্ব।
• শিক্ষন একটি মহান পেশা, যা কোনো ব্যক্তির চরিত্র, ক্ষমতা এবং ভবিষৎ কে আকার দেয়। যদি মানুষ আমাকে একজন ভালো শিক্ষক রূপে মনে রাখে তবে তা আমার জন্য সব থেকে বেশি সম্মান জনক হবে।

এপিজে আবদুল কালামের বাণীতে সফলতার মন্ত্র | Success Mantra in the Words of APJ Abdul Kalam

• যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ ক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারে। তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক।
• শিক্ষাবিদদের বিচক্ষণতা,সৃজনশীলতার পাশাপাশি উদ্যোগী হওয়ার ও নৈতিক নেতৃত্বেরও শিক্ষা দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেকে পথিকৃত্ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যোগ্যতা অর্জন করা উচিত।
• তুমি যদি তোমার কাজকে স্যালুট করো, তাহলে তোমার আর কাউকে স্যালুট করতে হবেনা । কিন্তু যদি তুমি তোমার কাজকে অসম্মান করো,ফাঁকি দাও কিংবা অমর্যাদা করো, তাহলে তোমারই সবাইকে স্যালুট করে যেতে হবে।
• একটি দেশকে যদি দুর্নীতিমুক্ত করতে হয় ও দেশের সব মানুষকে যদি সুন্দর মনের করে গড়ে তুলতে হয় তাহলে আমি মনে করি সমাজের তিন ধরনের মানুষ সে কাজটি করতে পারেন। তারা হলেন-একজন বাবা,একজন মা এবং একজন শিক্ষক।
• বর্তমান সময়ে ইংরেজি শেখা খুবই আবশ্যক, কারণ বিজ্ঞান এর সমস্ত কাজ ইংরেজিতে হয়। আমি বিশ্বাস করি যে আগামী দুই দশক এ বিজ্ঞান এর কাজ আমাদের ভাষায় হওয়া শুরু হবে। তখন আমরা জাপানিদের মতো সমানে এগিয়ে যেতে পারব।
• প্রকৃত শিক্ষা একজন মানুষের গৌরব বৃদ্ধি করে এবং আত্মসম্মান বাড়ায়। যদি প্রতিটি মানুষ শিক্ষার বাস্তবিক অর্থ বুঝে নেয় এবং তা মানব উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করে, তবে এই দুনিয়া বসবাসের জন্য আরও ভালো স্থানে পরিণত হবে।
• যখন একটি শিশুর বয়স ১৫,১৬ বা ১৭ হয় তখন সে ঠিক করে, বড় হয়ে সে একজন ডাক্তার,একজন ইঞ্জিনিয়ার,একজন রাজনীতিবিদ হবে অথবা চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে যাবে। এই সময় সে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে এবং এই সময়টাই হলো তাদের প্রকৃত গঠন হওয়ার সময়। আপনি তাদেরকে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করতে পারেন।
• প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সম্মতি দেওয়া। আমি মনে করি পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে মানুষ অপরাধ করে। অপরাধের জন্য দায়ী সমাজ বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। কিন্তু সেই ব্যবস্থাকে আমরা শাস্তি দিতে পারি না। শাস্তি দিই ব্যবস্থার শিকার মানুষদের।
• তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার আহ্বান হলো ভিন্নভাবে চিন্তা করার সাহস থাকতে হবে। আবিষ্কারের নেশা থাকতে হবে। যেপথে কেউ যায় নি, সে পথে চলতে হবে। অসম্ভবকে সম্ভব করার সাহস থাকতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে এবং তারপর সফল হতে হবে। এগুলোই হলো সবচেয়ে মহৎ গুণ। এভাবেই তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। তরুণদের কাছে এটাই আমার বার্তা।

উপসংহার: এপিজে আব্দুল কালামের উক্তিতে বৃহত্তর উন্নয়ন | Greater Development in Dr. APJ Abdul Kalam Quotes

এপিজে আব্দুল কালামের উক্তি ও বাণী (APJ Abdul Kalam Quotes) শুধু কথার সমাহার নয়, বরং জীবনের দিকনির্দেশনা। আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি এটা অনুধাবন করতে সাহায্য করে যে তাঁর অমিয় বাণী ও উক্তি আজও আমাদের জীবনকে নতুন দিশা ও অনুপ্রেরণা যোগায়।

অধ্যবসায়, নম্রতা এবং কঠোর পরিশ্রমের বিষয়ে তাঁর শিক্ষাগুলি ব্যক্তিগত বৃদ্ধি এবং সামাজিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। তাঁর বিশ্বাস তার প্রতিটি ভাষাতে প্রতিধ্বনিত হতো। তার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক আমাদের জীবন। এই মহান ব্যক্তিত্বের জীবন ও বাণী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা আসুন আমাদের জীবনকে গড়ে তুলি সুন্দর ও সমৃদ্ধ। আশা করি এই লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং অনেক কিছু জানতে পেরেছেন, আমাকে উৎসাহিত করার জন্য দয়া করে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন যদি কোন পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়।

এপিজে আবদুল কালাম এর পুরো নাম কি?

এপিজে আবদুল কালামের পুরো নাম হল অবুল পাকির জৈনুলাবদিন আবদুল কালাম।

এপিজে আবদুল কালামের জন্মদিন কবে?

এপিজে আবদুল কালামের জন্মদিন, ১৫ অক্টোবর, ১৯৩১ সাল।

এ পি জে আব্দুল কালাম মারা যান কত সালে?

এপিজে আবদুল কালাম মারা গেছেন: ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই।

এ পি জে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী নাম কি?

এপিজে আবদুল কালামের আত্মজীবনীর নাম: “উইংস অফ ফায়ার”

ভারতের মিসাইল ম্যান কে ছিলেন?

ভারতের মিসাইল ম্যান হলেন এপিজে আবদুল কালাম। তিনি ভারতের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও রকেট প্রযুক্তিবিদ ছিলেন।

এপিজে আব্দুল কালামের শ্রেষ্ঠ বাণীগুলি কী?

1.এপিজে আবদুল কালামের শ্রেষ্ঠ বাণীগুলি: 2.স্বপ্ন দেখা বন্ধ করো না, স্বপ্ন দেখাই হচ্ছে জীবন। 3.আপনার গন্তব্য কতটুকু দূরে, তার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার যাত্রা। 4.জীবনে সফল হতে হলে, আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে আপনি বিশেষ। 5.বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, কারণ তাতেই সফলতা লুকিয়ে থাকে। 6.মূল বিষয় হল, মানুষকে ভালবাসা এবং সম্মান করা। আর নিজেকে নির্ভর করে চলার ক্ষমতা অর্জন করা।

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

পরবর্তিতে ব্যবহারের জন্য আপনার নাম, ইমেইল ঠিকানা এবং ওয়েব ঠিকানা এই ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুন।

Best 100+ Apj Abdul Kalam Quotes in Bengali (আব্দুল কালাম)

Apj Abdul Kalam Quotes in Bengali: এমন কিছু কিছু মানুষ এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হন , যারা মানুষকে নতুন পথের দিকনির্দেশ দেন । তাঁরা শিখিয়ে যান জীবনের আসল অর্থ ও উদ্দেশ্য কী । তেমনি একজন মহান ব্যক্তি হলেন স্যার এ.পি. জে আব্দুল কালাম ।

আব্দুল কালামের জন্ম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর অধুনা ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। যিনি ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হিসেবেই শুধু বিখ্যাত নন, জীবনকে কীভাবে মানুষের কল্যাণে ও পৃথিবীর উন্নয়নে কাজে লাগানো যায় — তা তিনি নিজের জীবন দিয়েই শিখিয়ে গেছেন । তিনি ২০১৫ সালের ২৭শে জুলাই পরলোক গমন করেন। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন আজও আমাদের মনে প্রানে।

আজ আমরা আপনার জন্য কিছু Best APJ Abdul Kalam Quotes in Bengali (Love, Motivational, Inspirational Bani), APJ Abdul Kalam Quotes Bangla, এ পি জে আব্দুল কালামের বিখ্যাত উক্তি, বানী (জীবন নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে) for WhatsApp, Facebook, Instagram Caption, Status শেয়ার করছি।

আশা করি, উক্তি গুলি আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে এবং আপনাদের জীবনে চলার পথে দিশা দেখাবে।

Must Read: Vidyasagar Quotes in Bengali (বিদ্যাসাগর এর উক্তি, বানী)

Must Read: Rabindranath Tagore Love Quotes in Bengali

Table of Contents

APJ Abdul Kalam Quotes in Bengali (এ পি জে আব্দুল কালামের বিখ্যাত উক্তি)

“তুমি তােমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করতে পারবেনা কিন্তুু অভ্যাস পরিবর্তন করতে নিশ্চই পারবে, এবং সেই অভ্যাসই তােমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করে দেবে।”

“স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখাে। স্বপ্ন হলাে সেটাই যা পূরণের অদম্য ইচ্ছা তােমায় ঘুমাতে দেবে না।”

“কাউকে হারিয়ে দেওয়াটা খুব সুহজ, কিন্তু কঠিন হলাে কারাে মন জয় করা।”

সফলতার গল্পে কেবল একটা বার্তা থাকে কিন্তু ব্যর্থতার গল্পে সফল হওয়ার উপায় থাকে।

“একটি ভালাে বই একশত বন্ধুর সমান, একজন ভালাে বন্ধু একটি লাইব্রেরীর সমান।”

“যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানী হলাে সেই ব্যক্তি, যে নিজেকে জানে। জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কোনাে কাজেই আসেনা।”

“একজন মহান শিক্ষক জ্ঞান, অদম্য ইচ্ছা আর করুনার দ্বারা নির্মিত হন।”

“সেই ভালো শিক্ষার্থী যে প্রশ্ন করে, প্রশ্ন না করলে কেউ শিখতে পারে না। তাই সর্বদা শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে হবে।”

“শিক্ষন একটি মহান পেশা, যা কোনো ব্যক্তির চরিত্র, ক্ষমতা এবং ভবিষৎ কে আকার দেয়। যদি মানুষ আমাকে একজন ভালো শিক্ষক রূপে মনে রাখে তবে তা আমার জন্যসব থেকে সম্মানজনকহবে।”

মানুষের জীবনে প্রতিবন্ধকতা থাকা দরকার, বাঁধা না থাকলে সফলতা উপভোগ করা যায়না…

“প্রথম জয়ের পর কখনই বিশ্রাম নেওয়া উচিত নয়, তাহলে দ্বিতীয়বার যদি আমরা ব্যর্থ হই, তখন সবাই বলবে প্রথমটা তুমি ভাগ্যের জোরে পেয়েছিলাে।”

“আমার মতে, আপনি অল্প বয়সে অধিক আশাবাদী হন এবং এই সময় আপনার কল্পনা শক্তি অধিক হয়। আপনার মধ্যে ভেদাভেদও কম হয়।”

“জীবনে কঠিন সব বাঁধা আসে, তোমায় ধ্বংস করতে নয় বরং তোমার ভীতরের লুকোনো শক্তিকে অনুধাবন করাতে। বাঁধাসমূহকে দেখাও যে তুমিও কম কঠিন নও।“

“যদি তুমি ব্যর্থ হও অর্থ্যাৎ FAIL করাে, তাহলে মােটেই হাল ছেড়ে দিওনা। কারণ FAIL শব্দটার একটা অন্য মানে আছে First Attempt in Learning অর্থাৎ শিক্ষার প্রথম ধাপ।”

APJ Abdul Kalam Quotes Bangla (এ পি জে আব্দুল কালামের বানী)

ওপরে ওঠার জন্য শক্তি দরকার, সেটা মাউন্ট এভারেস্ট ই হোক বা আপনার পেশা…

ব্যর্থতা নামক রোগের সবথেকে ভালো ওষুধ হলো আত্মবিশ্বাস আর কঠোর পরিশ্রম, এটা আপনাকে একজন সফল মানুষ গড়ে তুলবে…

“প্রথম সাফল্যের পর বসে থেকো না। কারণ দ্বিতীয়বার যখন তুমি ব্যর্থ হবে তখন অনেকেই বলবে প্রথমটিতে শুধু ভাগ্যের জোরে সফল হয়েছিলে।“

“যতক্ষণ না ভারত দুনিয়ার সামনে নিজেকে মেলে ধরবে ততক্ষন কেউ আমাদের সম্মান করবে না। এই দুনিয়াতে ভয়ের কোনো স্থান নেই। কেবল মাত্র শক্তিই শক্তিকে সম্মান করে।”

“চলুন আজকের দিনটাকে আমরা উৎসর্গ করি যাতে আমাদের সন্তানেরা কালকের দিনটিকে উপভোগ করতে পারে।”

“অসাধারণ হওয়ার জন্য কঠিন যুদ্ধে নামার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, যতক্ষণ না আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌছাচ্ছেন।”

”আমাদের সবার দক্ষতা সমান নয় ঠিকই, তবে আমাদের সবার কাছেই সেই দক্ষতাকে আরও বাড়ানোর সমান সুযোগ রয়েছে।”

একজন মহান ও আদর্শ শিক্ষকের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ গুণ অবশ্যই থাকা উচিত – করুণা, জ্ঞান এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি।

“তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার আহ্বান হলো ভিন্নভাবে চিন্তা করার সাহস থাকতে হবে।”

“এখন আঙ্গুলের একটি ক্লিকে পাওয়া তথ্য আমাকে আশ্চর্য করে।”

নির্দিষ্ট লক্ষ্য, ক্রমাগত জ্ঞান সঞ্চয় করা, কঠোর পরিশ্রম ও হার না মানা মনোভাব – এই চারটি জিনিস মেনে চললে যেকোনো কিছুকেই লাভ করা যেতে পারে…

”শ্রেষ্ঠত্ব একটি চলমানপ্রক্রিয়া, কোনো দুর্ঘটনা নয়।”

“হতাশা একটি বিলাসিতা। হতাশার জায়গাটি আজ থেকে দখল করুক কাজ শেষের তৃপ্তিমাখা ক্লান্তি।”

“যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারেনা, তাদের সাফল্য অর্জন আনন্দহীন ও আকর্ষণহীন, এমন সাফল্যের থেকেই সৃষ্টি হয় তিক্ততা।”

আরও পড়ুনঃ Famous Satyajit Ray Quotes in Bengali (সত্যজিৎ রায় উক্তি)

APJ Abdul Kalam Speech Bangla (Motivational Quotes)

“রাষ্ট্র জনগণ নিয়ে তৈরী হয়। আর তাদের সম্মলিত প্রয়াসে তারা সবকিছু করতে পারে।”

“শ্রেষ্ঠত্ব একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়”

”জাতির সবচেয়ে ভালো মেধা ক্লাসরুমের শেষ বেঞ্চ থেকে পাওয়া যেতে পারে।“

জীবনকে ভালোবাসুন। ভালবাসতে ভালোবাসুন, ভালবাসায় কিছু উন্মাদনা থাকবেই। কিন্তু সব উন্মাদনায়ই কিছু আন্তরিকতা মিশে থাকে।”

প্রশংসা করতে হবে প্রকাশ্যে কিন্তু সমালোচনা করতে হবে ব্যক্তিগত ভাবে…

“কেবল বিশেষ সময়ে নয় সবসময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যেতে হবে”

“জীবনে কঠিন সব বাঁধা আসে, তােমায় ধ্বংস করতে নয় বরং তােমার ভীতরের লুকোনাে শক্তিকে অনুধাবন করাতে। বাঁধাসমূহকে দেখাও যে তুমিও কম কঠিন নও।”

“শিক্ষন একটি মহান পেশা, যা কোনো ব্যক্তির চরিত্র, ক্ষমতা এবং ভবিষৎ কে আকার দেয়। যদি মানুষ আমাকে একজন ভালো শিক্ষক রূপে মনে রাখে তবে তা আমার জন্য সব থেকে বেশি সম্মান জনক হবে।”

যে ব্যক্তি অন্যদের জানেন, তাকে শিক্ষিত বলা যায়। কিন্তু যিনি নিজেকে জানেন, কেবলমাত্র তাকেই জ্ঞানী বলা যায়। আর জ্ঞান ছাড়া কি শিক্ষা কোনও কাজে আসে?

“যখন বাচ্চারা সবার থেকে নিজেকে আলাদা ভাবে প্রকাশ করার জন্য সংঘর্ষ করছে, তখন কিন্তু দুনিয়ার সবাই চেষ্টা করছে তারা যেন আর সবার মতো হয়।”

“আমরা শুধু সাফল্যের উপরই গড়ি না, আমরা অসফলতার উপরেও গড়ি।”

“আমি এ কথা বলব না যে আমার জীবন অন্য কারো জন্য রোল মডেল হতে পারে। কিন্তু আমার নিয়তি যেভাবে গড়ে উঠেছে তাতে গরিব শিশুরা হয়তো বা একটু সান্ত্বনা পেতে পারে”

একজন খারাপ ছাত্র একজন দক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে যা শিখতে পারে, তার চেয়ে একজন ভালো ছাত্র একজন খারাপ শিক্ষকের কাছ থেকে অনেক বেশি শিখতে পারে…

Best APJ Abdul Kalam Bani Bengali Language

”ব্যর্থতা কখনো আমায় টপকে যেতে পারবেনা, যদি আমার মধ্যে সফল হওয়ার যথেষ্ট মনের জোর না থাকে।“

বিজয়ী হওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হল, ‘বিজয়ী না হলেও চলবে’ এই কথা মনে করে এগিয়ে যাওয়া। যখন মনে কোনও দ্বন্দ এবং ভয় থাকবে না, তখনই সফল হবেন।

“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যতক্ষণ না একজন ব্যর্থতার স্বাদ অনুভব করছেন, তার মধ্যে কখনই সফল হওয়ার যথেষ্ট ইচ্ছা থাকবে না।”

“সফলতার গল্পে কেবল একটি বার্তা থাকে। কিন্তু ব্যর্থতার গল্পে সফল হওয়ার উপায় থাকে”

“এমন অনেক নারী আছে যারা সমাজে বিরাট পরিবর্তন এনেছে।”

“উদার ব্যক্তিরা ধর্মকে ব্যবহার করে বন্ধুত্বের হাত বাড়ান, কিন্তু সংকীর্ণ মনের মানুষরা ধর্মকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার।“

“পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দের অনুভূতিটি হচ্ছে যখন তুমি একটি লক্ষ্য ঠিক করছিলে সেই লক্ষ্যটি পূরণ করতে পারলে।”

“লক্ষ্য সফলতায় রুপান্তরিত করার পূর্বে, লক্ষ্যের প্রতি, সম্পূর্ণ ভক্তি থাকা অত্যন্ত্র জরুরী।”

“সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে, তারপর সফল হতে হবে।”

“উন্নত ও নিরাপদ ভারত রেখে যেতে পারলেই পরের প্রজন্ম আমাদের মনে রাখবে…

”বিজ্ঞান মানবতার জন্য একটি সুন্দর উপহার। আমাদের তাকে বিকৃত করা উচিত নয়।”

“স্বপ্ন সেটা নয় , যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে সপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না”

যেকোনো ধর্মকে; সেটাকে বানানোর জন্য আর প্রসার করার জন্য, অন্যের হত্যা করা অনিবার্য নয়…

“প্রশংসা করতে হয় প্রকাশ্যে কিন্তু সমালোচনা করতে হবে ব্যক্তিগত ভাবে।”

আরও পড়ুনঃ Sri Ramkrishna Quotes in Bengali (রামকৃষ্ণের বাণী বাংলায়)

এ পি জে আব্দুল কালামের বিখ্যাত উক্তি, বানী, Inspirational Quotes

যদি কোনওদিন আপনি ব্যর্থও হন, সেক্ষেত্রে হতাশ হবেন না। ব্যর্থতার অর্থ কিন্তু এটাই যে আপনি অন্তত চেষ্টা করেছেন।

নেতা সমস্যায় ভয় পান না। বরং সমস্যার মোকাবিলা করতে জানবেন। তাকে কাজ করতে হবে সততার সঙ্গে।

”যারা মন থেকে কাজ করে না, তাঁরা আসলে কিছুই অর্জন করতে পারে না। আর করলেও সেটা হয় অর্ধেক হৃদয়ের সফলতা। তাতে সব সময়ই একরকম তিক্ততা থেকে যায়।”

“আমাদের কখনই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় এবং সর্বদা প্রস্তুত থাকা উচিত যাতে কোনাে বাঁধা যেন আমাদের হারিয়ে না দিতে পারে।”

শিক্ষাবিদদের উচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুসন্ধানী, সৃষ্টিশীল ও উদ্যোগী ও নৈতিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া যাতে তারা আদর্শ মডেল হতে পারে।

কোনো একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছো না! চিন্তিত করো না- ‘NO’ শব্দের মানে হচ্ছে ‘Next Opportunity’ অর্থাৎ ‘পরবর্তী সুযোগ’।

একজন মহান শিক্ষক জ্ঞান,অদম্য ইচ্ছা আর করুনার দ্বারা নির্মিত হন…

স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে স্বপ্ন দেখে যেতে হবে…

”যা আমি বদলাতে পারব না, তা মেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।“

যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন যে কতদিন স্বপ্ন দেখতে হবে? আমি বলব, যতদিন না পর্যন্ত আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে ততদিন।

তুমি যদি তোমার কাজকে স্যালুট করো, তাহলে তোমার আর কাউকে স্যালুট করতে হবেনা | কিন্তু যদি তুমি তোমার কাজকে অসম্মান করো,ফাঁকি দাও কিংবা অমর্যাদা করো, তাহলে তোমার সবাইকে স্যালুট করে যেতে হবে…

সফলতার গল্প পড়ো না, কারণ তা থেকে তুমি শুধু গল্পটাই পাবে। ব্যর্থতার গল্প পড়ো, তাহলে সফল হওয়ার কিছু উপায় পাবে।

আমরা তখনই স্মরণীয় হয়ে থাকব, শুধুমাত্র যখন আমরা আমাদের উত্তর প্রজন্মকে উন্নত ও নিরাপদ ভারত উপহার দিতে পারব।

“আমার মতে এই পৃথিবীতে দু’ধরণের লোক রয়েছে; এক হলো তরুণ আর এক হলো অভিজ্ঞ”

Sir APJ Abdul Kalam Quotes in Bengali (Status, Caption)

আপনি যদি চান যে আপনিও সূর্যের মত উজ্জ্বল হবেন, তাহলে আপনাকেও প্রথমে সূর্যের মত পুড়তে হবে।

“তোমার মিশনকে সফল করে তুলতে তোমাকে এক মনে নিষ্ঠার সাথে লক্ষ্যর উদ্দেশ্যে এগুতে হবে”

তুমি তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করতে পারবেনা কিন্তু অভ্যাস পরিবর্তন করতে নিশ্চই পারবে, এবং অভ্যাসই তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করে দেবে…

নানারকমের চিন্তা ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে | আবিষ্কারের নেশা থাকতে হবে | যেই পথে কেউ যায়নি, সেই পথেই এগোতে হবে | অসম্ভবকে সম্ভব করার সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করেই সফল হতে হবে…

প্রতিদিন সকালে এই পাঁচটা লাইন বলো: ১) আমি সেরা, ২) আমি করতে পারি, ৩) সৃষ্টিকর্তা সব সময় আমার সঙ্গে আছে, ৪) আমি জয়ী, ৫) আজ দিনটা আমার…

গোটা মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুসুলভ, যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে তাদেরই শ্রেষ্ঠতা দেওয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত এই বিশ্ব…

“তরুণেরা চাকুরী হননকারী না হয়ে বরং চাকুরী প্রদানকারীতে পরিণত হয়ে উঠো”

জীবন একটা কঠিন খেলা, ব্যক্তি হিসাবে মৌলিক অধিকার ধরে রাখার মাধ্যমেই একমাত্র তুমি জয়ী হতে পারবে…

সহজ ও দ্রুত সুখের জন্য না ছুটে প্রকৃত সফলতার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন…

আমি সুদর্শন নই, কিন্তু আমি আমার হাত তার জন্য বাড়িয়ে দিতে পারি, যার সত্যি সাহায্যের প্রয়োজন | সৌন্দর্য থাকে মানুষের মনে, মুখে নয়…

প্রথম জয়ের পর কখনই বিশ্রাম নেওয়া উচিত নয়, তাহলে দ্বিতীয়বার যদি আমরা ব্যর্থ হই, তখন সবাই বলবে প্রথমটা তুমি ভাগ্যের জোরে পেয়েছিলে…

আমাদের সবার সমান মেধা নেই। তবে আমাদের সকলেরই সুযোগ রয়েছে প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর…

নিজের কাজকে ভালবাসুন, কিন্তু অফিসকে বেশি ভালবাসবেন না। কারণ আপনি জানেন না যে অফিস কখন আপনাকে ভালবাসা বন্ধ করে দেবে!

আরও পড়ুনঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উক্তি (Sarat Chandra Chattopadhyay Quotes in Bengali)

APJ Abdul Kalam Quotes Bangla (কালামের বানী)

স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত করার পূর্বে, স্বপ্ন দেখা প্রয়োজন ।

যা তুমি ভাববে, চিন্তা করবে, তুমি ভবিষ্যতে সেভাবেই তৈরী হবে ।

“চলো আমরা আমাদের আজকের দিনটিকে উৎসর্গ করি যাতে করে আমাদের সন্তানেরা একটি সুন্দর আগামী পায়”

“কৃত্তিম সুখের পরিবর্তে নিরেট উপলব্ধির উপর সমর্পিত হন।”

“আসুন আজ আমরা বলিদান দিই যাতে কাল আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ভালো হয়।”

“নিজের লক্ষ্যে সফল হওয়ার জন্য, আপনাকে আপনার লক্ষের প্রতি নিষ্ঠাবানহতেহবে।”

“ঈশ্বর, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের মস্তিস্ক এবং ব্যাক্তিত্যে অপরিসীম ক্ষমতা এবং শক্তি দিয়েছেন। ঈশ্বরের প্রার্থনা আমাদের সেই শক্তি বিকশিত করতে সাহায্য করবে।”

একটি ভাল বই একশ জন ভাল বন্ধুর সমান, কিন্তু মাত্র একজন ভাল বন্ধু গোটা লাইব্রেরির সমান।

স্বপ্ন দেখা ছাড়বেন না। স্বপ্নই আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতাকে শক্তি দেয়। আর আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতাই আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

জীবন আর সময় হলাে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, জীবন শেখায় সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে আর সময় শেখায় জীবনের মুল্য দিতে।

তুমি তােমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করতে পারবেনা কিন্তু অভ্যাস পরিবর্তন করতে নিশ্চই পারবে, এবং সেই অভ্যাসই তােমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করে দেবে।

স্বপ্ন, স্বপ্ন, স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখে যেতে হবে। স্বপ্ন না দেখলে কাজ করা যায় না।

সমাপ্তি মানেই শেষ নয়। ‘END’ শব্দটির মানে হচ্ছে ‘Effort Never Dies’ অর্থাৎ ‘প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই’।

Popular Posts:

শেষের কবিতা – Shesher Kobita Quotes in Bengali (Famous Lines)

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী (100+ Radha Krishna Quotes in Bengali)

60+ কবি জীবনানন্দ দাশের উক্তি (Jibanananda Das Quotes in Bengali)

৫০+ Bangla Quotes about Dreams {জীবনের স্বপ্ন নিয়ে উক্তি}

তো বন্ধুরা, আপনার Best APJ Abdul Kalam Quotes in Bengali (Love, Motivational, Inspirational Bani), APJ Abdul Kalam Quotes Bangla, এ পি জে আব্দুল কালামের বিখ্যাত উক্তি, বানী (জীবন নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে) for WhatsApp, Facebook, Instagram Caption, Status গুলো কেমন লাগলো, কমেন্ট করে আমাদের জানান। আপনার একটি কমেন্ট আমাদের আরও উৎসাহিত করবে এই রকমের পোস্ট Publish করার জন্য।

অবশেষে, আমি বলবো যে যদি Quotes, Status, Caption গুলি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনি এগুলো প্রিয়জনের সাথে এবং বন্ধুদের সাথে অবশ্যই Share করবেন।

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

• History & Society
• Science & Tech
• Biographies
• Animals & Nature
• Geography & Travel
• Arts & Culture
• Games & Quizzes
• On This Day
• One Good Fact
• New Articles
• Lifestyles & Social Issues
• Philosophy & Religion
• Politics, Law & Government
• World History
• Health & Medicine
• Browse Biographies
• Birds, Reptiles & Other Vertebrates
• Bugs, Mollusks & Other Invertebrates
• Environment
• Fossils & Geologic Time
• Entertainment & Pop Culture
• Sports & Recreation
• Visual Arts
• Demystified
• Image Galleries
• Infographics
• Top Questions
• Britannica Kids
• Saving Earth
• Space Next 50
• Student Center

What is A.P.J. Abdul Kalam known for?

What organizations was a.p.j. abdul kalam associated with, when and how did a.p.j. abdul kalam enter politics.

• Which country had the most nuclear weapons?
• What are the oldest known civilizations of India?

A.P.J. Abdul Kalam

Our editors will review what you’ve submitted and determine whether to revise the article.

• Official Site of Dr APJ Abdul Kalam International Foundation
• IndiaNetzone - A.P.J. Abdul Kalam
• Cultural India - A. P. J. Abdul Kalam
• Maps of India - A.P.J. Abdul Kalam Biography
• BBC News - Abdul Kalam: People’s president, extraordinary Indian

A.P.J. Abdul Kalam served as president of the Republic of India from 2002 to 2007. As president, Kalam promoted the advancement of the national nuclear weapons program. Kalam also devised a 20-year action plan to achieve economic growth through technological development in India.

A.P.J. Abdul Kalam attended the Madras Institute of Technology, where he received a degree in aeronautical engineering in 1960. After graduation he joined the Defence Research and Development Organisation (DRDO)—an Indian military research institute—and later the Indian Space Research Organisation (ISRO). Kalam’s associations were not limited to research organizations: he was also associated with political groups, such as the National Democratic Alliance (NDA).

A.P.J. Abdul Kalam created the Technology Vision 2020 project in 1998. The project sought to develop India’s economy through technology, particularly as applied to agriculture, and increase the availability of health care and education. In recognition of Kalam’s services to the country and broad popularity, the National Democratic Alliance nominated him for president in 2002.

How many awards did A.P.J. Abdul Kalam win?

A.P.J. Abdul Kalam won many awards, both from the Indian government and from the international community. His most notable awards were the Padma Vibhushan, won in 1990, and the Bharat Ratna, won in 1997, for his contributions to science and engineering and service to the government.

Recent News

A.P.J. Abdul Kalam (born October 15, 1931, Rameswaram , India—died July 27, 2015, Shillong) was an Indian scientist and politician who played a leading role in the development of India’s missile and nuclear weapons programs. He was president of India from 2002 to 2007.

Kalam earned a degree in aeronautical engineering from the Madras Institute of Technology and in 1958 joined the Defence Research and Development Organisation (DRDO). In 1969 he moved to the Indian Space Research Organisation , where he was project director of the SLV-III , the first satellite launch vehicle that was both designed and produced in India. Rejoining DRDO in 1982, Kalam planned the program that produced a number of successful missiles, which helped earn him the nickname “Missile Man.” Among those successes was Agni, India’s first intermediate-range ballistic missile , which incorporated aspects of the SLV-III and was launched in 1989.

From 1992 to 1997 Kalam was scientific adviser to the defense minister, and he later served as principal scientific adviser (1999–2001) to the government with the rank of cabinet minister. His prominent role in the country’s 1998 nuclear weapons tests solidified India as a nuclear power and established Kalam as a national hero, although the tests caused great concern in the international community . In 1998 Kalam put forward a countrywide plan called Technology Vision 2020, which he described as a road map for transforming India from a less-developed to a developed society in 20 years. The plan called for, among other measures, increasing agricultural productivity, emphasizing technology as a vehicle for economic growth , and widening access to health care and education.

In 2002 India’s ruling National Democratic Alliance (NDA) put forward Kalam to succeed outgoing President Kocheril Raman Narayanan . Kalam was nominated by the Hindu nationalist ( Hindutva ) NDA even though he was Muslim, and his stature and popular appeal were such that even the main opposition party, the Indian National Congress , also proposed his candidacy. Kalam easily won the election and was sworn in as India’s 11th president , a largely ceremonial post, in July 2002. He left office at the end of his term in 2007 and was succeeded by Pratibha Patil , the country’s first woman president.

Upon returning to civilian life, Kalam remained committed to using science and technology to transform India into a developed country and served as a lecturer at several universities. On July 27, 2015, he collapsed while delivering a lecture at the Indian Institute of Management Shillong and was pronounced dead from cardiac arrest soon afterward.

Kalam wrote several books, including an autobiography, Wings of Fire (1999). Among his numerous awards were two of the country’s highest honors, the Padma Vibhushan (1990) and the Bharat Ratna (1997).

• School Guide
• English Grammar Free Course
• English Grammar Tutorial
• Parts of Speech
• Figure of Speech
• Tenses Chart
• Essay Writing
• Email Writing
• NCERT English Solutions
• English Difference Between
• SSC CGL English Syllabus
• SBI PO English Syllabus
• SBI Clerk English Syllabus
• IBPS PO English Syllabus
• IBPS CLERK English Syllabus

APJ Abdul Kalam Essay For Students: Samples 100 to 500 Words

In the heart of every Indian, there’s a special place reserved for Dr. APJ Abdul Kalam. Known fondly as the “Missile Man” and the “People’s President,” he left an indelible mark on the sands of time. Born into a humble family in Rameswaram, he rose to become one of India’s most beloved leaders, blending science with spirituality and compassion. With a vision to ignite young minds and steer India towards greatness, his life story serves as an inspiration to millions worldwide.

In this article, we will explore the life and legacy of this extraordinary soul, whose dreams continue to soar in India and the world even after his departure.

Table of Content

10 Important Facts About APJ Abdul Kalam

Essay on abdul kalam 100 words, essay on apj abdul kalam in 150 words, essay on apj abdul kalam 300 words, 500+ words apj abdul kalam essay, essay on apj abdul kalam for class 5.

Here are some of the most important facts about APJ Abdul Kalam that can help you write an essay:

• Early Life: Born on October 15, 1931, in Rameswaram, Tamil Nadu, to a humble Tamil Muslim family.
• Education: Kalam graduated in Physics from St. Joseph’s College, Tiruchirappalli, and later completed his Aeronautical Engineering from Madras Institute of Technology.
• Career in DRDO and ISRO: He played a pivotal role in India’s space and missile development programs, working with organizations like the Defense Research and Development Organisation (DRDO) and the Indian Space Research Organisation (ISRO).
• Father of India’s Missile Program: Dr. Kalam is often referred to as the “Missile Man of India” for his contributions to the development of ballistic missiles and launch vehicle technology.
• Pokhran-II Nuclear Tests: He played a significant role as the Chief Project Coordinator for India’s Pokhran-II nuclear tests in 1998.
• Presidency: Kalam served as the 11th President of India from 2002 to 2007, known for his people-centric approach and as the “People’s President.”
• Writings: He authored several inspirational books, including “Wings of Fire,” an autobiography that traces his life from childhood to the presidency.
• Educational Reformer: Kalam was a passionate advocate for education and often interacted with students, encouraging them to pursue their dreams and contribute to the nation’s development.
• Awards and Honors: He received numerous awards and honors, including the Bharat Ratna, India’s highest civilian award, in 1997.
• Legacy: Even after his passing in 2015, Dr. Kalam’s legacy continues to inspire generations, especially youth, to strive for excellence, innovation, and service to the nation.

APJ Abdul Kalam was a great scientist and the 11th President of India. He was born on October 15, 1931, in Rameswaram, Tamil Nadu. He played a crucial role in India’s missile development programs. Kalam was known as the “Missile Man of India” for his contributions to the field of aerospace engineering. He received many awards, including the Bharat Ratna, India’s highest civilian honor. Kalam inspired millions of people, especially youth, with his wisdom and vision for a better India. He passed away on July 27, 2015, but his legacy continues to inspire generations.

APJ Abdul Kalam, India’s “Missile Man,” was a renowned scientist and the 11th President of India. Born on October 15, 1931, in Rameswaram, Tamil Nadu, he had a humble beginning. Kalam rose to prominence with his work in aerospace engineering, contributing significantly to India’s missile development programs. His leadership and vision earned him the title of “People’s President.”

During his presidency from 2002 to 2007, Kalam focused on education and youth empowerment. He believed in the potential of young minds and often engaged with students to inspire them. Kalam received several awards, including the Bharat Ratna, India’s highest civilian honor, for his exceptional contributions to science and education.

Despite his passing on July 27, 2015, Kalam’s legacy lives on through his inspirational words and deeds. He continues to motivate millions worldwide, urging them to dream big and work hard to achieve their aspirations.

The complete name of APJ Abdul Kalam was Dr. Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam. He shone as a bright star in Indian history, known as both the Missile Man and People’s President. He was born on 15th October 1931, in Tamil Nadu. His life was characterized by challenges but served as an inspiration to the emerging generation of India. 

He envisioned a developed India and famously said, “You have to dream before your dreams can come true.” His strong passion for flight allowed him to achieve his dream of becoming an Aeronautical Engineer. Despite coming from a humble background, he persevered in his education, completing his Science degree at St. Joseph’s College in Tiruchirappalli and  Aeronautical Engineering  from the Madras Institute of Technology in 1954.

In 1958, he joined  DRDO  as a senior scientific assistant, leading a small team focused on developing a prototype hovercraft. Later, he moved to the Indian Space Research Organization (ISRO) due to limited progress in the hovercraft program. Widely acclaimed as the “Missile Man of India,” he made substantial contributions to developing ballistic missiles and space rocket technology. He served as a driving force in advancing the nation’s defence technologies, ultimately elevating India to the status of nuclear power through his remarkable achievements.

He stood out as a distinguished scientist and engineer, assuming the role of the 11th President of the nation from 2002 to 2007. His dedicated contribution was evident in the Pokhran-II nuclear test of 1998. With a visionary outlook and a wealth of ideas, he consistently aimed for the advancement of the country. 

In his book “India-2020,” he outlined action plans for the nation’s development by 2020. However, he believed that the true treasure of the nation resided in its youth, and he consistently encouraged and motivated them. He emphasized the need for inspirational role models in leadership to guide the younger generation.

Dr. APJ Abdul Kalam is one of the greatest scientists and statesmen of the 21st century. His life journey is a testament to the power of perseverance, dedication, and service to humanity. From humble beginnings in Tamil Nadu to serving as the 11th President of India, Dr. Kalam’s legacy continues to inspire millions around the world. Born on October 15, 1931, in the town of Rameswaram, Tamil Nadu, Kalam hailed from a modest background. Despite facing financial hardships, he never wavered in his commitment to education. With a thirst for knowledge and a passion for science, he pursued his studies diligently, eventually earning degrees in Physics and Aeronautical Engineering.

Kalam’s professional career began with his involvement in India’s defense and space programs. He joined organizations like the Defense Research and Development Organisation (DRDO) and the Indian Space Research Organisation (ISRO), where he played a pivotal role in developing missile technology. His contributions to projects like the Agni and Prithvi missiles earned him the title of the “Missile Man of India.”

The year 1998 marked a significant milestone in Kalam’s career when he played a crucial role in India’s Pokhran-II nuclear tests, showcasing the country’s capabilities on the global stage. His leadership and scientific acumen were instrumental in solidifying India’s position as a nuclear power.

In 2002, Dr. Kalam was elected as the President of India, a role he embraced with humility and dedication. During his tenure, he endeared himself to the people with his simplicity, accessibility, and genuine concern for the welfare of the nation. He traveled extensively, engaging with citizens from all walks of life and inspiring them to dream big and contribute to the progress of the country.

As the “People’s President,” Kalam’s presidency was marked by a deep-rooted connection with the youth. He believed that they held the key to India’s future and urged them to harness their potential through education and innovation. His “Kalam Conversations” with students across the country became legendary, as he shared his wisdom and encouraged them to pursue excellence in their chosen fields.

Despite his illustrious career in politics and science, Dr. Kalam remained grounded in simplicity and integrity. He lived a modest life, devoid of any extravagance, and was known for his discipline and work ethic. His commitment to serving the nation above personal interests earned him the respect and admiration of people from all walks of life.

After completing his term as President, Dr. Kalam returned to his passion for teaching and mentoring young minds. He lectured at various prestigious institutions across India, sharing his knowledge and inspiring the next generation of leaders and innovators. He believed in the innate talent and potential of India’s youth and advocated for providing them with opportunities to excel.

Throughout his life, Dr. Kalam was honored with numerous awards and accolades, both in India and internationally. His contributions to science, education, and public service were recognized and celebrated by governments, institutions, and organizations worldwide.

Dr. APJ Abdul Kalam was not just a scientist or a statesman; he was a visionary leader who dedicated his life to the service of his country and humanity. His unwavering commitment to excellence, his humility, and his profound belief in the power of education continue to inspire millions around the world. Though he may have left us physically, his legacy lives on in the hearts and minds of those who continue to be inspired by his vision of a prosperous, inclusive, and peaceful world. As we commemorate his life and contributions, let us strive to emulate his values and work towards realizing his dream of a better tomorrow for all.

APJ Abdul Kalam, also known as the “Missile Man of India,” was a brilliant scientist and a beloved President. He was born in Rameswaram, Tamil Nadu, on October 15, 1931. From a young age, Kalam was curious about science and technology. He worked hard and became a renowned aerospace engineer, making significant contributions to India’s missile programs.

Kalam served as the President of India from 2002 to 2007. During his presidency, he focused on education and youth development, often interacting with students to share his knowledge and inspire them. He believed in the power of dreams and encouraged young minds to dream big and work hard to achieve their goals.

Even after his presidency, Kalam continued to inspire millions with his speeches and writings. He received numerous awards, including the Bharat Ratna, India’s highest civilian award, for his exceptional contributions to science and education.

APJ Abdul Kalam passed away on July 27, 2015, but his teachings and ideals continue to motivate people worldwide. He remains a role model for students and aspiring scientists, reminding us that with determination and hard work, anything is possible.

Similar Reads Essay on my Best Friend: 10 Lines, 100 Words, 200 Words Essay Essay on My Mother: 10 lines, 100 Words and 200 words essay Essay on Diwali in English for Student Essay on Ayodhya Ram Mandir in English for Students

APJ Abdul Kalam Essay- FAQs

Who was apj abdul kalam, and why is he important.

APJ Abdul Kalam was a famous scientist and India’s 11th President. He’s important because he helped India develop missiles and nuclear technology and inspired many people, especially the youth.

What are some key achievements of APJ Abdul Kalam?

APJ Abdul Kalam helped India develop missiles like Agni and Prithvi. He also played a big role in India’s nuclear tests, making our country a nuclear power.

What was APJ Abdul Kalam’s role as President of India?

APJ Abdul Kalam was loved as President because he was friendly and cared about people. He talked a lot about education and youth development.

How did APJ Abdul Kalam inspire the youth?

APJ Abdul Kalambelieved young people could make a big difference. He encouraged them to work hard, dream big, and use their talents to help India grow.

What were Dr. APJ Abdul Kalam’s views on education?

APJ Abdul Kalam thought education was super important. He said everyone should have a chance to learn and get a good education, no matter where they came from.

What was APJ Abdul Kalam’s post-presidency life like?

After being President, APJ Abdul Kalamwent back to teaching and talking to students. He liked sharing his knowledge and inspiring young people to do great things.

What is Dr. APJ Abdul Kalam’s legacy?

APJ Abdul Kalam legacy is all about being honest, working hard, and helping others. He showed that anyone can achieve big things with determination and kindness. His ideas about education and development still inspire many today.

Please Login to comment...

Similar reads.

• School English
• English Blogs
• How to Delete Discord Servers: Step by Step Guide
• Google increases YouTube Premium price in India: Check our the latest plans
• California Lawmakers Pass Bill to Limit AI Replicas
• Best 10 IPTV Service Providers in Germany
• Content Improvement League 2024: From Good To A Great Article

Improve your Coding Skills with Practice

What kind of Experience do you want to share?

45,000+ students realised their study abroad dream with us. Take the first step today

Meet top uk universities from the comfort of your home, here’s your new year gift, one app for all your, study abroad needs, start your journey, track your progress, grow with the community and so much more.

Verification Code

An OTP has been sent to your registered mobile no. Please verify

Thanks for your comment !

Our team will review it before it's shown to our readers.

• School Education /

Essay on APJ Abdul Kalam: Samples in 100 to 500 Words

• Updated on  
• Sep 18, 2023

A.P.J. Abdul Kalam’s full name was Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam. He was a space scientist who played crucial technological roles in DRDO and ISRO , laying the foundation for their growth. He held deep knowledge of the teachings from the Holy Quran and Bhagavad Gita. 

Additionally, he served as the 11th President of India and was especially popular among the youth. The United Nations designated his birth anniversary, October 15th, as World Students’ Day to honour his role in inspiring young people in India and worldwide.

Table of Contents

• 1 100 Words Essay on APJ Abdul Kalam
• 2 300 Words Essay on APJ Abdul Kalam
• 3.1 Early Life and Career
• 3.2 Further Achievements and Contributions
• 3.3 Legacy and Initiatives

Also Read: English Essay Topics

Also Read: How to Write an Essay in English

Also Read: Speech on Republic Day for Class 12th

100 Words Essay on APJ Abdul Kalam

Dr. APJ Abdul Kalam remains in the hearts of the Indian people as both the Missile Man of India and the People’s President. He was a notable scientist who introduced numerous innovations. Born on 15th October 1931, in Rameswaram, Tamil Nadu, he served as the President of India from 2002 to 2007. He passed away on July 27, 2015, in Shillong, Meghalaya. His father’s name was Jainulabudeen, and his mother’s name was Ashiamma. 

His full name was Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam, and he remained unmarried. He received prestigious awards such as Bharat Ratna (1997), Padma Vibhushan (1990), Padma Bhushan (1981), Indira Gandhi Award for National Integration (1997), Ramanujan Award (2000), King Charles II Medal (2007), International von Karman Wings Award (2009), Hoover Medal (2009), and more.

300 Words Essay on APJ Abdul Kalam

The complete name of APJ Abdul Kalam was Dr. Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam. He shone as a bright star in Indian history, known as both the Missile Man and People’s President. He was born on 15th October 1931, in Tamil Nadu. His life was characterized by challenges but served as an inspiration to the emerging generation of India. 

He envisioned a developed India and famously said, “You have to dream before your dreams can come true.” His strong passion for flight allowed him to achieve his dream of becoming an Aeronautical Engineer. Despite coming from a humble background, he persevered in his education, completing his Science degree at St. Joseph’s College in Tiruchirappalli and Aeronautical Engineering from the Madras Institute of Technology in 1954.

In 1958, he joined DRDO as a senior scientific assistant, leading a small team focused on developing a prototype hovercraft. Later, he moved to the Indian Space Research Organization (ISRO) due to limited progress in the hovercraft program. Widely acclaimed as the “Missile Man of India,” he made substantial contributions to developing ballistic missiles and space rocket technology. He served as a driving force in advancing the nation’s defence technologies, ultimately elevating India to the status of nuclear power through his remarkable achievements.

He stood out as a distinguished scientist and engineer, assuming the role of the 11th President of the nation from 2002 to 2007. His dedicated contribution was evident in the Pokhran-II nuclear test of 1998. With a visionary outlook and a wealth of ideas, he consistently aimed for the advancement of the country. 

In his book “India-2020,” he outlined action plans for the nation’s development by 2020. However, he believed that the true treasure of the nation resided in its youth, and he consistently encouraged and motivated them. He emphasized the need for inspirational role models in leadership to guide the younger generation.

Also Read: Essay on Waste Management

400 Words Essay on APJ Abdul Kalam

Dr. APJ Abdul Kalam, initially a scientist, later ascended to become the 11th President of India, leading the nation from 2002 to 2007. His profound impact on the country, both as a scientist and a president, earned him immense respect. His pivotal role in enhancing India’s space capabilities through the Indian Space Research Organization is indelible. He spearheaded pivotal projects such as the Rohini-1 launch, Project Devil, Project Valiant, and the development of missiles under the Agni and Prithvi missions. His outstanding contributions to bolstering India’s nuclear prowess led to his moniker “Missile Man of India.” He was also honoured with the highest civilian awards for his dedicated service. Even after completing his presidential tenure, he continued to serve the nation as a visiting professor at esteemed institutes and universities.

Early Life and Career

Born to Jainulabdeen and Ashiamma on October 15th, 1931, Kalam faced financial constraints in his family. Despite this, he took up early responsibilities to support them without compromising on his education. Graduating in 1954 from Saint Joseph’s College, Tiruchirappalli, and specializing in aerospace engineering from the Madras Institute of Technology, he embarked on a career at the Aeronautical Development Establishment of the Defense Research and Development Organization (DRDO) as a chief scientist. 

Soon, he transitioned to the Indian Space Research Organization, assuming the role of project director for India’s maiden indigenous Satellite Launch Vehicle. As the Chief Executive of the Integrated Guided Missile Development Program, he oversaw the concurrent development of multiple missile systems.

Further Achievements and Contributions

From 1992 to 1999, he served as the Chief Scientific Adviser to the Prime Minister and held the position of Secretary of the Defense Research and Development Organization. His significant role as the Chief Project Coordinator for the Pokhran II nuclear tests earned him the title “Missile Man of India.” Notably, he became the first scientist to assume the presidency of India from 2002 to 2007, despite lacking a political background.

Legacy and Initiatives

Kalam’s impactful legacy extended to his literary contributions, including works like “India 2020,” “Ignited Minds,” “Mission India,” “The Luminous Sparks,” and “Inspiring Thoughts.” He initiated the “What Can I Give Movement” to empower youth in combating corruption. 

As a visiting professor, he engaged with various prestigious institutions, including the Indian Institute of Management Ahmedabad and Indore, as well as the Indian Institute of Space Science and Technology Thiruvananthapuram, JSS University (Mysore), and the Aerospace Engineering department at Anna University (Chennai). His remarkable achievements led to multiple awards, including the Padma Vibhushan, Padma Bhushan, Bharat Ratna, Indira Gandhi Award, Veer Savarkar Award, Ramanujan Award, and numerous others.

Must Read: Essay on Indian Freedom Struggle – 100,200,500 Words

A. The complete name of APJ Abdul Kalam was Dr. Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam. He was a notable scientist who introduced numerous innovations. His profound impact on the country, both as a scientist and a president, earned him immense respect. His pivotal role in enhancing India’s space capabilities through the Indian Space Research Organization is indelible.

A. Dr. APJ Abdul Kalam has written many inspirational books such as India 2020, Ignited Minds, The Luminous Sparks, Mission India, Inspiring Thoughts, etc. 

A. Dr. APJ Abdul Kalam was also known as the Missile Man of India after his successful contribution to the Pokhran 2 nuclear tests. 

We hope that this blog essay on APJ Abdul Kalam has given you some known and unknown facts and secrets about Dr. APJ Abdul Kalam. For more amazing daily reads that will help you build your IQ and improve your reading and writing skills, visit the essay writing page of   Leverage Edu . 

Aditi Gupta

A bachelors in Journalism and Mass Communication graduate, I am an enthusiastic writer. I love to write about impactful content which can help others. I love to binge watch and listen to music during my free time.

Leave a Reply Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Contact no. *

Connect With Us

45,000+ students realised their study abroad dream with us. take the first step today..

Resend OTP in

Need help with?

Study abroad.

UK, Canada, US & More

IELTS, GRE, GMAT & More

Scholarship, Loans & Forex

Country Preference

New Zealand

Which English test are you planning to take?

Which academic test are you planning to take.

Not Sure yet

When are you planning to take the exam?

Already booked my exam slot

Within 2 Months

Want to learn about the test

Which Degree do you wish to pursue?

When do you want to start studying abroad.

January 2024

September 2024

What is your budget to study abroad?

How would you describe this article ?

Please rate this article

We would like to hear more.

Have something on your mind?

Make your study abroad dream a reality in January 2022 with

India's Biggest Virtual University Fair

Essex Direct Admission Day

Why attend .

Don't Miss Out

• Skip to main content
• Skip to secondary menu
• Skip to primary sidebar
• Skip to footer

A Plus Topper

Improve your Grades

Essay on Dr APJ Abdul Kalam | Dr APJ Abdul Kalam Essay for Students and Children in English

February 12, 2024 by sastry

Essay on Dr APJ Abdul Kalam: Reverberated was a jam-packed hall in Kolkata on 21 st January, 2003, when the 11th President of India inspired thousands of school children to dream, to dream big and let those dreams culminate into thoughts and actions.

The ‘Missile Man’ Who Ignited Young Minds

You can read more  Essay Writing  about articles, events, people, sports, technology many more.

Long and Short Essays on Dr APJ Abdul Kalam for Kids and Students in English

Given below are two essays in English for students and children about the topic of ‘Dr APJ Abdul Kalam’ in both long and short form. The first essay is a long essay on the Dr APJ Abdul Kalam of 400-500 words. This long essay about Dr APJ Abdul Kalam is suitable for students of class 7, 8, 9 and 10, and also for competitive exam aspirants. The second essay is a short essay on Dr APJ Abdul Kalam of 150-200 words. These are suitable for students and children in class 6 and below.

Long Essay on Dr APJ Abdul Kalam 500 Words in English

Below we have given a long essay on Dr APJ Abdul Kalam of 500 words is helpful for classes 7, 8, 9 and 10 and Competitive Exam Aspirants. This long essay on the topic is suitable for students of class 7 to class 10, and also for competitive exam aspirants.

One of India’s most adored Presidents, APJ Abdul Kalam, worked as an aerospace engineer with the Defence Research and Development Organisation (DRDO) and Indian Space Research Organisation (ISRO) before his presidential term. He is known as the ‘Missile man’ for his work on the development of ballistic missiles and launch vehicles. Dr Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam, was born on 15 October, 1931 at Rameshwaram, Tamil Nadu.

He is the son of a humble fisherman who owned a boat. In order to supplement his father’s income, he used to distribute newspapers after attending school. In school, he was an average student, but hardworking and with a keen desire to learn.

He studied at Schwartz High School in Ramanathapuram where he found an ideal teacher in Iyadurai Solomon. From him, Kalam learnt the key to success in life.

“To succeed in life and achieve results, you must understand and master three mighty forces—desire, belief and expectation.” He did his BSc from St Joseph College, Tiruchirapalli oblivious even to the option for higher education.

He did a course in Aeronautical Engineering from Madras Engineering College in 1954-1957. Here, he was fascinated by the sight of two decommissioned aircrafts displayed for demonstration. Fascinated by the desire to fly, when he had to opt for a specific branch, aeronautical engineering became a natural choice. Once, his Dean gave him a deadline of three days to finish a project, owing to his lack of progress. But unexpectedly, he finished it on time by working sincerely day and night.

He missed becoming a fighter pilot, as there were only eight seats available and he stood ninth. He started his career with DRDO in 1958. Here, he designed a small helicopter for the Indian Army. He also became a part of the INCOSPAR Committee under Vikram Sarabhai.

He went ahead to join ISRO five years later where he was the project director of SLV III. It was due to the team effort under his leadership that ‘Rohini’ was successfully launched in 1980. This was the beginning of India’s aerospace programme. Kalam initiated an independent work on an expandable rocket project in 1965. In 1969, he received government’s nod to incorporate more engineers in the project.

During 1963-64, he visited NASA’s Langley Research Centre in Hampton. Between 1970s and 1990s, he worked relentlessly to develop Polar SLV and SLV-III, both of which garnered success. He was invited by Dr Raja Ramanna to preside over the nation’s first nuclear test, Smiling Buddha. In the 1970s, he supervised two projects, Project Devil and Project Valiant, for the development of ballistic missiles. Despite disapproval of Cabinet, Prime Minister Indira Gandhi allocated him funds for these projects. Due to his success, the government decided to initiate advanced missile programme under his leadership.

In 1982, he was entrusted with the development of Integrated Guided Missile Development Programme. Dr Kalam henceforth plunged into developing ‘Prithvi’, the surface to surface weapon system Agni’, Akash’ and ‘Nag’. He is also responsible for the completion of the long delayed ‘Arjun’ anti-tank project and also worked upon an indigenous aircraft engine ‘Kaveri’.

‘Akash’ too was test-fired successfully. In 1998, nuclear tests were conducted and thereafter he was appointed the principal Scientific Advisor to the Government of India with the rank of a Union Cabinet Minister in November 1999, a position in which he continued to be until November 2001.

Short Essay on Dr APJ Abdul Kalam 300 Words in English

Below we have given a short essay on Dr APJ Abdul Kalam is for Classes 1, 2, 3, 4, 5 and 6. This short essay on the topic is suitable for students of class 6 and below.

In 1998, Kalam developed an inexpensive coronary stent, along with Dr Soma Raju. It was called ‘Kalam-Raju Stent.’ In 2012, both of them again came up with an innovation, a tablet PC for healthcare in rural areas. This was known as ‘Kalam-Raju Tablet’. On 25th July, 2002, he took the oath as the 11 th President of India. Kalam had won the elections by a huge margin against Lakshmi Sehgal. He was the first scientist and the first bachelor to occupy Rashtrapati Bhawan.

At the end of his term in 2007, he wished for a second term. However, he declined to contest citing lack of support of the left parties, Shiv Sena and UPA constituents. In 2012 also, he denied to contest.

Presently, he is the fellow of the Indian Academy Society of Sciences, Bangalore, Vice-President of the Astronautical Society of India, fellow of the National Academy of Medical Sciences, India, Honorary fellow of the Institution of Electronics and Telecommunication Engineers and an ISRO distinguished professor.

Dr Kalam has a literary bent of mind as well. ‘Wings of Fire’ is his autobiography wherein he describes his humble journey, shares his life experiences and aspirations with the people. As he shares his life’s experiences in this book, we weep with him and we celebrate with him. Every Indian should read his autobiography in today’s time. He has also written ‘Ignited Minds’ and ‘India 2020- A vision of the New Millennium’. India 2020 is his pathway of developing India into a Developed Nation by 2020. ‘Ignited Minds-Unleashing the power within India’ is dedicated to Snehal Thakkar who had questioned Kalam on 12th April, 2002 ‘Who is our enemy?’. The book is a must-read for every citizen especially children and the youth of the country. Dr Kalam is a poet too and enjoys music.

He is also fond of playing veena. Despite being a great and honoured man, he is simplicity personified, extremely down to Earth, kind and gentle. His love for children is revealed in the fact that even after holding the highest constitutional title he has been touring the entire nation, meeting school students, talking to them, lecturing them, interacting with them and inspiring them. All he wants to do is to open a small school in Rameshwaram and teach the children there, once he retires.

In 2012, he launched a mission for youth against corruption, titled ‘What Can I Give Movement.’ Kalam’s 79th birthday was honoured as World Student’s Day by the United Nations. He has bagged honorary doctorates from 40 universities across the world. In 1997, he received the Bharat Ratna. In December 2000, the Deputy Chairman of the Planning Commisson, KC pant conferred the ‘Lifetime Contribution Award’ to Dr Kalam. To mark Kalam’s visit, Switzerland declared 26th May as Science Day, in 2005.

All Indians are proud of his great achievements and humble persona. He observes strict discipline, practices vegetarianism, teetotalism and celibacy. He reads both the Quran and the Bhagwad Gita and his book ‘Guiding Souls’: Dialogues on the purpose of life’ reveals his spiritual facets too. Due to his open, approachable nature, he was referred to as ‘People’s President’. He showed that money can’t be a barrier to dreams, as he himself was from a poor family. He will continue to be a source of inspiration to one and all.

Dr APJ Abdul Kalam Essay Word Meanings for Simple Understanding

• Aerospace – the industry concerned with the design and manufacture of aircraft, rockets, missiles, spacecraft, etc., that operates in aerospace
• Ballistic – of or pertaining to the science of designing projectiles for maximum flight performance
• Decommissioned – dismantled or removed from service (a nuclear reactor, weapon, ship, etc., which is no longer required)
• Relentlessly – unyieldingly severe, strict, or harsh, unrelenting Indigenous – native to a place
• Coronary – of or pertaining to the human heart, with respect to health
• Unleash – set loose to pursue or run at will
• Teetotalism – the principle or practice of total abstinence from intoxicating drink
• Picture Dictionary
• English Speech
• English Slogans
• English Letter Writing
• English Essay Writing
• English Textbook Answers
• Types of Certificates
• ICSE Solutions
• Selina ICSE Solutions
• ML Aggarwal Solutions
• HSSLive Plus One
• HSSLive Plus Two
• Kerala SSLC
• Distance Education

Talk to our experts

1800-120-456-456

• APJ Abdul Kalam Essay

Essay on APJ Abdul Kalam Available at Vedantu

Imagine a world where dreams were not just wishes but stepping stones to greatness, where aspirations fueled not just personal growth but the progress of an entire nation. In the heart of such a dream-filled universe lived a man whose life story is nothing short of extraordinary - Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam, affectionately known as the People's President and the Missile Man of India. Today, we embark on a journey through the pages of his life, exploring the roots of his greatness, the challenges he faced, and the impact he made on the world.

Early Years and Education

Let's go back to the time when a young boy was born on October 15, 1931, in the quiet town of Rameswaram, Tamil Nadu, India. Known as Abdul Kalam or Avul to his friends, he came from a modest family where his father owned a boat, and his mother was a housewife. From them, he learned the values of hard work, honesty, and compassion.

As a child, Kalam was endlessly curious about the world. He spent hours exploring fields, watching birds, and pondering the mysteries of the universe. Little did he realize that these childhood adventures would shape his scientific mind and eventually contribute to India's journey into space.

In his autobiography, "Wings of Fire," Kalam fondly recalls his early years spent unraveling the mysteries of nature. It was during this time that his fascination with flight and the dream of soaring above the skies took root.

From the Fishing Boat to the Rocket

Despite facing financial challenges, Kalam's passion for education led him to pursue a degree in aeronautical engineering from the Madras Institute of Technology. His journey into the realm of science and technology had begun.

Graduating in 1958, Kalam joined the Defense Research and Development Organization (DRDO), marking the initiation of a career dedicated to the advancement of India's defense capabilities. His work on the development of indigenous guided missiles showcased not only his technical brilliance but also his commitment to national security.

Picture this: A young Kalam, with dreams as vast as the open skies, studying the principles of flight and aerodynamics. Little did he know that he was laying the groundwork for a future where India would soar to new heights, quite literally.

The Visionary Scientist:

Dr. Kalam's brilliance and dedication soon caught the attention of the scientific community, he found himself at the Indian Space Research Organisation (ISRO), where his brilliance and dedication shone. His journey into the world of space exploration was marked by the successful launch of India's first satellite, Aryabhata, in 1975.

In the 1980s, he played a pivotal role in India's space program, particularly the launch of the satellite launch vehicle (SLV) and the development of the Polar Satellite Launch Vehicle (PSLV).

His leadership at the Indian Space Research Organisation (ISRO) contributed significantly to India's emergence as a formidable player in the global space arena. The successful launch of the satellite "Rohini" in 1980 marked a historic achievement, making India the eighth nation in the world to have its satellite in orbit.

Lessons from Failure

The Satellite Launch Vehicle (SLV) failed to deliver its payload into orbit. The disappointment echoed through the corridors of ISRO, but Kalam, instead of succumbing to despair, drew inspiration from the failure. He embraced it as an opportunity to learn, grow, and improve.

"Failure will never overtake me if my determination to succeed is strong enough," Kalam would later say. This philosophy became a guiding principle not just for his scientific endeavors but for countless individuals seeking motivation in the face of adversity.

The Missile Man's Masterstroke:

While Kalam's contributions to space technology were substantial, it was his role as the chief architect of India's missile development program that earned him the title "Missile Man." The Integrated Guided Missile Development Program (IGMDP) aimed at creating a self-reliant India in missile technology.

Under his guidance, India successfully developed the Prithvi, Agni, Akash, and Trishul missiles, showcasing the country's technological prowess. The successful test-firing of the Agni missile in 1989 marked a watershed moment, solidifying India's position as a capable player in missile technology.

Presidency: A New Chapter Begins:

In 2002, Dr. APJ Abdul Kalam took on a new role—one that would bring him closer to the hearts of millions. He was elected as the 11th President of India, and he approached this responsibility with the same humility and dedication that had defined his entire career.

His presidency was characterized by an unprecedented level of interaction with the youth. Kalam was a president who connected with students, inspiring them to dream big and work towards building a better India. He transformed the Rashtrapati Bhavan, the official residence of the President, into a space that welcomed students and teachers from across the country.

The People's President:

What set Kalam apart as a president was his ability to transcend the ceremonial aspects of the role and genuinely connect with the people. He was often seen engaging with students, addressing their concerns, and sharing his vision for a prosperous and developed India.

His simplicity and approachability made him a president of the people, breaking down the barriers that often exist between leaders and the citizens they serve. Whether he was interacting with school children or scientists, Kalam's infectious enthusiasm and optimism left an indelible mark on everyone he met.

Wings of Fire: A Literary Sojourn

In 1999, Dr. Kalam authored his autobiography, "Wings of Fire," which provided readers with an intimate look into his life and the various challenges he had overcome. Written in a simple yet captivating style, the book resonated with people from all walks of life.

In "Wings of Fire," Kalam not only shared the story of his personal journey but also imparted valuable life lessons. The book became a bestseller and inspired countless individuals, especially the youth, to dream big and strive for excellence.

Legacy and Honors:

Dr. APJ Abdul Kalam left an indelible mark on India and the world. His legacy is not just in the scientific and technological advancements he contributed to but also in the hearts and minds of the people he touched.

Throughout his illustrious career, Kalam received numerous awards and honors, including the Bharat Ratna, India's highest civilian award. However, for Kalam, the true measure of success was in the positive impact one could have on others and on society.

Dr. APJ Abdul Kalam's life is a beacon of hope, resilience, and dedication. From the small town of Rameswaram to the highest office in the land, he remained a humble and compassionate individual, always driven by a desire to serve his fellow citizens.

As we reflect on the remarkable journey of the "People's President" and the "Missile Man of India," it is impossible not to be inspired. Dr. Kalam's life teaches us that no dream is too big, no hurdle too high, and that the pursuit of knowledge and the betterment of society are endeavors worth dedicating a lifetime to.

In the words of Dr. Kalam himself, "Dream, dream, dream. Dreams transform into thoughts, and thoughts result in action." May the spirit of APJ Abdul Kalam continue to ignite the flames of aspiration in the hearts of generations to come, guiding them to reach for the stars and contribute to the progress and prosperity of humanity.

FAQs on APJ Abdul Kalam Essay

1.  How can writing an essay on Dr. APJ Abdul Kalam to be helpful to me?

First of all, writing an essay is an important skill that every student must develop. Because essay writing teaches the students to express themselves in a better, concise, and impactful manner. Now, students must practice writing essays on a subject that helps them become better in life. Hence, if students have to write an essay on APJ Abdul Kalam, then it is very much important for them to first read about the life of Dr. Kalam, and reading about the life of such a great man automatically teaches you so many things.

2.  How can I write a good essay on the life of Dr. APJ Abdul Kalam?

If you wish to write a good essay on Dr. APJ Abdul Kalam, then first you have read about Dr. APJ Abdul Kalam and try to understand him as deeply as possible. Because he was not just a great scientist, or a great thinker, or a great visionary but he was a great man overall. And therefore, you have read and studied about him, his positive attitude towards life, his struggles of early days, his intellect, and his humbleness. You must study all the aspects of his life and after understanding them all you must start writing your essay.

3.  Is writing an Essay on Dr. APJ Abdul Kalam difficult?

Dr. APJ Abdul Kalam was one of the greatest scientists of India. Hence, students may feel overwhelmed while writing about him, but along with being a great scientist, he was also a great speaker and a great writer. Hence, if you have ever listened to him or have ever read him, you can easily understand what he is saying. Therefore, with such simplicity, you have to write the essay. Because essay writing is not that difficult, if you have a good understanding of the essay topic, then it becomes really easy for you to write a good essay.

4.  I am having difficulty in writing the essay, what should I do?

Yes, it happens sometimes, that students may find it difficult to write an essay on a certain topic. And since Vedantu knows exactly about all the problems, it brings to the students the complete English Essay on DR APJ Abdul Kalam, written by expert writers. Students can use the essay as a model and can write their own essay on its basis. Also, if you wish to have a complete understanding of the essay and its type, you may check out: Essays – Types, Format and Topic List (vedantu)

5.  Why should I prefer Vedantu for the English essay on Dr. APJ Abdul Kalam?

Writing an essay is a creative skill and it requires a good level of understanding of the subject as well. And hence the English essay that Vedantu provides fulfills both these criteria because it is composed by expert English teachers who have a mastery of writing an essay for the students, which they can easily understand and remember. Also, the English essay that Vedantu provides the students on Dr. APJ Abdul Kalam is completely free for everyone, so that almost all the students can take advantage of it.

Essay on APJ Abdul Kalam

Students are often asked to write an essay on APJ Abdul Kalam in their schools and colleges. And if you’re also looking for the same, we have created 100-word, 250-word, and 500-word essays on the topic.

Let’s take a look…

100 Words Essay on APJ Abdul Kalam

APJ Abdul Kalam was born on October 15, 1931, in Rameswaram, Tamil Nadu. He came from a humble background and started working at an early age to support his family.

Education and Career

Kalam graduated from the Madras Institute of Technology. He joined the Indian Space Research Organisation (ISRO) and played a key role in India’s first satellite launch.

Kalam served as the 11th President of India from 2002 to 2007. He was known as the ‘People’s President’ for his humble nature and dedication to the nation.

Kalam passed away on July 27, 2015, leaving behind a legacy of simplicity, hard work, and dedication to the nation. His life continues to inspire millions.

250 Words Essay on APJ Abdul Kalam

Introduction, professional journey.

Dr. Kalam started his career at the Defence Research and Development Organisation (DRDO) and later moved to the Indian Space Research Organisation (ISRO). He played a pivotal role in India’s Pokhran-II nuclear tests in May 1998, asserting India’s position as a nuclear state.

Presidential Tenure

Kalam served as the 11th President of India from 2002 to 2007. His presidency was marked by his profound interactions with the youth of India, igniting their minds with a thirst for knowledge and a passion for contributing to society.

Contributions to Society

Beyond his professional achievements, Kalam was a passionate advocate for education. He tirelessly campaigned for the importance of science and technology in national development. His book ‘Ignited Minds’ is a testament to his commitment to empowering the youth.

Dr. Kalam passed away on July 27, 2015, leaving behind a legacy of selflessness, dedication, and patriotism. His life continues to inspire millions around the world, embodying the essence of a true leader.

In conclusion, Dr. APJ Abdul Kalam was not just a scientist, a statesman, or an author; he was a beacon of hope and a symbol of resilience for an entire nation. His contributions to India and his influence on the youth continue to resonate even after his demise.

500 Words Essay on APJ Abdul Kalam

Early life and education.

Kalam’s early life was marked by hardship and struggle. Despite his family’s financial constraints, he never let his circumstances deter his quest for knowledge. He completed his schooling from Schwartz Higher Secondary School and went on to pursue Physics at St. Joseph’s College, Tiruchirappalli. Later, he moved to Madras Institute of Technology to study Aerospace Engineering. This marked the beginning of his illustrious career in the field of science and technology.

Kalam joined the Defence Research and Development Organisation (DRDO) as a scientist after graduation. However, his real breakthrough came when he was transferred to the Indian Space Research Organisation (ISRO) where he was the project director of India’s first indigenous Satellite Launch Vehicle (SLV-III). His contribution to the development of ballistic missiles earned him the moniker ‘Missile Man of India’.

Kalam, the Visionary

Kalam was a visionary who believed in the power of dreams. His book ‘India 2020’ outlines his vision for India to be among the world’s top five economies by 2020. He advocated for self-reliance in defense technologies and promoted the idea of PURA (Provision of Urban Amenities in Rural Areas) as a sustainable model for rural development.

Legacy and Conclusion

Kalam passed away on July 27, 2015, leaving behind a legacy of simplicity, vision, and indomitable spirit. He continues to inspire millions around the world with his life and teachings. His words, “Dream, dream, dream. Dreams transform into thoughts and thoughts result in action,” encapsulate his philosophy of life.

If you’re looking for more, here are essays on other interesting topics:

Apart from these, you can look at all the essays by clicking here .

Leave a Reply Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

• Engineering
• Write For Us
• Privacy Policy

Essay on APJ Abdul Kalam

Here we have shared the Essay on APJ Abdul Kalam in detail so you can use it in your exam or assignment of 150, 250, 400, 500, or 1000 words.

You can use this Essay on APJ Abdul Kalam in any assignment or project whether you are in school (class 10th or 12th), college, or preparing for answer writing in competitive exams. 

Topics covered in this article.

Essay on APJ Abdul Kalam in 150-250 words

Essay on apj abdul kalam in 300-450 words, essay on apj abdul kalam in 500-1000 words.

APJ Abdul Kalam, also known as the “Missile Man of India,” was a renowned scientist, educator, and statesman. Born on October 15, 1931, in Rameswaram, Tamil Nadu, he played a significant role in India’s space and defense programs.

Kalam’s contributions to science and technology were immense. He played a pivotal role in the development of India’s first satellite launch vehicle and nuclear weapons program. His visionary leadership and scientific acumen propelled India’s space research capabilities to new heights.

Besides his scientific achievements, Kalam was known for his humility, simplicity, and dedication to education. He strongly believed in the power of education to transform lives and worked tirelessly to inspire young minds. Through his speeches, books, and interactions with students, he encouraged them to dream big, work hard, and contribute to the progress of the nation.

Kalam served as the 11th President of India from 2002 to 2007. During his tenure, he endeavored to bridge the gap between science and society, emphasizing the importance of technology in improving the lives of ordinary citizens.

APJ Abdul Kalam’s legacy continues to inspire millions of people worldwide. His relentless pursuit of excellence, dedication to education, and commitment to national development make him a true role model for the youth. He believed in the power of dreams and encouraged everyone to strive for greatness. Through his work, Kalam left an indelible mark on India’s scientific and educational landscape, forever earning a place in the hearts of the people as a beloved leader and visionary.

APJ Abdul Kalam, popularly known as the “Missile Man of India,” was a remarkable scientist, educator, and statesman who made significant contributions to India’s scientific and technological advancements. Born on October 15, 1931, in Rameswaram, Tamil Nadu, Kalam rose from humble beginnings to become one of India’s most beloved and respected figures.

Kalam’s journey began with his exceptional talent and passion for science. He played a key role in the development of India’s space and defense programs, earning him the title of the chief architect of India’s Integrated Guided Missile Development Program. His visionary leadership and scientific acumen propelled India to achieve significant milestones, including the successful launch of the Agni and Prithvi missiles.

Despite his groundbreaking achievements in science and technology, Kalam’s humility and dedication to education set him apart. He firmly believed that education was the key to unlocking India’s potential and empowering its youth. Throughout his life, he devoted himself to inspiring and guiding students, delivering motivational speeches and interacting with them at various educational institutions across the country.

Kalam’s impact extended beyond his scientific endeavors and educational initiatives. He served as the 11th President of India from 2002 to 2007, during which he endeavored to bridge the gap between science, society, and governance. He emphasized the importance of harnessing technology for the betterment of society and spearheaded initiatives to promote research and development in areas crucial to national growth.

What truly made Kalam an icon was his ability to connect with people from all walks of life. He was known for his down-to-earth nature, simplicity, and accessibility. He had a special connection with children and encouraged them to dream big and work hard to achieve their goals.

APJ Abdul Kalam’s legacy continues to inspire generations. He demonstrated that with determination, perseverance, and a commitment to excellence, anyone can overcome obstacles and achieve greatness. His life and work symbolize the power of education, scientific progress, and national development. Kalam’s vision and leadership have left an indelible mark on India’s scientific and educational landscape, and his words continue to motivate individuals worldwide to strive for excellence and contribute to the betterment of society.

In conclusion, APJ Abdul Kalam was a visionary scientist, an exceptional educator, and an inspirational leader. His contributions to India’s scientific and technological advancements, coupled with his dedication to education and national development, have made him a beloved figure in the hearts of the Indian people. Kalam’s life serves as a beacon of hope and a reminder that with determination, knowledge, and a desire to serve, one can make a lasting impact on society. He remains an eternal source of inspiration, guiding us to dream big and work towards a brighter future.

Title: APJ Abdul Kalam – A Visionary Scientist, Educator, and People’s President

Introduction:

APJ Abdul Kalam, often referred to as the “Missile Man of India,” was a renowned scientist, educator, and statesman who left an indelible mark on India’s scientific and educational landscape. Born on October 15, 1931, in Rameswaram, Tamil Nadu, Kalam’s journey from humble beginnings to becoming the President of India was an inspiration to millions. This essay explores the life and contributions of APJ Abdul Kalam, highlighting his scientific achievements, dedication to education, and his impact as the 11th President of India.

Early Life and Scientific Achievements

APJ Abdul Kalam’s passion for science and his exceptional talent propelled him to great heights. After completing his studies in physics and aerospace engineering, he joined India’s defense research program. Kalam played a crucial role in the development of India’s space and missile technology, making significant contributions to the country’s defense capabilities. He led India’s Integrated Guided Missile Development Program, which resulted in the successful development and deployment of missiles such as Agni, Prithvi, and Akash. His visionary leadership and scientific acumen earned him national and international recognition.

Dedication to Education

Kalam firmly believed that education was the key to unlocking India’s potential and empowering its youth. Throughout his life, he was deeply committed to inspiring and guiding students. Kalam traveled across the country, visiting schools and colleges, delivering motivational speeches, and interacting with students. He encouraged them to dream big, set ambitious goals, and work hard to achieve them. Kalam believed in the power of education to transform lives and shape the future of the nation. He actively promoted scientific research, technological innovation, and entrepreneurship among students, encouraging them to pursue careers in science and technology.

People’s President

In 2002, APJ Abdul Kalam was elected as the 11th President of India. During his tenure, he brought a unique perspective to the presidency. Kalam was known as the “People’s President” due to his approachability, humility, and ability to connect with people from all walks of life. He used the presidency as a platform to bridge the gap between science, society, and governance. Kalam emphasized the importance of harnessing technology for the betterment of society and spearheaded initiatives to promote research and development in areas crucial to national growth. He encouraged scientists, engineers, and policymakers to work together to address societal challenges and improve the lives of ordinary citizens.

Inspirational Leadership and Legacy

APJ Abdul Kalam’s leadership was characterized by his ability to inspire and motivate individuals. He led by example, demonstrating the values of hard work, integrity, and perseverance. Kalam’s humility, simplicity, and accessibility made him a role model for people of all ages. His interactions with children were particularly memorable, as he encouraged them to dream big and pursue their passions. Kalam’s words and actions continue to resonate with millions, inspiring them to strive for excellence and contribute to the progress of the nation.

Kalam’s legacy extends beyond his scientific achievements and presidency. He was a prolific author, writing several books that aimed to motivate and educate the youth. His autobiography, “Wings of Fire,” remains a popular book that chronicles his inspiring journey from a small town to becoming a national icon.

Conclusion :

APJ Abdul Kalam’s contributions to science, education, and public service have left an indelible impact on India and the world. His visionary leadership, scientific achievements, and dedication to education continue to inspire millions. Kalam’s life and work symbolize the power of determination, knowledge, and a desire to serve humanity. He remains a beloved figure in the hearts of the Indian people and serves as an eternal source of inspiration for individuals around the world. APJ Abdul Kalam will always be remembered as a visionary scientist, an inspirational educator, and the People’s President who worked tirelessly to make India a stronger and more prosperous nation.

Related Articles More From Author

What is pharmacognosy, essay on community service, essay on plagiarism.

Essay on APJ Abdul Kalam

Essay generator.

Dr. Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam, widely known as APJ Abdul Kalam, was a luminary in the field of science and an inspiration to millions. He was not just a scientist but also an educator, a visionary, and most importantly, the 11th President of India. His life journey is an extraordinary tale of dedication, perseverance, and commitment to the betterment of society and the nation as a whole. In this essay, we will delve into the life and achievements of this remarkable personality, providing students with valuable insights for essay writing competitions.

Early Life and Education

Dr. APJ Abdul Kalam was born on October 15, 1931, in Rameswaram, Tamil Nadu, India. His early life was modest, coming from a humble background. His parents, Jainulabdeen and Ashiamma, instilled in him strong values of honesty, humility, and hard work. Kalam’s thirst for knowledge was evident from a young age, and he showed remarkable diligence in his studies.

After completing his school education, Kalam went on to study aerospace engineering at the Madras Institute of Technology. He graduated in 1954 and joined the Aeronautical Development Establishment of the Defence Research and Development Organization (DRDO).

Contributions to Space Research

Dr. Abdul Kalam’s contributions to India’s space research and missile development programs are legendary. He played a pivotal role in the development of India’s first indigenous satellite launch vehicle, SLV-III. The successful launch of Rohini Satellite in 1980 marked a significant milestone for India in the field of space research. Kalam’s dedication and visionary leadership earned him the moniker “The Missile Man of India.”

Kalam’s work on the Integrated Guided Missile Development Programme (IGMDP) led to the development of several indigenous missiles, including the Agni, Prithvi, and Akash missiles. His efforts not only strengthened India’s defense capabilities but also showcased the country’s technological prowess on the global stage.

Leadership at ISRO

Dr. Kalam’s contributions extended to the Indian Space Research Organization (ISRO), where he served as the Director of Thumba Equatorial Rocket Launching Station (TERLS) and later as the Director of Vikram Sarabhai Space Centre (VSSC). His leadership was instrumental in the successful launch of India’s first satellite, Aryabhata, in 1975.

Dr. Kalam’s vision and commitment to space research played a crucial role in transforming ISRO into one of the world’s leading space agencies. His passion for science and innovation inspired countless young minds to pursue careers in space research and technology.

Presidential Tenure

In 2002, Dr. APJ Abdul Kalam was elected as the President of India, becoming the country’s first scientist to hold the highest constitutional office. His presidency was marked by his emphasis on education, youth empowerment, and technological advancement. He continued to interact with students and educators throughout his tenure, aiming to inspire the youth of the nation.

Kalam’s tenure as President was characterized by his simplicity, humility, and accessibility. He was often referred to as the “People’s President” for his close connection with the citizens of India. He used his position to advocate for education and the development of rural areas.

Vision for a Developed India

One of Dr. Kalam’s most significant contributions to the nation was his vision for a developed India. He outlined his vision in the book “India 2020: A Vision for the New Millennium.” In this book, he emphasized the importance of sustainable development, technological innovation, and inclusive growth.

Kalam believed that India had the potential to become a developed nation by the year 2020, provided it focused on key areas such as education, healthcare, infrastructure, and economic growth. He called upon the youth of India to take up the responsibility of achieving this vision and becoming the leaders of tomorrow.

Legacy and Inspiration

Dr. APJ Abdul Kalam’s legacy continues to inspire generations of Indians and people around the world. His life story is a testament to the power of determination and hard work in achieving one’s dreams. He firmly believed that with the right values, education, and dedication, anyone could overcome obstacles and contribute to the progress of society.

Kalam’s speeches and interactions with students are particularly cherished. He encouraged young minds to dream big, set ambitious goals, and work tirelessly to achieve them. His famous quote, “Dream, dream, dream. Dreams transform into thoughts, and thoughts result in action,” has become a mantra for countless individuals pursuing their aspirations.

In conclusion, Dr. APJ Abdul Kalam was a visionary, a scientist, a leader, and above all, a true patriot. His life and achievements are a source of inspiration for students and aspiring writers participating in essay writing competitions. His unwavering commitment to the progress of India and his vision for a developed nation continue to guide us towards a brighter future. Dr. Kalam’s legacy lives on, reminding us that with dedication, knowledge, and a strong sense of purpose, we can overcome challenges and make a positive impact on society and the world.

Text prompt

• Instructive
• Professional

Generate an essay on the importance of extracurricular activities for student development

Write an essay discussing the role of technology in modern education.